থাইরয়েডের সমস্যায় যে খাবার খাবেন না
২২ জুন ২০২৪ ১১:৪৬
হরমোনের তারতম্যের জন্যে থাইরয়েডর সমস্যা দেখা যায়। গলার কাছে একটি ছোট্ট গ্ল্যান্ডের নাম থাইরয়েড। যখন এই গ্ল্যান্ড খুব বেশি পরিমাণে কাজ করতে শুরু করে, কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করে, তখনই এই রোগ দেখা দেয়। হরমোনের তারতম্য তখন খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই সমস্যা থাকলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন জেনে নিন-
সয়াবিনজাত খাবার
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সয়ার খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
বাঁধাকপি-ফুলকপি
কপির মতো যে কোনও খাবারেও সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের ওষুধে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি বা কেল পাতার মতো শাক-সব্জি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলি মেপে খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
কফি
ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। বেলা বাড়ার পর আর না খাওয়াই ভাল।
মিষ্টি
যে কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল। চিনির বদলে গুড় বা মধু কিছু রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাকেটের খাবার
যে খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি নুন চিনি এবং তেল থাকবেই। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রসেস করার খাবারও খাবেন না।
দুগ্ধজাত খাবার
এখন বেশির ভাগ চিকিৎসকই মনে করেন, দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তবে দই হজমের পক্ষে খুবই উপকারি। দই খাওয়া যাবে কি না, তা এক বার নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
সারাবাংলা/এসবিডিই