বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ-এর আয়োজনে এবং শূন্য আর্ট স্পেস ও চলন্তিকা ট্রাভেলিং স্টুডিও এর সহযোগিতায় আজ (১৩ জুন) থেকে শুরু হলো ‘ভাষাযোগ-ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা। কর্মশালা চলবে ২১ জুন (শনিবার) পর্যন্ত।
আজ (১৩ জুন) সকাল ১০টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় ‘ভাষাযোগ’ কর্মশালা শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান, উপপরিচালক প্রদ্যোত কুমার দাস এবং কর্মশালার পরিচালক জাফর ইকবাল।
১৩ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন চারটি করে সেশনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দিনে ২২ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে কর্মশালা শুরু হয়। এই কর্মশালার মাধ্যমে সারাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া শিল্পভিত্তিক উদ্যোগ, ভাষার বৈচিত্র্য, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অভিব্যক্তির স্বাধীনতাকে ছাপচিত্রের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ‘ভাষাযোগ-ছাপচিত্রে ভাষা প্রকাশের উদযাপন’ শীর্ষক কর্মশালা দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হবে। যেখানে থাকবে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে ছাপচিত্র। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ভাষা, উপভাষা ও সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে চিত্র ও লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন এবং তা পরিণত হবে একটি সম্মিলিত শিল্পকর্মে।
এই আয়োজনটি সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ব্যক্তি তার নিজস্ব ভাষা ও পরিচয়কে তুলে ধরার সুযোগ পাবে মুদ্রণচিত্রের মাধ্যমে। ভাষাযোগ শুধুমাত্র একটি শিল্প অনুষ্ঠান নয়-এটি ভাষাগত ঐতিহ্যের সম্মিলিত উদযাপন। যেখানে অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন কণ্ঠস্বর হারিয়ে যায়, সেখানে এ ধরণের আয়োজন শিল্পকে সংযোগের সেতু হিসেবে দাঁড় করাবে।
এই অনুষ্ঠানের বিশেষ দিক হলো চলন্তিকা ট্রাভেলিং স্টুডিওর তত্ত্বাবধানে মোবাইল ছাপচিত্র কর্মশালা আয়োজন। পেশাদার শিল্পী ও শিক্ষকগণের সহযোগিতায় সহযোগিতামূলক শিল্প সেশন আয়োজন। বিভিন্ন স্থানে পাবলিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা। ভাষা ও অভিব্যক্তি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এবং জনগণের অংশগ্রহণে তা বাস্তবায়ন করা।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কণ্ঠ ও ভাষার বহুমাত্রিকতা ছাপচিত্রের সাহায্যে সংরক্ষণ ও তুলে ধরার পাশাপাশি, শিল্প ও মননের একটি সুস্থ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।