Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রিয় বেড়ালছানা যেন হারিয়ে না যায়


১০ মে ২০১৮ ১৭:১১ | আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ১৭:১২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।

যার হারায় সেই জানে প্রিয় বেড়ালটা হারিয়ে গেলে কেমন লাগে। কারণ, পোষাপ্রাণি তো আসলে পরিবারের সদস্য। তাই নিজের বাচ্চা হারালে যেমন লাগে তেমনই লাগে কোন কারণে পোষা বেড়াল হারিয়ে ফেললে। আপনি ভাবতেই পারেন, আপনি যেহেতু মানুষ হিসেবে বেশ সাবধানী তাই আপনার বেড়াল হারানোর কোন সম্ভাবনা নাই। আসলে তা না। যেকোন সময় হারানো যেতে পারে আপনার বেড়ালটি কিংবা বেড়ালগুলো।  আপনার ভালোবাসার বেড়াল যাতে না হারায় এমন আটটি টিপস দেয়া হল এখানে যা মেনে চললে বেড়াল হারানোর ঝুঁকি কমে আসবে অনেকটাই।

মাইক্রোচিপ করে রাখুন বেড়ালের সব তথ্য

প্রিয় বেড়ালটিকে হারাতে না চাইলে তার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, যোগাযোগের জন্য একটা নাম্বার, ভেটের তথ্য, বেড়ালটি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ ইত্যাদি তথ্য একটি চাল আকৃতির মাইক্রো চিপে সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর চিপ বা যন্ত্রটি বেড়ালের চামড়ার নীচে ঢুকিয়ে দিতে হবে। একটা ইনজেকশনের মাধ্যমে করা হয় কাজটি। আপনার বেড়ালটি তার সারাজীবনেও টের পাবে না যে তার গায়ের সাথে একটা যন্ত্র লাগানো আছে। এভাবে বেড়াল হারানোর পরে ফিরে পাওয়া সহজ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

টিনটিন ও মিউমিউ

বেড়ালের জন্য কেরিয়ার বা বাহক আবশ্যক

বাইরে কোথাও গেলে বেড়াল হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বেড়ালরা কুকুরের মত ঘোরাঘুরিতে অভ্যস্ত নয় বরং তারা ঘরে থাকতে পছন্দ করে। তাই আপনি যখন বেড়াল নিয়ে বাইরে যাবেন তারা খুব ভয়ে ভয়ে ও বিচলতি থাকে। এভাবে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ও বেশি থাকে।

আপনার প্রিয় বেড়ালকে হারাতে না চাইলে ক্যাট কেরিয়ার বা বেড়াল নেওয়ার কোন ঝুড়ি বা বাক্স সাথে রাখুন। এতে করে আপনি বাইরে বের হলে বেড়ালরা লাফ দিয়ে বাইরে যেতে পারবেনা। আবার বেড়ালরা অস্বস্তি বোধ করলে আঁটসাট জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। নিজের বেড়ালের বয়স, আকার আর ভ্রমণের দূরত্ব বুঝে কেরিয়ার কিনুন ও তাকে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিন।

 

চেন বা দড়ি ও হারনেস রাখুন

না, আপনার কুকুরের জন্য না, বেড়ালের জন্যই দড়ি ও হারনেস রাখতে বলছি। যখন বাইরে যাবেন তখন সাথে কেরিয়ার থাকার পরেও সতর্কতার জন্য একটা দড়ি ও হারনেস রাখুন। দড়িটা আপনার হাতে রাখুন। এতে করে বেড়াল লাফ দিয়েও পালাতে পারবেনা। আবার বেড়াল নিয়ে বাইরে হাঁটতে গেলেও দড়িটা হাতে রাখুন। এতে করে আপনার বেড়াল নিরাপদেই বাইরের জগত আবিষ্কার করতে পারবে।

বাড়ির চারপাশের নিরাপত্তা বাড়ান

যেসব বেড়াল বাড়িতে থাকে তাদের জন্য সুরক্ষিত ঘরদোর খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেড়াল যেহেতু খুবই ফ্লেক্সিবল প্রাণি তাই তারা যেকোন জায়গা দিয়ে যাওয়া আসা করতে পারে। তাই দেওয়াল, দরজা বা গ্রিলে বেড়াল চলাচলের মত কোন ছিদ্র থাকলে তা বন্ধ করে ফেলুন যাতে বেড়াল না বাইরে যেতে পারে। আবার বারান্দার গ্রিলের নীচে দেওয়ালের উচ্চতা যদি খুব বেশি না হয় তাহলে গ্রিল ঢেকে রাখুন।

বেড়ালের কলার ও ট্যাগ রাখুন

ঘরে বা বাইরে আপনার প্রিয় বেড়ালকে যেন সহজে চিহ্নিত করতে পারেন তাই তার জন্য একটা কলার ও ট্যাগ রাখুন। এতে করে হারিয়ে গেলেও তাকে চিহ্নিত করা সহজ হবে।

মিউমিউ

স্পে অথবা নিউটার করে ফেলুন

আপনার বেড়ালকে স্পে ও নিউটার করে ফেললে বেশি বাচ্চা যেমন দেবে না তেমনি বেড়ালকে খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে। স্পে করার মাধ্যমে মেয়ে বেড়ালদের ওভারি ও জরায়ু বাদ দেওয়া হয় আর নিউটার করার মাধ্যমে ছেলে বেড়ালদের টেস্টিস কেটে ফেলা হয়। নিউটার না করা হলে ছেলে বেড়ালদের মাঝে যৌনতার ব্যাপারে ঝোঁক বেশি থাকে ও তারা মেয়ে বেড়ালের খোঁজে বাইরে যায় বেশি। এতে করে হারিয়ে যাওয়ার বা এক্সিডেন্ট করার প্রবণতা থাকে। আবার মেয়ে বেড়ালদেরও স্পে করা না হলে তারা নিজেদের গন্ধ যত বেশি সম্ভব জায়গায় ছেড়ে যায় যাতে পুরুষ বেড়ালরা সহজেই তাদের খুঁজে পায়। তাই স্পেয়িং ও নিউটারিং করা হলে আপনার বেড়াল বেশ আরাম বোধ করবে ও ঘরে আপনার আশেপাশে থাকতে পছন্দ করবে।

দিন বাড়তি মনোযোগ

বেড়াল যাতে না হারায় তা নিয়ে যত টিপসই আপনাকে দেওয়া হোক না কেন, সবার আগে দরকার আপনার মনোযোগ। যত সহজই শোন যাক না কেন, মনোযোগী হতেই আমরা ভুলে যাই আসলে। কাজ, অফিস, বাচ্চা, পরিবার সব মিলিয়ে বেড়ালের খোঁজ রাখতে ভুলে যাই আমরা। কিন্তু মনে রাখতে হবে বেড়ালও আপনার পরিবারের একজন সদস্য তাই সবসময় তার খোঁজ রাখতে ভুলে গেলে চলবে না। আপনার বাচ্চা বাইরে খেললে তার প্রতি যেভাবে মনোযোগ রাখেন, ঠিক সেভাবেই আপনার পোষা বেড়ালটির প্রতিও খেয়াল রাখুন। এতে করে হুট করে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকবেনা।

মিউমিউ

বেড়ালকে প্রশিক্ষণ দিন

কুকুর যেমন সহজে শিখে ফেলে, বেড়াল তত সহজে শিখতে চায়না। তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেড়ালকেও নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিতে শেখাতে পারেন। প্রয়োজন আপনার নিরবচ্ছিন্ন ধৈর্য। এতে করে বেড়াল সহজে হারাবে না। আবার আপনার বেড়াল  কীসে অনুপ্রেরণা পায় তা জানলে তাকে শেখানো সহজ হবে। যেমন খাবার দিয়ে বেড়ালদের লোভ দেওয়া সহজ। খাবারের প্যাকেট, কৌটা বা টিন খোলার শব্দ করতে করতে তাকে নাম ডাকলে সে বুঝবে তাকে ডাকা হচ্ছে। এতে সময় লাগলেও ধৈর্য হারাবেন না। একসময় দেখবেন সে তার নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

 

মডেল- টিনটিন ও মিউমিউ

 

সারাবাংলা/আরএফ/এসএস

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর