কিছু কিছু ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসের মূল সমস্যাই হচ্ছে কোনটা খাওয়া উচিৎ সেটা না বলে কোনটা খাওয়া উচিৎ না তাই বলে। এটা খাবেন না ওটা খাবেন না শুনতে শুনতে মানুষ অনেক সময় কোন নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে বিরক্ত হয়। এভাবে না ভেবে বরং এমনভাবে বলা দরকার যে খাবার থেকে চিনি বাদ দেওয়ার আগে আপনি স্বাস্থ্যকর খাবারে মনযোগী হন যেগুলো আপনার জাংক ফুড খাওয়ার ইচ্ছাকে প্রশমিত করবে। আজ জানিয়ে দিচ্ছি কোন চারটি খাবার নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের বিপাক ক্রিয়া গতিশীল হবে এবং ওজন কমতে শুরু করবে। ওজন কমাতে এই চারটি খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করে ফেলুন আজই।
লেবু
সকালে ঘুম ভেঙে গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে বিপাক প্রক্রিয়া ভালো হয় বলে তো জানেনই। সে তো আছেই, এর বাইরে খাবারের আগে বা খাবারের মাঝে কয়েক চামচ লেবুর রস খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সালাদ বা তরকারির উপর লেবুর রস দিয়ে নিন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ার সাথে সাথে খাবার থেকে আপনার রক্তে মিশে যাওয়া চিনির পরিমান নিয়ন্ত্রণ হবে।
দারুচিনি
চমৎকার স্বাদের এই মশলাটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ইনসুলিন সংবদনশীলতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে। দারুচিনি খেতেও খুব মজা আবার এটি আমাদের মিষ্টি খাবার খাওয়ার আগ্রহকে দমন করে।
কেয়ান পিপার
কেয়ান অধিক ক্যালরি পোড়াতে ও কার্ব খাওয়ার আগ্রহ কমাতে সাহায্য করে। আজকাল সুপার মার্কেটে সবই পাওয়া যায়। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়তে তাই আজই বাজার করার তালিকায় যোগ করে নিন কেয়ান পিপার।
নারকেল
নারকেল আমাদের দেশে ভীষণই জনপ্রিয়। নারকেল আমরা স্বাদের কারণে খেয়ে থাকি অথচ নারকেল তেল এবং নারকেলের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। নারকেল তেল এবং নারকেলের দুধ দুটোতেই আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাবারে নারকেলের দুধ তো আমরা ব্যবহার করিই, আজ থেকে না হয় নারকেলের তেল দিয়েও রান্না করে দেখি মাঝেমধ্যে।