Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের হাঁটু ব্যথা, কমবে কীভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৩

অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে হওয়া হাঁটু ব্যথা সামান্য নড়াচড়াতেও অনেকসময় বেড়ে যায়। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটিতে এই ব্যথা কমে। ডেনভারের ফিজিক্যাল থেরাপিস্ট এরিক রবার্টসন বলেন, এমন একটা সময় পার করেছেন যখন একটা জয়েন্টও ঠিকমত নাড়াতে পারতেন না। যখন হাঁটতে শুরু করেন, তখন বেশ যন্ত্রণা হতে শুরু করে। তিনি বলেন, হাঁটু যতই ব্যথা করুক না কেন, দিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ করা যাবে না কিছুতেই। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলজিস্ট জেমিমা অ্যালবেইদা বলেন, হাঁটার একদম শুরুর দিকে হাঁটু কিছুটা ফুলে যাবে বা ব্যথা করলেও নিয়মিত হাঁটলে একসময় এটি কমে যাবে।

বিজ্ঞাপন

আসুন দেখে নেই নিয়মিত হাঁটলে কীভাবে হাঁটু ব্যথা কমে—

হাঁটুর জয়েন্টওগুলোকে শক্তিশালী করে
কারও অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস থাকলে হাঁটুর জয়েন্টে থাকা কার্টিলেজ নামক নরম টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ক্ষয় হতে শুরু করে। এই কার্টিলেজই সাধারণত যেকোন চোট থেকে হাঁটুকে রক্ষা করে। কার্টিলেজ ক্ষয় হলে ব্যথা, শক্তভাব এবং চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। ব্যায়াম করলে জয়েন্টকে নতুন করে তৈরি করে। রবার্টসন বলেন, কার্টিলেজ অনেকটা স্পঞ্জের মতো। হাঁটার সময় শরীরের ওজনের কারণে সঙ্কোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে এতে পুষ্টি যোগায়।

পায়ের পেশী শক্তিশালী করে
নিয়মিত হাঁটলে পেশী গঠন ও শক্তিশালী হয়। এতে করে হাঁটুর জয়েন্টের উপর চাপ কমে। ফলে হাঁটলে ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে।

ওজন কমায়
প্রতি পাউন্ড ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটুর উপর একটু করে চাপ কমতে থাকে। আর চাপ কমলেই ব্যথাও কমতে থাকে। ওজন কমানোর জন্য ভারী ব্যায়ামের চেয়ে হাঁটা অনেক উপকারী এবং কার্যকরী।

শরীরের কথা শুনুন
সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই অন্তত আধঘণ্টা করে ব্যায়াম করা জরুরী। কিন্তু একবারে সেরে ফেলতে হবে এমন নয়, দিনের মধ্যে কয়েকবার ভাগ করে করলেও চলবে। আলবেইদা বলেন, অনেকেই উত্তেজিত হয়ে শুরুতেই অনেক বেশি হাঁটাচলা শুরু করেন। ফলাফল, পরদিন তীব্র ব্যথা। তিনি সবসময় রোগীদের অল্প করে শুরু করার পরামর্শ দেন। এর প্রতিক্রিয়া দেখে পরে আস্তেধীরে হাঁটার সময় বাড়ানোর কথা বলেন।

হাঁটার প্রস্তুতি
চিকিৎসক অ্যালবেইদা অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটু ব্যথা কমানোর উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরুর আগে কিছু প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন। তার মতে, সবার আগে দরকার ভালো এক জোড়া হাঁটার জুতা (ওয়াকিং শু)। হাঁটার পর যদি ব্যথা হতে ফুলে যেতে দেখেন তাহলে পা কিছুটা উপরে রেখে টানটান শুয়ে পড়ুন। পায়ের নীচে দুটো বালিশ দিন। আর হাঁটুতে আইস ব্যাগ বা তোয়ালেতে মুড়ে বরফ দিন।

বিজ্ঞাপন

তবে কিছু বিপদচিহ্ন দেখামাত্র হাঁটা বন্ধ করে দিতে হবে। আসুন দেখে নেই সেগুলো কী—

– হঠাৎ করে অনেকখানি ফুলে যাওয়া

– ব্যথা এত বেড়ে যাওয়া যে মনে হয়, দাঁড়াতে গেলেও পড়ে যাবেন

– ব্যথার মাত্রা এক থেকে দশের স্কেলে পাঁচের উপরে থাকা।

– হাঁটার ফলে যদি ব্যথা হতেই থাকে তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস ছাড়া অন্য কোন সমস্যাও থাকতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ ধরণের জুতা অথবা অন্য উপায়ে হাঁটার চেষ্টা করুন।

রবার্টসন বলেন, মানবজীবনের ধর্মই হল চলাচল করা। নড়াচড়ার মধ্যেই একধরণের নিরাময় গুণ থাকে। তাই নিজের শরীরের উপর ভরসা রাখুন। শুরুর দিকে অস্বস্তি বা ব্যথা হলেও পরে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তার মতে শুধু হাঁটু কেমন আছে তাই নয়, পুরো শরীর কেমন বোধ করছে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: ওয়েব এমডি

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের হাঁটু ব্যথা লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর