বাদাম খান, ওজন কমবে নিশ্চিত
২৮ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১১
শারীরিক পরিশ্রম তুলনামূলক কম হওয়ায় ওজন বেড়ে যাচ্ছে অনেকের। ওজন বেড়ে গেলে তা কমানো বেশ কঠিন। তাই এ ব্যাপারে আগেভাগেই সচেতন হওয়া দরকার।
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে শর্করা কম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। জাঙ্ক ফুড বাদ দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম সেরা হলো চিনাবাদাম। এই উপাদানটি দামে সস্তা ও হাতের নাগালে সহজেই পাওয়া যায়।
আমেরিকার ‘দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশন’ এর করা সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, চিনাবাদাম ওজন কমাতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই, এ ব্যাপারে গবেষকদের দেয়া তথ্যগুলো-
ওজন নিয়ন্ত্রণে
চিনাবাদামে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি। ওজন কমানোর জন্য দেহে এই ভালো চর্বির প্রয়োজন আছে। তাছাড়া চিনাবাদামে রয়েছে প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড। ফলে এটা খেলে অনেকক্ষণ পেটভরা অনুভূতি থাকে এবং ঘন ঘন ক্ষুধার প্রবণতা কমে যায়। আবার চিনাবাদাম হজমে বেশি শক্তি লাগে বলে ক্যালরিও যথেষ্ট খরচ হয়।
নাশতায় চিনাবাদাম
ওজন কমানোর জন্য চিনাবাদাম সকালের নাশতায় খেতে পারেন। ৩০ গ্রাম বা একমুঠো বাদাম রাতেই পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে পানি ফেলে বাদাম খেতে হবে। তবে বাদামের সঙ্গে কাচা লবণ না মশলা মেশালে ওজন কমাতে সহায়তা করবে না। তাছাড়া কাচা লবণ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রোটিন থাকে। ফলে সকালের নাশতায় চিনাবাদাম খেলে ঘনঘন খেতে ইচ্ছা করে না। এছাড়া শরীরে চর্বি জমার আশঙ্কাও থাকে না।
উচ্চমানের পুষ্টি
স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও চিনাবাদামে থাকে ভিটামিন ই, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও আরো কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ফলে ওজন কমাতে তো বটেই, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন অল্প করে হলেও চিনাবাদাম খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধে
চিনাবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই করোনাকালে সুস্থ থাকতে নিয়মিত খেতে পারেন চিনাবাদাম। ওজন কমানোর জন্য বাদামের মাখন বা ‘নাট বাটার’ না খেয়ে সরাসরি চিনাবাদাম খেতে হবে। ডেজার্ট, স্ন্যাকস, কেকসহ নানা খাবারে চিনাবাদামের ব্যবহার স্বাদে ভিন্নতা আনে।
সারাবাংলা/এসবিডিই