ওটসের উপকারিতাগুলো জানেন?
১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২৭
প্রায়ই শুনে থাকবেন ওটস স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো, ওটসে ওজন কমে ইত্যাদি। প্রচুর পরিমাণ খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ ওটস হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে। সকালে নাস্তায় এক বাটি গরম ওটস এর মত সারাদিনের জন্য সুষম খাবার খুবই কম পাওয়া য়ায়। অনেকে আবার সন্ধ্যায়ও খান ওটস। ওজন কমাতে, ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটস অনেক উপকারি- এটা জানি সবাই। কিন্তু জানলে অবাক হবেন তার সাথে সাথে ওটস নানারকম অসুখ যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার‚ টাইপ-২ ডায়াবেটিস‚ হার্ট ডিজিজ ও ব্লাড প্রেসার দমন করতে ও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া ওটস হাই কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। আসুন দেখে নেই প্রতিদিন ওটস খাওয়ার উপকারিতাগুলো কী কী।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল প্রতিরোধ করে। ওটমিলে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই অ্যাভেনানথ্রামাইড নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীগুলোকে বিস্তৃত রেখে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। অ্যাভেনানথ্রামাইডের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে যা চুলকানি কমায় ও অ্যাজমা প্রতিরোধ করে।
খাদ্যআঁশের চাহিদা মেটায়
হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। ওটসে বেটা-গ্লুক্যান নামে বিশেষ ধরণের খাদ্য আঁশ অন্ত্রে বিশেষ ধরণের জেল উৎপাদন করে। এটা হজমে সাহায্য করে। এছাড়া অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনেও সাহায্য করে বেটা-গ্লুকোন। প্রতিদিন বেটা-গ্লুক্যান সমৃদ্ধ খাবার খেলে এল-ডি-এল নামক ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে চিনির মাত্রা।
ওজন কমায়
ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঘন ঘন এটা সেটা খেতে ইচ্ছে করা ও পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেলা। ওটমিলের সুবিধা হচ্ছে এটা খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরার অনুভূতি থাকে তাই সহজে ক্ষুধা লাগে না। ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকোন অন্ত্রে পেপটাইড ওয়াই ওয়াই (PYY) নামক হরমোন উৎপাদন করে যা খাদ্যগ্রহণে পরিতৃপ্তি আনে। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওটসের অন্যান্য গুণাবলী
ওটসের মধ্যে থাকে ম্যাগনেসিয়াম‚ প্রোটিন‚ ডায়েটারি ফাইবার। তাই ওট্স হজমে কোন অসুবিধে হয় না আবার একটা ফিলিং অনুভূতি আসে। ওটসে উপস্থিত প্ল্যান্ট লিগনান্সে অ্যান্টি ক্যান্সার প্রপার্টি থাকে। এই উপদান মেটাবলিজম বাড়াতে ও ইম্যিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিটা গ্লুকেন ফাইবার হাইলি ভিসকাস হয়‚ যে কারণে স্লো ডাইজেসন হয় আর অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। এই ফাইবার উপকারী ব্যাক্টেরিয়ারও কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
সারাবাংলা/এসবিডিই