Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হেমন্তে চুলের যত্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:২৯ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩১

হেমন্ত মানেই শুষ্ক আবহাওয়া। হেমন্ত মানেই চুলে রুক্ষতা। কারণ এই সময়ে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়, ফলে আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায় চুল। অন্যদিকে এই সময় বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে চুলে জট বাধে বেশি, নোংরাও হয়। তাই এই সময়ে চুলের যত্নে দরকার একটু বাড়তি মনোযোগ।

আসুন জেনে নেই এ সময়ে চুলের যত্নে কিছু টিপস—

তেল
চুলের যত্নে তেলের বিশেষ ভূমিকা আছে। তবে এই সময়ে চুলে তেল ব্যবহারে একটু সচেতন হতে হবে। মানতে হবে নিয়ম। এই সময়ে চুলে তেল মেখে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না কোনোভাবেই। কারণ বাতাসে ধুলোবালি এখন একটু বেশিই। চুলে তেল থাকলে ধুলোবালি লাগে বেশি। তাহলে উপায়? উপায় একটাই শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে তেল গরম করে মাথার তালুতে লাগিয়ে মাসাজ করুন। চুলে লাগানোর দরকার নেই। এরপর হালকা গরম পানিতে নরম তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় ভালো করে জড়িয়ে ঘুমোতে যান। পরদিন অবশ্যই শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে বের হবেন।

চুল বাঁধা
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল বেঁধে নিন। কারণ চুল খোলা থাকলে তা বালিশে বেশি ঘষা লাগে। চুল বাঁধা থাকলে ঘষা লাগবে না। ফলে ডগা ফাটবে না। এছাড়া বাইরে বের হওয়ার সময় চুল বেঁধে নিন। মনে রাখবেন, অফিসে কাজ করার সময় কখনোই চুল খুলে রাখবেন না। কারণ এসিতে চুল বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ভেজা চুল বাঁধবেন না।

শ্যাম্পু
চুল পরিষ্কার রাখাই হলো চুলের যত্নের প্রথম ধাপ। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। কারণ চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বিকল্প কিছু ভাবা যায় না। এতদিন কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করেছেন তা দেখে কোনো লাভ নেই, তা বদলে ফেলে ব্যবহার করুন ক্রিম বেসড বা বিয়ার বেসড শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু চুলকে কেবল পরিষ্কারই করবে না, পাশাপাশি আর্দ্রতাও বজায় রাখবে। মনে রাখবেন, শ্যাম্পু সবসময় মাথার তালুতে লাগাবেন, চুলে লাগাবেন না। মাথা ধোয়ার সময় শ্যাম্পুর ফেনাতেই চুল ধোয়া হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

কন্ডিশনার
চুলকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই নিয়মিত কন্ডিশনিং করা জরুরি। এটা সবসময়ই করা উচিত। তবে এই সময়ে এ বিষয়ে একটু বেশিই যত্নবান হতে হবে। কারণ এই সময় চুল হঠাত্ রুক্ষ হয়ে যাওয়ায় চুলে ডিপ কন্ডিশনিং অব্যর্থ দাওয়াই। শ্যাম্পুর মতোই ক্রিম বা বিয়ার বেসড কন্ডিশনার চুলের রুক্ষতা দূর করবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কন্ডিশনিং করতে পারলে খুব ভালো হয়। চায়ের লিকারের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন উপাদান। এছাড়া শ্যাম্পুর করার পর বিয়ার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেললেও চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে সুন্দর ঔজ্জ্বল্যভাব আসে। মনে রাখবেন, কন্ডিশনার সবসময় চুলে লাগাবেন, তালুতে নয়।

রঙ
আপনার চুলে যদি রঙ করা থাকে তবে এই সময়ে নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। তবে চুলে যদি রঙ করা না থাকে তাহলে এই সময়ে নতুন করে রঙ না করাই ভালো। কারণ চুলে রঙের ব্যবহার চুলকে শুষ্ক করে তোলে।

ড্রায়ার
এই সময়ে ড্রায়ার ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। কারণ ড্রায়ার চুলে সরাসরি হিট দেয়। ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। যদি সুন্দর স্টাইল করে চুল কেটে রাখেন তাহলে ড্রায়ার ব্যবহার করার দরকারই পড়ে না। চুল ড্রায়ার দিয়ে না শুকিয়ে পিঠের ওপর বিছিয়ে হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। তবে ভেজা চুল নিয়ে কখনোই বাইরে বের হবেন না।

প্যাক
সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে প্যাক লাগান। এই সময়ে হেনা কিংবা ডিম জাতীয় কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব চুলকে আরও বেশি রুক্ষ করে। লাগাতে হবে কলা ও মধুর প্যাক। এই প্যাক চুল নরম করবে। মনে রাখবেন, প্যাক সবসময় চুলে লাগাবেন। মাথার তালুতে নয়।

স্পা
মাসে অন্তত একবার চুলে স্পা করা খুব জরুরি। পার্লারে গিয়ে কিংবা বাড়িতে স্পা কিট কিনে স্পা করুন। বাড়িতে করলে মাসে দুই বার আর পার্লারে গিয়ে করালে মাসে অন্তত একবার স্পা করান। এতে চুল সুন্দর ও সুস্থ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

ট্রিম
চুলের ডগা হাতের তালুতে নিয়ে খেয়াল করুন ডগা ফেটে গেছে কিনা। যদি ডগা ফাটা থাকে তাহলে শীত পড়ার আগেই ট্রিম করে নিন। কারণ ডগা ফাটা চুল শীতকালে আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। আর সে কারণে চুল পড়ে যাবে। তাই এখনই সচেতন হন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

সারাবাংলা/এসবিডিই

হেমন্তে চুলের যত্ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর