স্বাস্থ্যকর সেহরিতে যা রাখবেন
১৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৩
রোজা রেখে সব ধরনের স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যেতে নিজেকে সুস্থ্য রাখার বিকল্প নেই। এজন্য সেহরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ্য থাকার জন্য সেহরিতে এমন কিছু খেতে হবে যা আপনাকে সারাদিন শক্তি যোগাবে। এবছর গ্রীষ্মকালে রোজা হওয়ায় সেহরিতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাবার যুক্ত করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যকর সেহরির কিছু টিপস।
পানি পান করুন ২- ৩ লিটার
গরমকালে পানিশূণ্যতা রোধে অবশ্যই সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে রোজার সময় শরীরে সারাদিন পানির চাহিদা পূরণ করতে অন্তত ২ লিটার বা ৬০ আউন্স পানি পান করতে হবে। সেহরিতে অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করতে হবে। একসঙ্গে বেশি পানি পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হালকা খাবার খান
সেহরিতে অবশ্যই হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। যদি মনে করে থাকেন, বেশি করে খাবার খেলে সারাদিন ক্ষুধা লাগবে না, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। এমন খাবার খান যাতে অনেক বেশি ফাইবার আছে। ফাইবারসম্মৃদ্ধ খাবার আপনাকে সারাদিন শক্তি যোগাবে।
লবন, ঝাল ও চিনিজাতীয় খাবার দূরে রাখুন
বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলবে। লবন, মরিচ ও চিনি’র সোডিয়াম শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে। তবে বেশি ঝাল, চিনি ও লবনজাতীয় খাবার খেলে শরীরের কোষ থেকে পানি বের হয়ে যায়। যার ফলে আপনি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন।
পানিজাতীয় খাবার খান
অনেক বেশি পানি আছে, যেমন শসা- টমেটোর সালাদ, রসালো ফল যেমন তরমুজ, কমলা ইত্যাদি খাবার সেহরিতে যোগ করতে পারেন। এসব খাবার সারাদিন আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করবে।
সেহরিতে রাখুন দেশি ফল
শরীরকে সুস্থ্য রাখতে রোজার সময় ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কপার, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এছাড়া ফলে অনেক বেশি গ্লুকোজ থাকে যা শরীরে সারাদিন শক্তি যোগায়। বিশেষ করে সঠিক পুষ্টি পেতে সেহেরিতে কলা রাখা খুব জরুরি। কলা কম ক্যালরিসম্পন্ন। এতে অনেক বেশি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
পর্যাপ্ত ঘুম
শারীরিক সুস্থ্যতার অনেকটাই নির্ভর করে পর্যাপ্ত ঘুমের ওপর। রোজার সময়েও শরীরকে সুস্থ্য রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠে যেতে হবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যতই ক্লান্ত থাকেন না কেন, অবশ্যই ফজরের ৪০ থেকে ৫০ মিনিট আগে ঘুম থেকে ওঠে পড়ুন এবং সময় নিয়ে সেহরি করুন। এরপর সকাল হওয়া উপভোগ করুন।
দই খান
সেহরির পর দই খাওয়া খুবই উপকারি। এটি এসিডিটি, এমনকি পানিশূণ্যতা রোধেও অনেক ভালো কাজ করে।
সেহরিতে এসব টুকিটাকি মান আপনার রোজাকে সহজ করতে ও নিজেকে সুস্থ্য রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এসব খাবার আপনাকে সারাদিন পানিশূণ্যতা রোধেই সাহায্য করবে না, বরং এগুলো আপনাকে ক্ষুধাজনিত বিভিন্ন রোগ থেকেও দূরে রাখবে।
সারাবাংলা/এসবিডিই