বইমেলায় গিয়াস আহমেদের উপন্যাস ‘কবি কহিছেন’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৮
গিয়াস আহমেদ সাংবাদিক। দৈনিক পত্রিকার পাঠক সংগঠন গড়েছেন, টেলিভিশনে দর্শক সংগঠন করেছেন। সংগঠক হিসেবেই বেশ সফলও হয়েছেন দেশ জুড়ে।
দেশের অসংখ্য লেখক-সাংবাদিকের মেন্টর গিয়াস আহমেদ। ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম, প্রথম আলো বন্ধুসভার সম্পাদক হিসেবে তিনি আন্তরিক নার্সার ছিলেন এক সময়ের তরুণ লেখকদের। তাঁকে বলা হয় ‘লেখক গড়ার কারিগর’।
সম্পাদনায় কিংবদন্তিতুল্য এই মানুষটি লেখালেখিতে আসতে সময় নিয়েছেন প্রচুর। বলা যায়, বড় বেশি বিলম্বেই গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। ২০২০ সালে বের হয় তার প্রথম বই ‘চন্দ্রযান: দ্য লুনাটিক এক্সপ্রেস’। চমৎকার একটি ভ্রমণ নিয়ে অসাধারণ এক গ্রন্থের প্রকাশ। টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণ, সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, মহাজনদের গানে ঠাসবুনট এক উপন্যাস। লেখক একে বলেন ডকু ট্রাভেলগ। ফ্যাক্টসের ভূমিকে ফিকশন। দারুণ জনপ্রিয়তা পেল এই নিরীক্ষাকর্ম।
পরের বছর প্রকাশিত হলো রোমান্টিক উপন্যাস ‘ডাবল ডেকার’। ২০২২-এ ফের লেখকের প্রিয় ডকু ট্রাভেলগ— ‘সীমানা পেরিয়ে’। সেবারের পটভূমি সেন্ট মার্টিন’স দ্বীপ। আর এবারের বইমেলায় মলাটবন্দি হয়েছে তাঁর চতুর্থ গ্রন্থ ‘কবি কহিছেন’।
‘কবি কহিছেন’ এক কবির গল্প। নাম রবিউস সানি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্ধ ভক্ত। ঢাকার রাজপথে তিনি ঘুরে বেড়ান। মানুষটি অনেকটা আয়নার মতো। রাজধানীর নানা রকমের মানুষের সাথে তার দেখা হয়, কথা হয়। প্রচলিত অর্থে কবি রবিউস সানি এই গ্রন্থের নায়ক, তবে এখানে তার তেমন গল্প নেই। গল্প বরং সেইসব মানুষের, যারা তার মনের আয়নায় প্রতিবিম্ব হয়ে রয়। কখনো নির্মোহ, কখনো আবেগি চোখে তিনি কেবল দেখে যান— নিয়তিনির্ভর একদল মানুষ এই আশায় বাঁচে যে, তাদের জীবনেও একদিন অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে, একদিন সুদিন আসবেই…।
‘কবি কহিছেন’-এর প্রচ্ছদ নিয়াজ চৌধুরী তুলির। লেখক গিয়াস আহমেদের অন্য গ্রন্থগুলোর মতো ‘কবি কহিছেন’ও প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র। অমর একুশে বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ৩২।
সারাবাংলা/এজেডএস