বুকের কোন পাশটার নাম রাখি, গৌহাটি
১৬ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৫
প্রতিদিন মূল্যবোধের ঘাটতির দিকে, নীতি,আদর্শের অপচয়ের দিকে তাকাতে তাকাতে ক্লান্ত,বিমর্ষ,মলিন সেই চোখ যখন পড়ল ভূপেন হাজারিকার সমাধিস্থলের দিকে,মনে তখন আচমকা বেজে ওঠে, “বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের-হাহাকার শুনেও,নিঃশব্দে নীরবে- ও গঙ্গা তুমি-গঙ্গা বইছ কেন?”
ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলি, জানালার গ্লাস নামিয়ে দু’চোখ ভরে দেখে নেই বাংলা গানের কিংবদন্তি ভূপেন হাজারিকার শেষ শয্যার স্মৃতি। সেই স্মৃতি ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। সুবিশাল গেইট, পথের দু’ধারে সারি সারি গাছপালা আর ছোট ছোট জলাধার। আমার উৎসুক চোখ খুঁজে বেড়ায় অনুষ্ঠানস্থল ‘পি.ডি হল’। হ্যাঁ, এ মিলনায়তনেই উদ্বোধন হচ্ছে দু’দিন ব্যাপী ইংরেজি শিক্ষকদের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন যার জন্য আমার গৌহাটি আসা।
রবীন্দ্রনাথ পাঠদানের ক্ষেত্রে ভ্রমণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ফ্রয়বেলের মতো কবিগুরুও বিশ্বাস করতেন যে, বিশ্বে একটি ঐক্যসূত্র মানুষ, প্রকৃতি, ঈশ্বরকে এক বন্ধনে বেঁধে রেখেছে। সেজন্য কতগুলি বিষয়জ্ঞানের মধ্যে শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সম্পূর্ণ স্বাধীন পরিবেশে বিশ্বের ঐক্যসূত্রকে উপলব্ধি করে তারই একজন হয়ে তার সঙ্গে সাযুজ্য স্থাপন করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ বলেন,”প্রকৃতির ক্রোড়ে জন্মে যদি প্রকৃতির শিক্ষা থেকে দূরে সরে থাকি, তাহলে শিক্ষা কখনও সার্থক হতে পারে না।” গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ, পথের ধারের বৃক্ষরাজি, ফাগুনের আগমনী বাতাসে ঝরে পড়া পাতা, লাজুক ফুল গাছ-কেবলই রবী ঠাকুরের কথা মনে করিয়ে দেয়। মনে মনে নতজানু হই, কৃতজ্ঞতা জানাই শিক্ষকজীবনকে।
জানুয়ারি মাসে সিলেট বসে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এআইএনইটি কনফারেন্সের জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছি মাথার ভেতর তখন ভাবনা ও দুর্ভাবনার দোলাচল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দাপট, পোস্ট কভিড চ্যালেঞ্জ, ভাষা শিক্ষার সাথে সফট স্কীলের সংযোজন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলার জন্য শিক্ষা-এমনতর চিন্তাস্রোত বয়ে চলছিল মস্তিস্কজুড়ে। আবার নানা দেশে নানা জায়গা ঘুরে বেড়ালেও বাড়ির পাশে আরশিনগর,গৌহাটি প্রথমবারের মতো যাব- এ উত্তেজনাও কম ছিল না।
অত:পর ২ ফেব্রুয়ারি শিলংয়ের মেঘমোড়া পাহাড়ী পথঘাট পেরিয়ে গৌহাটি যখন পৌছাঁই দিনের আলো তখন নিভু নিভু। গৌহাটি শহরে সেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনী বার্তা। ফ্লাইওভারের রেলিং ঢেকে গেছে বিজেপির পতাকায়। শহরজুড়ে তুমুল যানজট। সড়কের দু’ধারে অসমীয়া ভাষায় লেখা সাইনবোর্ডগুলো চোখে লাগে। ভাষার বৈচিত্র্যময়তা দোলা দেয় ভেতরে ভেতরে। সন্ধ্যাবাতির উজ্জ্বলতা মিলিয়ে গেলে পৌছাঁই বিরুবাড়ী,মাসতুতো বোনের বাসায়। জীবনের প্রথম দেখা তাঁর সাথে,তাঁদের সাথে। বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন কোলেচড়া বয়সে। লন্ডনে কীর্তনের আসরে মহানাম গাইতে গাইতে অনন্তের পথে মেসোর পাড়ি দেয়ার গল্প শুনে শুনে আমরা বড় হয়েছি। খুব অকালে মেসোর এই মৃত্যু তছনছ করে দেয় তাদের স্বপ্ন- সংসার। মাসীদের মধ্যে সবার বড় সন্ধ্যা মাসীর জীবনে তখন আচমকা ‘সন্ধ্যা’ নেমে আসে। শিলচরে শুরু হয় দুই মেয়েকে নিয়ে অকাল বিধবা মাসীর জীবন যুদ্ধ। হাল ছেড়ে দেন নি তবু। দুই মেয়ে, দীপালী,দীপ্তিকে মানুষ করার যুদ্ধে তাঁকে লড়তে হয়েছে অনেকটা একাই।সেই সন্ধ্যা মাসীর ছোট মেয়ে দীপ্তি দি,আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট। বিয়ে করে থিতু হয়েছেন গৌহাটি। স্বামী আসাম পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। একমাত্র ছেলে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে। আবেগ-মায়ায় অন্যরকম কেটে যায় গৌহাটির প্রথম রাত।
পরদিন সকালবেলা রওনা দেই ঝালুকবাড়ী, গন্তব্য গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। পথে পথে চিরচেনা দৃশ্য। পথের ধারে ধারে মন্দিরে উড়ছে ধূপের ধোয়া। কাসের শব্দ কানে আসে। গলিতে গলিতে বাজারের কোলাহল। জীবন জেগে উঠছে। গলি পেরুলেই ফ্লাইওভার। বস্তুত, ফ্লাইওভারে মোড়া দেখি গোটা গৌহাটি শহর। চেনা চেনা লাগে এ শহরকে,আত্নীয় মনে হয় সব মানুষকে। এমনই তো হবার কথা! সিলেট-গৌহাটি,ভাষা-সংস্কৃতি-জীবনাচরণে কত মিল,মাঝখানে শুধু ব্রহ্মপুত্রের ভাগ টেনে দেয়া।
সকালবেলার পথঘাট খানিকটা যানজট মুক্ত থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গন্তব্যে পৌঁছাই। কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে পি.ডি হলে। সেখানে পৌঁছাতেই দেখা এআইএনইটি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. অমল পাদওয়াডের সাথে। ভার্চুয়াল যোগাযোগ অনেকদিনের হলেও তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনায় বোঝা যায় নি যে, স্বশরীরে এই প্রথম দেখা। পরিচয় করিয়ে দিলেন কনফারেন্সের অন্যতম সংগঠক প্রফেসর ড. কৃষ্ণা দিক্ষিতের সাথে। এরই মাঝে ছুটে এলেন গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএলটি ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. পদ্মিনী বড়ুয়া। আয়োজনের ব্যস্ততার ফাঁকে হয়ে গেল ছোট্ট এক আড্ডা।
দিনের আলো বাড়তে থাকে। ভারতের নানা প্রদেশ থেকে শিক্ষকরা জড়ো হতে থাকেন। রেজিস্ট্রেশন বুথে জটলা বাড়ে, বাড়ে কাঁধে ঝুলানো কনফারেন্স ব্যাগওয়ালা মানুষের সংখ্যা। এ বড় আনন্দজড়ানো সময়। যখন যেখানে সেমিনার, সিম্পজিয়ামে গেছি,এই মুহুর্তটা বুকে এসে নাড়া দেয় আলাদা করে। প্রতিদিনকার রুটিন জীবনের বাইরে এসে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী হয়ে যান এসময়। চোখেমুখে লেপ্টে থাকে উৎসুকভাব। শিক্ষকতো প্রকারান্তরে আজীবন শিক্ষার্থীই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সং পরিবেশনের মাধ্যমে। “শত শত বন্তিৰ/ জ্ঞানৰে দীপালীয়ে/জিলিকাব লুইতৰে পাৰ।” ভূপেন হাজারিকার কথাগুলো শরীরের লোমকূপে শিহরণ জাগায়। মঞ্চে তখন আসাম সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পি. মোহান্ত, ব্রিটিশ কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ফার্স্ট সেক্রেটারি সারাহ রজারসন,আমেরিকান দূতাবাস, দিল্লীর রিজিওনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ অফিসার এম.এন.রিশারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ই.এল.টি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. পদ্মিনী বড়ুয়া তাঁর বক্তব্যে জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। উল্লেখ করেন, গৌহাটি অঞ্চলের মানুষের দানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ বিদ্যাপীঠ আজ কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উত্তরপূর্ব ভারতের অহংকার হয়ে। উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান অতিথি পি.মোহান্তের বক্তব্য মুগ্ধতা ছড়ায় মিলনায়তনজুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিম সংয়ের প্রায়োগিক বিশ্লেষণ করে তিনি বেদ,উপনিষদ,বেদাঙ্গের সাথে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার এক অনুপম যোগ সাজুয্য তুলে ধরেন।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনফারেন্সের প্রথম কী নোট উপস্থাপন করেন সারাহ রজারসন। ‘দ্যা ফিউচার অব ইংলিশ:ইম্পলিকেশন ফর টিচার্স’ শীর্ষক এ আলোচনা নানাবিধ ভাবনার জন্ম দেয়। এরপর একে একে পুরো দিনজুড়ে শিক্ষকতার বহুমুখী সম্ভাবনা,চ্যালেঞ্জ, নতুন নতুন ধারণা ইত্যাদি নিয়ে চলতে থাকে প্ল্যানারী বক্তব্য এবং কর্মশালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই.এল.টি বিভাজুড়ে যেন বসেছে তথ্য ও তত্ত্বের মিলন মেলা। শিক্ষকতার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে কত কত সংযোজন ঘটছে প্রতিনিয়ত। পাঠদান পদ্ধতিতে আসছে নতুনত্ব। ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সাথে যুক্ত হচ্ছে অর্থনীতি,সমাজ-সংস্কৃতিবিদ্যা। শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত খাপ খাওয়াতে হচ্ছে এসব পরিবর্তনের সাথে। এ জাতীয় কনফারেন্স শিক্ষকদের ভাবনার দূয়ার খোলে দেয়। পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের মধ্য দিয়ে রচিত হয় নতুন ভাবনা।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিন, ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল আমার উপস্থাপনা। সকালের সেশনে আমার বক্তব্য, ভাবনা বিনিময় করি। মূলত, ইংরেজি ভাষা শিক্ষার উপাদান হিসেবে কিভাবে নিজেদের কমিউনিটি নির্ভর বিষয়গুলো ব্যবহার করা যায় তা নিয়েই আমার আলাপ। বাস্তবজীবন কিংবা অভিজ্ঞতা নির্ভর অথবা অথেনটিক টেক্সট নির্ভর পাঠ কিভাবে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে তরান্বিত করতে পারে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো কি হতে পারে-এটা তুলে ধরার চেষ্টা করি আমি। প্রশ্ন-উত্তরে জমে উঠে সেশন। এক নির্মল আনন্দে দুলতে দুলতে পার করি সময়টা। দুই দিন ব্যাপী কনফারেন্সে আলোচিত হয় নানাবিধ বিষয়- হ্যাপী ক্লাসরুম,প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইংরেজি শিক্ষায় মা-বাবার ভূমিকা, সোশ্যাল-ইমোশনাল লার্ণিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি, ডিজিটাল ইমিগ্র্যান্ট, জেন্ডার ইন ল্যাংগুয়েজ ক্লাসরুম, ফিডব্যাক ইন লার্জ ক্লাসরুম ইত্যাদি।
সময় বাড়ে,শীত দুপুরের উষ্ণতা হারাতে থাকে। ডালে ডালে পাখির কুহুতান শুনতে শুনতে বিদায় জানাই গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়কে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পার হতেই দেখা মেলে তুমুল ব্যস্ত এক নগরীর। এ পথ, ও পথ পাড়ি দিয়ে ছুটতে থাকি কামাখ্যা মন্দিরের উদ্দ্যেশ্যে। সমতল থেকে ক্রমশ উপরে উঠছে আমাদের গাড়ি। আকাঁবাঁকা পাহাড়ি পথ। নীচে তাকালে মনে হয় যেন আকাশ ছুঁতে যাচ্ছি। মেঘ উড়ে যায় পাশ দিয়ে। পথ আগালে দেখা মেলে সারি সারি ভক্তের৷ দূর দুরান্ত থেকে আসা ভক্তদের লাইন। প্রথমে ভুবনেশ্বরী মন্দিরে যাই। সেখান থেকে আসি কামাখ্যা মন্দিরে। কত মিথ,কত গল্প প্রচলিত এই মন্দির ঘিরে। প্রবেশপথে সাধুসন্তের ভীড়। দুপাশে পূজার উপাচার নিয়ে বসে আছেন দোকানীরা। মেলার মতো কলরব চারদিকে। না,মন্দিরজুড়ে আধুনিক চাকচিক্য নেই। মিথের মতোই দেয়ালে দেয়ালে প্রাচীনতার ছাপ। স্থাপত্যকলার নিপূণতা অবাক হয়ে দেখি। ভেতরে যেতে যেতে বিস্ময় বাড়ে। পূজার উপাচার হাতে ভক্তের দীর্ঘ সারি। অনেকেই ভোর থেকে নাকি লাইনে দাঁড়িয়ে। কামাখ্যা মাকে পূজা দেবার মনোবাসনায় সমস্ত ক্লান্তি এখানে তুচ্ছ। শুধু কামাখ্যা নয়,গৌহাটি শহরজুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মন্দির। শুধু সনাতন ধর্মের উপাসনাস্থল হিসেবে নয়, প্রাচীন স্থাপত্যকলার নিদর্শন হিসেবেও মন্দিরগুলোর রয়েছে ভিন্নরকম খ্যাতি।
গৌহাটি শহরে চোখ মেললে অনায়াসে বুঝা যায় পৃথিবীজুড়ে নগরায়নের দৌড়ে গৌহাটিও পিছিয়ে নেই। আকাশ ছুঁতে চাইছে দালানগুলো, ইউরোপীয়, আমেরিকান ব্র্যান্ডের পোশাক, প্রসাধনীর দোকান শপিংমলজুড়ে। পথে,ফুটপাতে শুধু মানুষ আর যানবাহনের জটলা। পুরো শহর যেন ধূলোর আস্তরনে ঢাকা।
এমনি করেই গৌহাটির দিন ফুরিয়ে আসে। ডাকে জীবন,ডাকে কর্ম। তাগাদা দেয় জীবিকা-টেবিল। ফিরতে হয়। ফেরার পথে মনে হয় যেন, কেমন এক মায়ায় জড়িয়ে গেছি! সিলেটের পাশেই গৌহাটি, তবু মনে হয় বুকের কোন পাশটার নাম রাখি, গৌহাটি।
গৌহাটি ছেড়ে আসি ৬ ফেব্রুয়ারি সকালবেলা। মেঘলা আকাশ,শান্ত চারদিক। পল্টনবাজার থেকে হু হু করে ছুটে চলে গাড়ি। শিলং থেকে ডাউকি আসার পথে রাস্তা রোধ করে সারি সারি মেঘদল। গাড়ির গতি কমে আসে। তবু থেমে যায় না। মেঘ-কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে এগোয় পথ। বিকেল হতেই এ পথ ছুঁয়ে ফেলে ডাউকি। সীমানা পেরোলেই সিলেট, বাংলাদেশ।
শেষে এসে বলি, শিক্ষকতার সবচেয়ে বড় আনন্দ এই যে, প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলানো যায়, বদলে যাওয়া শিক্ষকতা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হৃদয় ছোঁয়া যায়। তাই বলি, শিক্ষকতার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করে নয় বরং মেনে নিয়ে সীমা অতিক্রমের প্রচেষ্টাতেই আনন্দ আমার।
সারাবাংলা/এসবিডিই