জান্নাতুল মাওয়া।।
একসময় ইদে শিশুদের সবচেয়ে বড় আনন্দের অংশটা ছিলো ঈদের জামাকে ঘিরে। ঈদের দিন জামা পরার আগে কেউ ঈদের জামা দেখে ফেললে সেই ঈদটাই আমটি হয়ে যেত। তাই কেউ যেন আগে থেকেই ঈদের জামা না দেখে ফেলে তাই অনেক কসরত করতে হত সেসময়ের ছেলেমেয়েদেরকে। যারা জামা সেলাই করতে দিতো পাড়ার দর্জির কাছে তাদেরকে আরো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হত। সেলাই হয়ে যাবার পরে কাপড়ের টুকরো অংশগুলোও ফেরত নিয়ে আসা হত দর্জির কাছ থেকে।
এখন ইদের পোশাক ঘিরে সেই অস্থির উত্তেজনা আর নেই। তবে ঈদের আনন্দ এখন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। এখন সারা বছরই শিশুরা বিভিন্ন উপলক্ষ্যে নতুন পোশাক পায়। নতুন পোশাকের আনন্দ পেতে তাই শিশুকে ঈদে দিতে পারেন ভিন্ন ছাঁটের নতুন ট্রেন্ডের পোশাক।
এবারের ঈদ হবে বর্ষায়, সেই সাথে একটা ভ্যাপসা গরমের ভয় রয়েছেই। তাই ঈদের পোশাকে অবশ্যই প্রাধান্য পাবে উজ্জ্বল রঙ আর আরামদায়ক কাপড়। এবার ফ্যাশন হাউজগুলো সেভাবেই সাজিয়েছে শিশুদের ঈদের ওয়্যারড্রোব!
সুতির ওপরে নেট, সাটিন ইত্যাদি কাপড় ব্যবহার করে পোশাকে জমকালো ভাব আনা হয়েছে। বোতামেও রাখা হয়েছে বিষেশত্ব। ব্যবহার করা হয়েছে ফিতা এবং পমপম। এবার পোশাকের হাতার ছাঁটে গত কয়েকবারের মতই রাখা হয়েছে বৈচিত্র্য। কোনটির ঘাড়ছাটা আবার কোনটি ঘাড় থেকে কনুই পর্যন্ত হাতার ওপরের অংশে বোতাম বা ফিতা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এই পোশাক গরমে শিশুর জন্যে যেমন আরামদায়ক তেমনি ঈদের পোশাকের বিশেষত্বটাও ধরে রাখা যায়।
এছাড়াও শিশুদের বেশ পছন্দ হল শর্টকামিজ-লেহেঙ্গা। এটি গতবছর ঈদ ফ্যাশনে আসলেও এই ঈদেও কন্যাশিশুদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে এই পোশাক। এই পোশাকগুলোর দাম ১৬০০ থেকে শুরু হয়ে ৩০০০ এর মধ্যেই পাওয়া যাবে। এই পোশাকগুলো যেকোন ফ্যাশন হাউজ সহ শপিং সেন্টারগুলোতে পেয়ে যাবেন।
ছেলেরা এমনিতেই সবসময় জিন্স টিশার্ট পরে। ঈদের সারাদিন তারা পাঞ্জাবি পরতে পারে। তবে এটি অবশ্যই নির্ভর করবে শিশুটির আরামের ওপর। যেহেতু সারাদিন শিশুরা দৌড়ঝাপ করে তাই দিনের বেলা নামাজ পড়ে এসে একটা আরামদায়ক ফতুয়া, টিশার্ট বা হাফ স্লিভ শার্ট এবং জিন্স পরে নিতে পারে।
দেশি ফ্যাশন হাউজ আড়ং, দেশাল সহ আরো বেশ কয়েকটি শো রুমে শিশুদের উপযোগী আরামাদায়ক এবং বিশেষ ডিজাইনের টিশার্ট, হাফ শার্ট, ফতুয়া পাওয়া যায়।
সারাদিনের আরামের জন্যে কন্যাশিশুদেরকে পরাতে পারেন পালাজ্জো এবং টপস। এছাড়াও মেয়েদের জন্যে রয়েছে আরামদায়ক সুতির সালোয়ার কামিজ।যেসব শিশু ফ্রক পরতে পছন্দ করে তাদের জন্য রয়েছে নতুন ছাঁটের ফ্রক। ফ্রকগুলোর নিচের ঝুলে আনইভেন কাট দিয়ে ফ্রকগুলোতে উৎসবের লুক দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এবার ঈদে ঝুপঝাপ বৃষ্টি নেমে যাবার ভয় আছে। তাই কোথাও যাবার সময় ব্যাগে শিশুর জন্যে বাড়তি জামা নিয়ে নিবেন অবশ্যই।
মডেল- আনোভা, ঈশানা ও অর্জন
আলোকচিত্র- আশীষ সেনগুপ্ত
পোশাক- লা রিভ
লোকেশন কৃতজ্ঞতা- ফারজানা রহমান নূপুর
সারাবাংলা/জেএম/এসএস