সহজ-কঠিন দ্বন্দ্বের গল্প নিয়ে ‘বজলু জানে লাশের পরিচয়’
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৬
ভুবনেশ্বর খালে ভাসতে থাকা লাশটি কার? কোথা থেকে এলো? মস্তকবিহীন লাশটির পরিচয়ইবা বজলু কী করে জানে? কিংবা জাদুবাস্তবতার ঘোরে হেঁটে বেড়ানো ‘একটি অচিন গাছের উপকথা’ গল্পটির কথা বলা যায়। রাতে হেঁটে বেড়ায় গাছ। মানুষ তার শব্দ শোনে। শুক্লা দ্বাদ্বশীর চাঁদের আলোয় সেই রাতপ্রহরী গাছের কাছে যেতে চেয়েছিল কুন্তলারা। তারা কি দেখা পেয়েছিল গাছটির?
বলা যায়, ‘আয়না’ গল্পের কথা। সব মানুষের চেহারায় নিজেকে দেখতে পান দুরুল হুদা। অস্বস্তিকর এক সমস্যায় ঘোরপাক খান মধ্যবিত্ত সমাজের এই মানুষ। দরুল হুদা কি আমাদের চেনা কেউ? নাকি আমরা নিজেরাই একেকজন দুরুল হুদা?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পাঠক পড়তে পারেন ‘বজলু জানে লাশের পরিচয়’। তরুণ কথাসাহিত্যিক হাবিবুল্লাহ ফাহাদের গল্পের বই এটি।
বইটির গল্পের শরীরে উঠে এসেছে সমকালীন প্রেক্ষাপট, সমাজ বাস্তবতা আর জীবনের অলৌকিক সব টানাপড়েন। আছে যুদ্ধদিনের পটভূমিতে লেখা আখ্যানও। সহজ-কঠিন দ্বন্দ্বের বৃত্তে ঘোরপাক খায় ফাহাদের গল্পগুলো।
প্রাককথন শিরোনামে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন লিখেছেন, ‘সমসাময়িক সময়কে শব্দের জালে ধরার চেষ্টা করে সে। ফেলে আসা দিনের সাথে বর্তমানের সম্পর্ক গড়ে দেয় গল্পের ছলে। বাস্তবতার অভেদ্য প্রাচীর ভেঙে তৈরি করে পরাবাস্তব ভাবনার দুর্গ।’
বইটিতে ঠাঁই পাওয়া গল্পগুলো হচ্ছে- কৃষ্ণপক্ষে যাত্রা, বজলু জানে লাশের পরিচয়, ময়েন গাছি, নিরুদ্দেশ, কাঁটা, একটি অচীন গাছের উপকথা, কবিরাও অবসরে যান, সালিশ, অপেক্ষা, ত্রপার জন্য, বল্লা চেনার উপায়, আয়না।
বইটি প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ১৯ নং প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।