Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোজায় যত্ন নিন মুখ ও দাঁতের

শাশ্বতী মাথিন
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২৯

রোজায় অনেকটা সময় না খেয়ে থাকা, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানি পানের অভাব ইত্যাদি কারণে মুখ ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

রোজায় মুখের দুর্গন্ধের তীব্রতা বাড়তে পারে। এটি অনেকের জন্যই বিব্রতকর। আবার রোজার সময় সারাদিন পানি পান না করা এবং খাবার না চিবানোর কারণে মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়। এতে দাঁত পরিষ্কার রাখা, জীবাণু প্রতিহত করা, মুখ পিচ্ছিল রেখে কথা বলতে সাহায্য করা এবং ঘর্ষণজনিত ক্ষুদ্র ক্ষত থেকে দাঁতকে রক্ষা করাসহ লালার বিভিন্ন কাজ ব্যাহত হয়। পানি পান না করার কারণে মুখ হয়ে পড়ে শুষ্ক। শুষ্ক অবস্থায় মুখের রোগ বাড়ে।

বিজ্ঞাপন

রোজা রেখে অনেকে দাঁত ব্রাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। এই বিষয়টিও দাঁতের জন্য ক্ষতির কারণ। আবার অনেকের ক্ষেত্রে বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া ও খাবারের নিয়মের তারতম্যের কারণে পেটে এসিড হয়। পেটের এসিড দাঁতে এসে ক্ষয় তৈরি করে। তাই এই সময় মুখ ও দাঁতের যত্নে সচেতন হওয়া জরুরি।

মুখের দুর্গন্ধ রোধে

টিভি উপস্থাপক ও অনামিকা ডেন্টালের ডেন্টাল সার্জন ডা. সানজিদা হোসেন পাপিয়া বলেন, ‘মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে রোজা ভাঙার পর ইফতার থেকে সেহরির আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। যারা টুথপেস্ট ব্যবহার করতে বা দাঁত ব্রাশ করতে অস্বস্তিবোধ করে তারা মেসওয়াক ব্যবহার করতে পারে। এটি বিজ্ঞানসম্মত। এ ছাড়া ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা যেতে পারে এবং অ্যালকোহলমুক্ত মাউথ ওয়াশও ব্যবহার করা যায়।’

মুখের শুষ্কতা রোধে

রাজ ডেন্টাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, ‘ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত তরল পান করতেই হবে। পাশাপাশি বাজারজাত কোমল পানীয় বা কৃত্রিম ফলের জুস পরিহার করুন। লেবুর শরবত, মৌসুমি ফলের জুস (যেমন: কাঁচা আম, মালটা, বেল, আনারস, তরমুজ ইত্যাদির জুস) তৈরি করে খেতে পারেন। এতে দেহে পানীয়ের চাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ইসপগুলের ভুসি।’

বিজ্ঞাপন

তবে এসব পানীয় চিনিমুক্ত রাখাই ভালো। এই সময় মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায়, তত উপকার। এ ধরনের খাবার মুখ ও দাঁতের রোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে জানান ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ।

এসিডিটির সমস্যা প্রতিরোধে

দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে খাদ্যতালিকা অবশ্যই স্বাস্থ্যবান্ধব হতে হবে জানিয়ে ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ বলেন, ‘সেহরি ও ইফতারে রুটি, খিচুড়ি, ভাজাপোড়া খাবার এসিডিটি ও পিপাসা বাড়াতে পারে। এসবের পরিবর্তে সেহরিতে পরিমিত ভাতের সঙ্গে ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, এক কাপ দুধ বা টক দই, মিষ্টি ফল রাখতে পারেন। ইফতারে মজাদার ভাজাপোড়া খাবার মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এমনকি ছোলাভাজার পরিবর্তে কাঁচা ছোলা সিদ্ধ করে আদা কুঁচি করে খাওয়া যেতে পারে। শসা, ক্ষীরা, পেয়ারা এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন। মুড়ি বা চিড়াও খাওয়া যায়। এসব খাবারে এসিডিটি প্রতিরোধ হবে বা কম এসিডিটি হবে।’

সারাবাংলা/এসবিডিই

রোজায় যত্ন নিন মুখ ও দাঁতের

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর