স্ট্রেচমার্ক নিয়ে দুঃচিন্তায় আছেন?
১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৪১
লাইফস্টাইল ডেস্ক
গর্ভধারণের পর থেকে সাধারণত এক ধরণের দাগ দেখা যায় পেটের চারপাশে। আবার অনেক সময় নিতম্ব, উরু, কাঁধ এমনকি স্তনের ত্বকেও দেখা দিতে পারে এই দাগ। স্ট্রেচমার্ক নামে পরিচিত এই দাগ গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভাবনা আসে কীভাবে যাবে এই দাগ!
স্ট্রেচমার্ক দেখা দেয় মূলত শরীরের চামড়ার নিচের কিছু কলা বা টিস্যুর পরিবর্তনের কারণে। প্রথম দিকে এই দাগ গোলাপী, লালচে বাদামী, বেগুনী বা কালচে বাদামী বর্ণের হতে পারে। সহজে শরীর থেকে চলেও যায় না এ দাগ।
কিভাবে বুঝবেন এটি ‘স্ট্রেচ মার্ক’?
অধিকাংশ নারীই গর্ভধারণের পর এই দাগ দেখতে পান। গবেষকরা বলেন, এই দাগ হওয়ার ক্ষেত্রে বংশগত বিষয়টি কাজ করে। যদি আপনার মা বা বোন এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করে থাকে তাহলে আপনারও এটা হতে পারে। সর্বোপরি, প্রেগনেন্সির সময় আপনার শরীর যত বেশি বাড়বে বা প্রসারিত হবে তত বেশি সম্ভাবনা এই দাগ হওয়ার। যেসব কারণে স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে-
১. বেশি ওজন
২. জমজ বাচ্চা বা তারও বেশি সন্তান ধারণ
৩. পেটে বাচ্চা আকারে অনেক বড় হলে
এবং
৪. শরীরে বা পেটের ভেতর অতিরিক্ত অ্যামনিয়োটিক তরল জমা হলে সাধারণত এই ধরনের দাগ দেখা যায়।
কিভাবে এই দাগ দূর করবেন?
আসলে স্ট্রেচমার্কের ক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তবে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন।
১. ওজন অবশ্যই বাড়তে দেয়া যাবে না। গর্ভধারণ মানেই ওজন কোন সীমা পরিসীমা না মেনে অনেক বাড়বে, এটা প্রাচীন ধারণা।
২. কোন প্রকার ক্রিম, মলম বা তেল জাতীয় কোন কিছু উপকারে আসে না। তবে চুলকানী থেকে বাঁচতে গেলে পেটে ময়েশ্চারাইজিং কিছু ব্যবহার করা যেতেই পারে।
হয়ত একসাথে সব দাগ দূর করতে পারবেন না। তবে যদি দাগ থেকেই যায় আপনি ত্বকবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্টও রয়েছে এ জন্য। ট্রেশনোইন (রেটিন-এ) এবং গ্ল্যাকোলিড এসিড এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। তবে রেটিন- এ অবশ্যই প্রেগনেন্সির সময় ব্যবহার করা নিরাপদ না, এটি মাথায় রাখবেন। এটি ব্যবহার করা যাবে সন্তান প্রসবের পর।
লেজার ট্রিটমেন্টেও কাজ হয়। এটি অনেক সময় আপনার শরীরের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে। যেহেতু স্ট্রেট্চ মার্ক বা দাগগুলো শরীরের কলা বা টিস্যুর পরিবর্তন তাই এগুলো নিরসনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট করাতে হবে।
সারাবাংলা/এমবি /এসএস