সাহিত্য

মায়ের স্তন মুখে নিয়ে শিশুরা যেমন ঘুমায় চিরকাল তেমনি ধৈর্যের লাগাম টেনে নিঃস্বরা ঘুমিয়েছে বহুদিন আমাকে উত্ত্যক্ত করোনা আর এবার সময় হয়েছে জাগিবার আমাকে জাগিতে দাও প্রচণ্ড চিৎকারে ইস্রাফিলের মহাহুংকারে আমাকে জাগিতে দাও অন্ধকারের রাতে …

মায়াময় মখমল বিকেল ছায়াময় এলোকেশ বাতাস ভেসে আসে দুধচিতই দিন বিস্মৃতির কাসুন্দি ঘাটা মা’র শাড়ির ঘ্রাণের আঁচল এপার ওপার করে চৌকাঠ হাতের সাথে হাতের সঙ্গ ওয়াইন রঙে ভাসে গেলাস। শিমুল লালে ঘাসের মাদুর গাইছে দুখিনী …

রুদ্রাক্ষ তোমার দরজায় একটা সাধারণ ছোট্ট গোলগাল কলিংবেল লাগিও। রোজ রাতে তোমার দরজার কড়া নাড়লে, ভেতর থেকে যে দরজা খোলে সে আমি নিজে! রুদ্রাক্ষ, রুদ্র রুদ্রাক্ষ… দরজায় একটা কলিংবেল লাগিও। বোতামে চাপ দিয়ে দেখব আমার …

সময় উৎসবে মাতোয়ারা মানুষ মায়াবী আলোয় ভাসে আমিও রোজনামচার আধাঁরে বসে প্রতিদিনের দিনলিপি লিখি আঁচলে তুলে নিই রাতের ক্ষয়িষ্ণু নিঃশ্বাস খনন করে চলি সভ্যতার কত না ইতিহাস মানুষের রাত-দিন খুনসুটি আশার বিলাস আটপৌরে জীবনের মোলায়েম …

প্রজাপতির রঙবেরঙের ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো দেখতে অনেক ভালো লাগে আমার। আর ভালো লাগে রোদে ঘুরে ঘুরে প্রজাপতির পেছনে ছুটতে। ছুটতে ছুটতে ছুটতে ছুটতে… কত যে ছুটি, কিছুতেই কখনও ক্লান্তি আসে না আমার। বরং ইচ্ছে …

ঘৃণায় পিষ্ট হয়েও- অথচ কেবল বৃক্ষের মতো, পাখির মতো, সবুজ পাতার মতো ভালোবেসে যাই, মাটি ও তোমায়। সিনেমার নায়িকার চেয়েও সুন্দর হাসি দেখবো বলে কেবল ভেবে যাই তোমার চোখ ও মুখ অকপটে তুমি, হৃদয়ের প্রিয়তি …

একপশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। রান্নাঘরের বাসনকোসন ভিম দিয়ে মাজার পর ট্যাপের নিচে ধরলে যেমন চকচক করে, সেরকম চকচক করছে চারপাশ। সোনাপুর রেল স্টেশনটা দক্ষিনমুখী। সকাল বিকাল মিলিয়ে তিনটা ট্রেন এসে দাঁড়ায় এখানে। দক্ষিনমুখী হওয়াতে স্টেশনে …

যা কিছু ঘটে সেটাই ইতিহাস। অভিজ্ঞতা শিক্ষার আঁতুড়ঘর। আক্ষেপ বা অনুশোচনার কিছু নেই। প্রত্যেকটা মানুষই এক একটা নিয়ম। চলার পথে তুমিই রাজা, কাঁটা থাকলে থাকতে পারে। হোঁচট খেলে, থামকে গেলে চলবে কেন? আকাশ ভরা কালোমেঘ …

চান রাতে কি ঘুম থাকে বল? ধূম থাকে ভাই ধূম নাচছে পাড়া, গাচ্ছে পাড়া ঝুম বরাবর ঝুম। ছেলেরা সব সেলুনে যায় কাটায় ট্রেন্ডি চুল মেয়েরা সব দল বেঁধে দেয় মেন্দি হুলুস্থুল। মা চাচিরা রান্না ঘরে …

চোখে সর্ষেফুল নিয়ে চোখ মেলে দেখি আকাঙ্ক্ষায় জেগে থাকো তুমি শুধু তুমি। জীবন সীমানা দ্রুত পাড়ি দিতে গিয়ে ভুল রথে চড়ে ছুটি ভুল ঠিকানায় কেমন ভুলভুলাইয়া বিছিয়েছে পথ! প্রতিটি পথের শেষে তুমি মরিচীকা— যতবার ছুটে …