চরের নারীদের নিয়ে নতুন উদ্যোগ- ‘কালারস ফ্রম দা চরস’
৯ মে ২০১৮ ১৯:০৩
লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বেসরকারী সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চরে বাস করা হতদরিদ্র, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছে এমন দুঃস্থ নারীদের হাতে তাঁতে বোনা কাপড় নিয়ে শুরু হল প্রদর্শন কেন্দ্র ‘কালারস ফ্রম দ্য চরস।’ গত ৮ মে বাড়িধারার কালাচাঁদপুরে উদ্বোধন হয় ফ্রেন্ডশিপের ‘কালারস ফ্রম দা চরস’ এর প্রথম প্রদর্শন কেন্দ্রের।
ফ্রেন্ডশিপ একটি প্রয়োজনীয়তা ভিত্তিক বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে। ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান ২০০২ সালে একটি ভাসমান হাসপাতাল দিয়ে শুরু করেন এই সংস্থা। ফ্রেন্ডশিপ একের পর এক নানারকম স্বতন্ত্র সমন্বিত সামাজিক উন্নয়ন মডেল তৈরি করে প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়মতি কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত নাগরিকত্ত্ব, স্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ।
সামাজিক উন্নয়নের অংশ হিসেবেই গত এক দশকে দুর্গম চরের সুবিধাবঞ্চিত প্রায় হাজারখানেক নারীকে কাপড় বোনার প্রশিক্ষণ দিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ। এখন গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের পাঁচটি বুনন কেন্দ্রে প্রায় একশ মহিলা কাজ করছে।
এখানে পাওয়া যাচ্ছে হাতে বোনা তাঁতের শাড়ি, সেলাইবিহীন সালোয়ার কমিজ, স্কার্ফ, ওড়না এবং দক্ষ কারুশিল্পীদের তৈরি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাগুলোর ক্ষুদ্র সংস্করন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেন্ডশিপের নির্বাহী পরিচালক রুনা খান; কালারস ফ্রম দা চরের সহকারী পরিচালক নাজরা মাহজাবিন সাবেতসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে রুনা খান বলেন, ফ্রেন্ডশিপের কালারস ফ্রম দা চরস এর ব্র্যান্ডের মূল ধারণাটি হল, চরে বসবাসকারী সর্বাধিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা। শ্রমের মর্যাদা দেওয়া এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্রয়োজনীয় উৎপাদন করাই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।
কাপড় বোনার জন্য এখানে মূলত সুতি এবং সিল্কের সুতো ব্যবহার করা হয়। রং করা, ছাপা এবং সূচিকর্ম এবং কাপড় তৈরির পুরো প্রক্রিয়াতে দেশীয় পদ্ধতি এবং দেশীয় তাঁত ব্যবহার করা হয়। কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা রঙগুলোও পুরোটাই প্রাকৃতিক। কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙ এখানে ব্যবহার করা হয়না।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রদর্শন কেন্দ্রে ছিল তাঁতে কাপড় বোনার প্রদর্শনৗ। ছিল কাঠের নৌকার ক্ষুদ্র সংস্করন তৈরির আয়োজন। এসময় অতিথিরা প্রদর্শন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখেন।
সারাবাংলা/আরএফ