বইমেলায় শেখ সাদীর দুই সত্য: রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৫২
সাহিত্যিক তার সৃষ্টিকে কোনও না কোনও ভাবে যাপন করেন নিজের জীবনে। পেশায় সাংবাদিক, নেশায় গবেষক শেখ সাদীও তাই। বোধ কিংবা বিস্ময়-দুইই তাঁর কাছে রবীন্দ্রনাথ। নিজেকে রবীন্দ্র মগ্ন বলতেই ভালোবাসেন। এবারের অমর একুশে বইমেলায় রবীন্দ্রনাথকে ঘিরেই তার বই এসেছে দুটি। একটি রবির মা, অন্যটি অস্তাচলে রবি।
শেখ সাদী জানেন, সাহিত্যের সত্য, ইতিহাসের সত্য আর জনজীবনের সত্য আলাদা। তার কাছে খোঁজাটাই আসল। সেই খোঁজ থেকে বঙ্গবন্ধুর অন্যরকম এক জীবনের খোঁজও দিচ্ছেন শেখ সাদী এবারের বইমেলায়।
রাজনীতি ও কর্মের বাইরের বঙ্গবন্ধু। সেখানেও ফিরে ফিরে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ। সাদীর পঠন বলছে, পাঁচ বছর পর পর রবীন্দ্রনাথের ভাষা ও বিশ্বাসের বৃত্ত বদলেছে। আর বঙ্গবন্ধুর তা বদলেছে দুই বছর পর পর। বইয়ের নাম ‘বঙ্গবন্ধু অভিধান’।
তিনটি বই নিয়ে শেখ সাদী বলছেন, তিনি জীবন থেকে সৃষ্টিতে পৌঁছান। তিনি চান, পাঠক সেই সৃষ্টিকে ভেঙে ভেঙে যেন পৌঁছতে পারেন স্রষ্টার জীবনে। রবীন্দ্রনাথ দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণায়-তার আশ্রয়। রবীন্দ্রনাথের পরনের আলখেল্লা ধরে এগিয়ে চলে তার বিশ্বাস। তাই, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তার লেখা, নৈবদ্য হয়ে পাঠকের নাগালে পৌঁছে যায়। সাদীর ভাষায়, সহজ করে রবীন্দ্রনাথকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।
বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা কত? কেমন ছিল তাঁর জন্মক্ষণ? গ্রহ-নক্ষত্রের বাছ বিচারটাই বা কি ছিল? এমন খুঁটি নাটি অজানা তথ্য নিয়ে শেখ সাদী গবেষণা করেছেন দীর্ঘ ২৫ বছর। তাতে ধরা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবন এবং তার চারপাশ। দিনপঞ্জী মেনে বঙ্গবন্ধুর সারা জীবন দুই মলাটে-বঙ্গবন্ধু অভিধান। ঘটনার ভেতরে যেমন বঙ্গবন্ধু আছেন। তেমনি আছে, তার জনপদ। আর এটাই জনপদের সত্য।
আত্ম পরিচয়ের সন্ধান, অজেয় জীবনের অণ্বেষা মিলিয়ে শেখ সাদীর তিনটি বইই পাঠক আগ্রহ যোগাবে। বইগুলোর প্রকাশক কথাপ্রকাশ।