দিনে যতটুকু ভিটামিন সি খাবেন
২ মে ২০২৪ ১৫:৪০
শরীর ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পুষ্টি। শরীরকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত করতে ভিটামিন সি অত্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন সি যুক্ত খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি দেহের এমন কিছু প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত, যার সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও ভিটামিন সি খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে গ্যাস্ট্রিক ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দৈনিক ভিটামিন সি এর মাত্রা
ভিটামিন সির দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রা হচ্ছে ৯০ মিলিগ্রাম। পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক ৯০ মিলিগ্রাম ও নারীর জন্য ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন। তবে স্তন্যপান করানো মায়েদের জন্য পরিমাণে কিছুটা বেশি (হতে পারে ১০ বা ২০ গ্রাম) ভিটামিন সি খাওয়া দরকার।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
লেবু ও লেবুজাতীয় ফল ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস। মালটা, কমলা, আঙুর, আনারস, কাঁচা আম, জাম্বুরা, পেঁপে, কলা জাম ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়া কাঁচা মরিচ, ব্রকলি, সবুজ শাক-সবজি, ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, পুদিনাপাতায় ভিটামিন সি থাকে।
কখন ও কীভাবে খাবেন?
টকজাতীয় ফল ভরাপেটে খাওয়া ভাল। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সেই অনুযায়ী লেবু, মালটা, আনারস, জাম্বুরা, কাঁচা আম, আঙুর, কমলা ইত্যাদি খেতে হবে ভরাপেটে।
আর ভিটামিন সি যুক্ত সবুজ শাক-সবজি অল্প তাপে সেদ্ধ করতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত তাপে ও অনেকক্ষণ ধরে সেদ্ধ করলে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়।
ফল জীবাণুমুক্ত করার উপায়
ভিটামিন সি জাতীয় ফল কাঁচা খেতে হয় বলে বাসায় আনার পরই জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। পরিষ্কার পানিতে লবণ ও ভিনেগার মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে আবারও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর টিস্যু দিয়ে মুছে রাখতে হবে।
আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া, ক্ষুধা, রুচি, হজম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা রকমের হরমোন ও রাসায়নিক উপাদান কাজ করে। এই রাসায়নিক উপাদানগুলো একটা ছন্দ বা নিয়ম মেনে কাজ করে। ছন্দে ব্যাঘাত ঘটলে নানা রোগ দেখা দিতে পারে। তাই সব ধরনের পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে হবে সময় ও পরিমাণ বুঝে।
সারাবাংলা/এসবিডিই