Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপনার হৃদযন্ত্রের কথা জানতে চেয়েছেন কখনো?

আলিম আল রাজি
৪ জুন ২০২২ ১৬:০২

‘সাডেন অ্যারিদমিক ডেথ’ -এর মতো আনপ্রেডিক্টেবল বিষয় পৃথিবীতে আর একটাও নেই। আপনি অ্যাপারেন্টলি সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু আপনার সাডেন ডেথ হতে পারে। আপনি খুব নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন, খুব নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করেন, তবুও আপনি ঝুঁকিমুক্ত নন। আপনি নিয়মিত হেলথ চেকাপ করেন, আপনার কোনো রোগবালাই নেই -তাও হঠাৎ করে আপনার হার্ট বিট্রে করতে পারে।

তাহলে কি কোনো আশার বানী নেই? কেবলই কি মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা? না। আশা আছে। সাডেন অ্যারিদমিক ডেথ-এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই কালপ্রিট হচ্ছে, ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’- সোজা বাংলায় হৃদরোগ। অর্থাৎ আপনার পরিচিত কিংবা অল্প পরিচিত যে দশজন মানুষ হঠাৎ করে, জাস্ট হঠাৎ করে মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯ জনেরই আসলে হৃদরোগের সমস্যা ছিলো এবং তারা সেটা জানতেন না। কিংবা তারা সেটা জানার চেষ্টাও করেননি!

বিজ্ঞাপন

আমি মোটামুটি বাজি ধরে বলতে পারি, এই লেখাটা এখন যারা পড়ছেন, তাদের বেশিরভাগও কখনও জানার চেষ্টা করেন না শরীরের ভিতরের কলকব্জার কী অবস্থা। অথচ আমরা এখন যে লাইফস্টাইল লিড করি, সেখানে কলকব্জার ঠিক থাকাটাই অস্বাভাবিক, বেঠিক থাকাটা স্বাভাবিক।

আমরা হাঁটি না। দৌঁড়াই না। বাংলাদেশে খাবারের নামে আমরা খাই স্লো পয়জন। নিঃশ্বাসে নিই বিষাক্ত বাতাস। সব জেনেও শরীরটা নিয়ে আমাদের কী অসীম উদাসীনতা! অথচ একটা ইসিজি করতে, কিডনিটা একটু চেক করতে, লিপিড প্রোফাইল দেখতে, ডায়াবেটিসটা চেক করতে যে খরচ হয় তার পরিমান আড়ং-এর দুইটা শার্টের দামের চেয়ে কম। ঢাকা-সিলেট এসি বাসের ভাড়ার চেয়ে কম, মাঝারি মানের রেস্টুরেন্টে একবেলা খাবারের বিলের চেয়ে কম। তাও আমরা করি না। কখনও উদাসীনতায়, আচ্ছা করবো নে! কখনও অবহেলায়, ধুর! আমার কেন রোগ হবে? কখনও ভয়ে, যদি কিছু বের হয়ে যায়, তখন? এর চেয়ে এভাবেই চলুক।

বিজ্ঞাপন
৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই কালপ্রিট হচ্ছে, ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’- সোজা বাংলায় হৃদরোগ

৮৫ ভাগ ক্ষেত্রেই কালপ্রিট হচ্ছে, ‘করোনারি আর্টারি ডিজিজ’- সোজা বাংলায় হৃদরোগ

এভাবে চলতে যেয়ে যখন আর চলে না, তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ৩৫ থেকে ৪৫-এর মানুষগুলো যখন হঠাৎ মারা যান তখন সবচেয়ে বিপদে পড়ে পরিবারগুলো। তাদের সন্তানের ভবিষ্যতটাই এলোমেলো হয়ে যায়। বৃদ্ধ পিতামাতা মরার আগেই মরে যান। স্বামী বা স্ত্রীর সব স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়।

সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ-এর একটা সুবিধা অবশ্য আছে। খুব বেশি মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না, খুব দীর্ঘ সময় ধরে ধুঁকে ধুঁকেও মরতে হয় না। হঠাৎ ঘটনা, হঠাৎ মৃত্যু। জীবনের মূল্য দিয়ে এই সুবিধাটুকু লুফে নিতে চাইলে ভিন্ন কথা।

আর যদি মনে করেন, একদিন তো মরবোই, তবুও মরার আগে দেখি না চেষ্টা করে আরও কিছু বেশিদিন আরও একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকা যায় কিনা, পরিবারকে ভালো রাখা যায় কিনা! …তাহলে একটু সাবধান হোন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে শরীরটাকে মাঝে মাঝে একটু পরীক্ষা করুন।

লেখক: চিকিৎসক

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

আপনার হৃদযন্ত্রের কথা জানতে চেয়েছেন কখনো? আলিম আল রাজি লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর