প্রিয় আমের আচারের বৈয়ামের মধ্যে আটকা পড়ে গেলেন বীনু খালা। বীনু খালার শ্যামলা রঙ। মাথায় ঘনকালো চুল। চোখদুটো টানা টানা। গড়ন হালকা পাতলা। হাসলে অসম্ভব সুন্দর লাগে, আর কথা বলেন বাঁশির সুরে। কিন্তু এই বীনু …
পুজোর ছুটিতে তুমি পর্বতের কাছে যেতে পারো সমুদ্রের ঢেউ থেকে খুঁজে নিতে পারো কাশফুল দ্বীপের দ্বারস্থ হও—তোমাকে আগলে রাখা ভুল ফুলের উপমা হবে—চুম্বনের মতো কোনো গাঢ় স্মৃতির বারান্দা তুমি—উড়ে আসে বকুলের ভোর কুয়াশার কাছে যাও—ঘাসের …
শরত এলেই কাশবনে লাগে দোল, পূজোর সৌরভে মৌতাতে জেগে ওঠে কুমোরটুলি, গৃহস্থের দোর। প্রাচীন অবয়বে ফোটে প্রাণ, শিল্পীর নিপুণ শ্রমের মাধুরী, কোমল তুলির টান- ধূপগন্ধী হাওয়া জানান দেয়, দেবীর আগমনী। পাড়ায় পাড়ায় ছুটোছুটি, মন্ডপের বাদ্যে …
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘সোনার তরী’ কাব্যের ‘বৈষ্ণব কবিতা’ শীর্ষক কবিতায় বলেছেন, ‘দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে—প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই তাই দিই দেবতারে; আর পাব কোথা। দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের …
কিছুই মেলাতে পারি না দু’হাত তুলে ঈশ্বরকে ডাকলে তুমি এসে সামনে দাঁড়াও তুমি তো ঈশ্বর নও তবু দেবদারু পাতার ভেতর কেন যে তোমার মুখ ভেসে ওঠে! অদ্ভুত সুতো দিয়ে মেঘের পরে মেঘ সাজিয়ে ঈশ্বর যখন …
আমি কখনো ‘আমি’ হতে চাইনি শুধু তোমার পাশে থাকতে চেয়েছি ছায়া হয়ে তোমায় আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছি আকুল হয়ে মিশে থাকতে চেয়েছি তোমার বুকে কিংবা ভেজা গামছায়…। ঘুমঘোরে তোমার চুলে হাত বুলিয়ে টেবিলে তোমার পছন্দের খাবার …
শারদীয়া দুর্গাপূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। তাই এই সময়টি তাদের পূজা যথাযথ সময় নয়। …
জানালায় বিকেল এলিয়ে পড়লে আমার দিকভ্রান্ত লাগে এলোমেলো দুপুরের বয়সী উত্তাপে নিজের বিষন্নতা কাউকে খুঁজে জড়িয়ে ধরতে চায় উল্লাসের ছলকানিতে সন্ধ্যার চায়ের কাপ; শ্যাওলার উজানে ভেসে আসে পাড়ার তেলেভাজার ঘ্রাণ- চুপচাপ বসে থাকি কামরাঙা গাছের …
গভীর খুবের ভেতর খুব গহিন এমন একলা নিবিড় আউলঝাউল বিকাল এবং তুমি পেয়েছিলাম ঠিক বুকের ভেতর সঠিক বুকের তীব্র চাঁদের উভয় এতটা ফাঁকাফাঁকা ততটা তোয়ালেটে প্রতিরক্ষা। আমি আমাকে আমার আমিকে আমি মনঘটা উলটোদিকের ওলট চোখের …
পুজোর কথা বললেই মনে পড়ে গ্রামের বাড়ির পুজো। আমাদের গ্রামের নাম নশীপুর। একসময় মুর্শিদাবাদের এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম। কথিত আছে এখানে এসেই মুর্শিদকুলি খাঁর নসীব ফিরে গেছিল। সেই থেকে নসীবপুর, ক্রমে সেটা লোকমুখে নশীপুর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। …