আধুনিক যুগে যে ভীতিগুলো তাড়া করে বেড়ায়
৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:১৩
মানুষের নানারকম ভয় থাকে। কখনও অন্ধকারের ভয়, কখনও জনসমাগমে কথা বলার ভয়সহ নানারকম ভয় পাই আমরা। কখনও আবার কিছু জিনিস বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে অসম্ভব ভয় ও উদ্বেগ দেখা দিলে সেটি ফোবিয়া। এই অতিরিক্ত ভয়গুলো সাধারণত অযৌক্তিক হয়।
পরিচিত কিছু ফোবিয়া হল- উচ্চতাভীতি (অ্যাক্রোফোবিয়া), কোনো বদ্ধ স্থানে আটকে পড়ার ভীতি (ক্লস্ট্রোফোবিয়া), খোলা জায়গা যেখান থেকে বের হতে না পারার ভীতি (অ্যাগারাফোবিয়া) ইত্যাদি। কিন্তু আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে আমাদের জীবনযাপনের ধারা। এর ফলে নতুন নতুন কিছু ভয় ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আমাদের জীবনে। আর এই ফোবিয়াগুলোর উৎস মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
২০১৯ সালে পাঁচটি নতুন ধরণের ফোবিয়া বা ভয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমরা। আসুন দেখে নেই সেগুলো কী—
ইকো-অ্যাংক্সাইটি
পরিবেশের পরিবর্তন ও তার প্রভাব নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন খবর পড়ি ও দেখি আমরা। ফলে জনমানসে এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া ও গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।
নো-মো-ফোবিয়া
নাম দেখেই বুঝতে পেরেছেন এই ভয় কী নিয়ে। নো-মো-ফোবিয়া অর্থাৎ মোবাইল না থাকার ফোবিয়া। আজকের অত্যধিক মাত্রার যোগাযোগের এই সময়ে আমাদের মধ্যে নতুন ধরণের এই ভয়ের সৃষ্টি। বাসা থেকে বের হওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক পর যদি দেখেন যে মোবাইল ব্যাগে নাই তাহলে হঠাৎ করে একধরণের দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দেখা দেয়। কতগুলো মেসেজ বা কল এসেছে চিন্তা করে হাত-পা ঘামতে শুরু করে অনেকের। এমন হলে তাকে বলা হচ্ছে নো-মো-ফোবিয়া।
ফুড নিওফোবিয়া
নতুন ধরণের খাবারের স্বাদ গ্রহণের ভয়। সাধারণত শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই ফোবিয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ আছে খুব বেছে বেছে খায়। নিওফোবিয়ার সঙ্গে কিন্তু এর কোন সম্পর্ক নাই। বেছে খায় যারা তারা অনেকসময় চেনা-পরিচিত খাবারও খায় না। কিন্তু ফুড নিওফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে সে নতুন কোন খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বিগ্নতায় ভুগবেন।
কার্বোফোবিয়া
বর্তমান যুগকে বলা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব সব জায়গায় নির্দিষ্ট একরকম চেহারা, শারীরিক গড়ন ও আকারকে সুন্দর ও আদর্শ হিসেবে প্রচারণা চালানো হয়। ফলে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে নির্দিষ্ট কিছু খাদ্যাভ্যাস। এসব প্রচারণায় প্রায়ই কার্বোহাইড্রেটকে ভিলেন হিসেবে দেখানো হয়। ফলাফল হিসেবে বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে কার্বহাইড্রেট গ্রহণের ভীতি বেড়েছে। পরিণত হয়েছে নতুন এক ফোবিয়ায়।
এডিটিওভালটাফোবিয়া
এই ফোবিয়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। এই ভয়ের উৎস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার চেহারা, উপস্থিতি ও মতামত নিয়ে অন্যের মন্তব্যের ভয়। কে কীভাবে নেবে সেই আতঙ্কে ভোগা।
সূত্র- বিদেশি গণমাধ্যম
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
আধুনিক যুগে যে ভীতিগুলো তাড়া করে বেড়ায় লাইফস্টাইল সুন্দর যাপন