Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদ হোক সুস্বাস্থ্যের ও আনন্দের

লাইফস্টাইল ডেস্ক
২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫১

রোজার সময় টানা একমাস ধরে দিনের বেলায় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যা আর রাতে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের হজম প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। রোজার মাসে আমাদের ঘুমের সময় এবং দৈনিক রুটিনেও পরিবর্তন হয়। কিন্তু রোজা শেষে ঈদের দিন থেকে আমরা দিনের বেলায় খাবার খাওয়াসহ আবার পুরনো রুটিনে ফিরে যাই। এর ফলে একমাস পর শরীরকে আবার নতুন নিয়মের সাথে খাপ খাওয়াতে হয়। এসময় শরীরকে পরিবর্তিত নিয়মের সাথে খাপ খাওয়াতে আমাদেরকে সচেতনভাবে সাহায্য করতে হয়। সঠিক খাবার নির্বাচন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরকে পরিবর্তিত নিয়মের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে।

একমাস রোজার সময় সারাদিন না খেয়ে থেকে হঠাৎ করে ঈদের দিন একসাথে অনেক গুরুপাক এবং ভারি খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাতলা পায়খানা এরকম নানা ধরনের পেটের অসুখ ঈদের আনন্দটাই নষ্ট করে দিতে পারে। কিন্তু এটাও সত্য যে, একমাস রোজা রেখে ঈদের দিন আমরা সবাই পছন্দের খাবারগুলো খেয়ে তৃপ্তি পেতে চাই। তাই ঈদের সময় খাবার মেন্যুগুলো যেন হয় মুখরোচক স্বাদের এবং পুষ্টিকর যা ঈদের সময় খাওয়ার তৃপ্তি মেটাবে আবার শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেই ঈদের স্বাস্থ্যকর মেন্যুগুলো-

সকালের মিষ্টান্ন

ঈদের দিনের আনন্দটা শুরু হয় সকালে মিষ্টি খাবার খেয়ে। মিষ্টি খাবার খেতে হবে তবে সুস্বাস্থ্যের কথাও ভাবতে হবে। নানা রকম সেমাই, ফিরনি খেয়ে ঈদের সকাল শুরু করি আমরা। সকালটা শুরু হতে পারে স্বাস্থ্যকর মজাদার মেন্যু দিয়ে।
* রোজ শরবত
* দুধ আর নারকেল দিয়ে আটার তৈরি ভারমিচিলি সেমাই
* চাল আমন্ড রোজ ক্ষির
* গাজরের হালুয়া
* খেজুর তিলের কেক বা রোল
* খেজুর আর নারকেল দুধের পুডিং
* বাদাম তিলের লাড্ডু

মিষ্টান্নের সাথে ঈদের সকালে এক বাটি দেশি ফল খেয়ে নিলে সারাদিনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। চায়ের তৃষ্ণা পেলে এক কাপ গ্রীন টি সকালটা সতেজ করবে।
খেজুরে থাকা ফ্রুকটোজ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই সকালের খাবারের শুরুতে একটি খেজুর বা খেজুর দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে নিলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়ানো যায়। অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা এড়াতে উপরের খাবারের তালিকা থেকে যে কোনো দুটি খাওয়া যেতে পারে।

দুপুরের মেন্যু

মিষ্টি খাবারের মূল উপাদানই হল কার্বোহাইড্রেট। সকালে যেহেতু মূল খাবারটাই থাকে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ তাই দুপুরে প্রোটিনের উপর জোর দেওয়া যায় অনায়াসে। দুপুরে পছন্দের ভারী খাবারগুলো পরিমাণমত বুঝে খেলে শরীরের উপর চাপও পড়ে না, আবার রসনার তৃপ্তিও হয়। সারা বছর আমরা নানা ধরনের মাছ খাই তাই ঈদে মাংসের বিভিন্ন মেন্যু তৈরি করা যায়। নিচে কয়েকটি মেন্যুর তালিকা দেওয়া হল। এদের মধ্যে থেকে যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন।

১. পোলাও, দেশি মুরগীর রোস্ট, মুরগির সাদা কোরমা, সালাদ
২. চিকেন বিরিয়ানি, মাটন কাবাব, সালাদ
৩. কাচ্চি বিরিয়ানী, সালাদ

খাওয়া শেষে এক কাপ টক দই বা লেবু-পুদিনার শরবত খেলে খাবারগুলো ভালভাবে হজম হবে।

সারা বছর খাবার তালিকায় সবজি থাকে তাই ঈদের দিন সবজি খেতে ইচ্ছে করে না। সবজির চাহিদা পূরণে সালাদ রাখলে শরীরে আঁশজাতীয় খাবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি খাবার হজম হয় ভালভাবে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা হয় না। চল্লিশের কমবয়সীরা দুপুরে গরুর মাংস দিয়ে তৈরি কোন খাবার খেতে পারে। দুপুরের খাবার ভারী হওয়ায় যে কোনো এক ধরনের খাবার মেন্যু খেলে শরীর অতিরিক্ত ক্যালরির চাপমুক্ত এবং হালকা থাকবে।

রাতের খাবার

ঈদে সারাদিন নানা রকম ভারী খাবার খাওয়া হয় বলে রাতের খাবার হালকা হলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমতে পারে না। স্বাদও মিটবে আবার পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে এমন কিছু রাতে খেতে পারেন। যেমন-

১. বাটার চিকেন আর নান রুটি
২. হালিম, তন্দুরি
৩. চিকেন মোমো
৪. নিহারি, কাবাব এবং সালাদ
এগুলো থেকে যে কোনো একটি খাবার মেন্যু রাতে খেলে হজম ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে আবার ঈদে মজাদার খাবার খাওয়ার তৃপ্তিও উপভোগ করা যাবে।

সারাবাংলা/এসবিডিই

ঈদ হোক সুস্বাস্থ্যের ও আনন্দের ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর