অনেক উপকারী আনারসের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো জানেন?
৬ জুলাই ২০২৪ ১২:৪৫
বর্ষাকালের সুস্বাদু ফল আনারস। এর রয়েছে নানারকম গুণাগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এখন সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডাজনিত রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনার প্রকোপ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আনারস খান। তবে আনারসের কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। সেসব ঝুঁকি এড়াতে আনারস খাওয়ার সময় সতর্কতা বজায় রাখুন। আসুন দেখে নেই ঝুঁকিগুলো কি?
আনারসের আছে মাংস নরম করার ক্ষমতা। তাই মাংস রান্নায় আনারস দিলে দ্রুত সিদ্ধ হবে। কিন্তু এই দিকটি ক্ষতিকর হতে পারে আমাদের মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের জন্য। আনারস বেশি খেলে তা অনেকেরই মুখ, ঠোঁট, জিহ্বার ক্ষতি করতে পারে। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এই সমস্যা।
অনেকের আবার আনারসে এলার্জিও দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনরকম ত্বকে র্যাশ, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া বা নিঃশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলাও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর। এতে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, বমিভাব অথবা পেটব্যথা। তাই স্বাস্থ্যগুণের কথা বিবেচনা করে আনারস খেলেও একটু মেপেই খান।
অতিরিক্ত আনারস খাওয়ার কারণে মেয়েদের পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর কারণ, আনারসে থাকা উচ্চ মাত্রার ব্রোমেলেইন। অ্যান্টি-বায়োটিকস, ঘুমের ওষুধ এবং আরও কিছু ওষুধ চলাকালীনও ক্ষতিকর হতে পারে আনারসে থাকা ব্রোমেলেইন। তাই কোন ধরণের ওষুধ খাওয়াকালীন অবশ্যই আনারস খেতে পারবেন কিনা তা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন।
পাকা আনারস খেতে যেমন মজা, তেমনি তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কিন্তু কাঁচা আনারস হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এটি খেলে ভয়াবহ মাত্রার ডায়রিয়া বা বমি দেখা দিতে পারে। শুধু কাঁচা আনারসই নয়, পাকা আনারসের ভেতরে থাকা স্টেম বা সাদা অংশটিও খাবেন না। এটি খাদ্যআঁশ দলা পাকিয়ে হজমে বাঁধা দেয়। ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাটার সময় আনারসের সাদা আর শক্ত অংশ কেটে ফেলে দিন।
সারাবাংলা/এসবিডিই
অনেক উপকারী আনারসের স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো জানেন? লাইফস্টাইল সুস্থ থাকুন