রাতের ঘুম হোক নির্বিঘ্ন
২ জুলাই ২০২২ ১৯:৪৭
আজকাল বেশিরভাগ মানুষকেই বলতে শোনা যায়, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারছেন না তারা। অনেকের সারাদিন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটলেও রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে পারছেন না। বিছানায় যাওয়ার পরও এপাশ ওপাশ করছেন।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে
সুস্থ্য থাকতে একজন মানুষের সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের পাশাপাশি অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা একটানা ঘুমাতে হবে। আবার পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তীতে জটিল রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু টিপস যা আপনার রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে সহায়তা করতে পারে।

রাতে বেশি খাবার খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে
হালকা খাবার খান
আপনি রাতে যে খাবারটি খাবেন তা অবশ্যই হালকা হতে হবে অর্থাৎ রাতে এমন খাবার খান যা সহজেই হজম হয়। সঠিক পরিমাণে খাবার খেলে আপনার পরিপাকযন্ত্র আরাম পাবে। রাতে বেশি খাবার খেলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আবার আপনি মোটাও হয়ে যেতে পারেন।

স্ক্রিনের ক্ষতিকারক রশ্মি চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে
স্ক্রিনে কম সময় দিন
মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রিনের ক্ষতিকারক রশ্মি আপনার চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ও স্যোশাল মিডিয়ার ব্যবহার আপনাকে এগুলোতে মগ্ন রাখবে যা ঘুমের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যা নিদ্রাহীনতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়
তামাক ত্যাগ করুন
রাতে অবশ্যই তামাকজাতীয় পণ্য সেবন করবেন না। এসব পণ্যের নিকোটিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে যা নিদ্রাহীনতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এমনকি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধূমপানও করা উচিত নয়।

রাতে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো
বেশি পানি খাবেন না
পরিপাকতন্ত্রে অনেক বেশি পানি থাকলে রাতে বেশি টয়লেটে যেতে হবে যা আপনার ঘুমকে ব্যাহত করবে। তাই রাতে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো।

হলুদ দুধ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় রাতে ঘুমানোর আধাঘন্টা আগে
ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ খান
হলুদ দুধ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় রাতে ঘুমানোর আধাঘন্টা আগে। এটি আপনাকে সবচেয়ে জরুরি পুষ্টি দিবে যা পরিপাকক্রিয়াকে সচল রাখে। পাশাপাশি আপনার শরীর ও মনকে শান্ত করবে।

ইয়োগা নিদ্রা আপনাকে খুব ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে সাহায্য করবে
ইয়োগা নিদ্রা
বিছানায় যাওয়ার আগে ইয়োগা নিদ্রা করার অভ্যাস করুন। এটি আপনাকে খুব ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে সাহায্য করবে। এই প্রক্রিয়াটি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখে বলে মনে করা হয়।
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি