মিং রাজের দেশে : বইয়ের পাতায় অনবদ্য চীন ভ্রমণ
৭ জুলাই ২০১৮ ১৪:০০
সামিয়া কালাম ।।
‘নতুন কোনো শহরে একাকী ঘুম থেকে জাগা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দের অনুভূতি।’ -ফ্রেয়া স্টাক
কিন্তু সিসিটিভির ভ্রমণ চিত্র নির্মাণের কাজে তিনজনের একটি দল নিয়ে লেখক-নির্মাতা শাকুর মজিদ যখন বেইজিং এসে পৌঁছান তখনো ঢাকার ঘড়িতে ভোর হয়নি। যাত্রায় এর আগ পর্যন্ত কারো সাথেই সেভাবে ভাষা বা ভাবের বিনিময় সম্ভব হয়নি। তিনজনের দল যখন কিছুটা হতাশ এবং ক্লান্ত ঠিক তখন দৃশ্যপটে আসে স্যান্ডো গেঞ্জি পরা এক যুবক। ‘মাই নেইম ইজ কু’।
এই অব্দি পাঠক হিসেবে আমরা নিজের মত করে বেইজিং-এর এয়ারপোর্ট এবং আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারনার অবয়ব মিশিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম ‘মিং রাজের দেশে’। কিন্তু পাতা ওল্টাতেই দেখি কু নামের যুবকের একটি ছবি দেয়া আছে। তখন থেকেই মনে হতে থাকল গতানুগতিক ভ্রমণকাহিনী থেকে এই বইটি বেশ অনেকটাই আলাদা। কেবল বইয়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই ছবি সংযুক্ত করা হয়নি। বরং পাঠকের সাথে ভ্রমণের অনুভূতিকে প্রগাঢ় করাই ছিল লেখকের উদ্দেশ্য।
পরদিন সকাল আটটায় ঘুম ভাঙল তাঁদের, বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা। কু চেয়েছিল ওদের সময় সকাল সাড়ে ৬টায় সবাইকে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করার। ৭টায় হোটেল থেকে বেড়িয়ে সাড়ে সাতটায় পৌঁছাবে সিসিটিভির অফিসে। শেষমেষ অনেক বলে কয়ে কু কে কিছুটা বিলম্বের বিষয়ে রাজি করানো হলো।
সিসিটিভি অফিস ভ্রমণ দিয়ে শুরু হয় তিনজনের ভ্রমণ। অত্যন্ত দূরদর্শী এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখলেও, চীনের রক্ষনশীল নীতির কারণে তাদের প্রচার এবং প্রসার সেভাবে নজরে আসেনি। কিন্তু সময় সবকিছুর পরিবর্তন ঘটায়। রক্ষনশীলতা অনেকটাই কেটে যাওয়ায় বাইরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ বেড়েছে সিসিটিভির এবং অনেক কিছুই তারা গ্রহণ করতে শিখেছে। জীবনযাত্রা, নির্মাণ শৈলী এবং সংস্কৃতি সব কিছুতেই লেগেছে পশ্চিমা মিশেল।
সিআরআই এবং রেডিও পিকিং-এর স্মৃতি আমার নিজের বেতারজীবনের কথা মনে করিয়ে দিল। আমি নিজে কাজ করি বেতারে, এক সময়ে রেডিও পিকিং থেকে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় চীনাদের কন্ঠে খবর প্রচারিত হত। আমরা সেই খবর শুনতাম আর ভাবতাম কী করে চীনারা এরকম বাংলা উচ্চারণে কথা বলতে পারে। লেকখক শাকুর মজিদ তাঁর দলসহ সেই রেডিও পিকিং এ যান, এবং খুঁজে পান ইয়াং শুমিং নামের একজন নারীকে যার বাংলা নাম স্বর্ণা। যারা বাংলা বিভাগে কাজ করে তাদের সবাইকেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে বাংলাদেশে আসতে হয়েছে। এদেশের মানুষের সাথে মিশতে হয়েছে। তারা সবাই এই ভাষাকে ভালোবেসে একটি করে বাংলা নাম ধারণ করেছেন। সিআরআই দেখা লেখকদের শেষ হয়ে যায় কিন্তু স্বর্ণাকে তারা ছাড়তে চান না। পরিচালক অনুরোধ করে সামনের তিন দিনের জন্য স্বর্ণাকে তাঁদের সফরের একজন করে নিয়ে নেন এবং তাকে নিয়ে পরদিন চলে যান চীনের দেয়াল দেখতে।
চীনের দেয়াল নিয়ে অনেক মিথ, ইতিহাস, এবং কিছু কষ্টের উপাখ্যান আমাদের জানা। লেখক তাই এই অধ্যায়টিতে খুব বেশি আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাননি। দিনটি ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন আর মেঘলা। চীনের প্রাচীর নিয়ে না ভেবে, ক্যামেরায় ভিউ কেমন আসবে সেই ভাবনাই লেখককে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
পরদিন তিয়ানআনমেন চত্বর দিয়ে সফর শুরু হয়। ঐশ্বর্যমন্ডিত চীনের ইতিহাস প্রায় ৭শ বছরের। এখানে মিং রাজাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তাদের যেমন আছে গৌরবময় অধ্যায়, তেমনি আছে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রন। এই চত্বরটি দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার মানুষের ভীড় লেগে থাকে। এবং এখানের হল অব পিপলস এর ভেতরেই মাও সেতুং এর মরদেহ রাখা। মাও সেতুং চীনের আরেক নাম। তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সবটা জুড়েই তিনি।
মাও সেতুং এর মৃতদেহ অবিকৃতভাবে ১৯৭৬ সাল থেকে একটি কাঁচের কফিনে সংরক্ষিত আছে, এই তথ্যটি চমকপ্রদ। কিন্তু এই সংরক্ষণের উপায়টি খুব একটাস্পষ্ট ভাবে প্রকাশিত নয়। সব কিছু মিলিয়ে বেইজিং এর মূল আকর্ষণ এটি। মাও সেতুং-এর মৃতদেহের এই প্রিজারভেশানের তথ্যগুলো এই অধ্যায়ের মূল আকর্ষন বলে মনে হয়েছে।
চত্বরের পাশে লাও সি চায়ের দোকান। কলকাতার যেমন কফি হাউস, তেমনি বেইজিং এর লাও সি চায়ের দোকান। বাড়িটি ৮০-৯০ বছরের পুরনো। দোকান খোলার ১৫ মিনিট আগে থেকেই লেখক ও তাঁর দলের সবাই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। সময় তখন সন্ধ্যা ৬টা। অপেক্ষমান অবস্থায় দোকানের ইতিহাসের খানিকটা জানা হয় তাঁদের। ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা একজন চা বিক্রেতা কি করে এতো বড় এক চায়ের দোকানের মালিক বনে যান সেই গল্প তাঁদের অভিভূত করে। এর মূল কারণ ছিল চা পানের সাথে ডেলিকেসি, কালচার এবং আড্ডার সুন্দর পরিবেশের মিশেল ঘটানো। লেখক ও তাঁর দল এই দোকানে চা এবং রাতের খাবার গ্রহণ করেন। সেখানে ছিল বাহারি চায়ের পাত্র, সৌখিন এবং বেশ মূল্যবান চা। সামান্য কিছু খাবার আর চমৎকার পরিবেশনা। নাচ, গান, এক্রোব্যাট, জাদু সবকিছু মিলিয়ে যে শো’ তার নাম সেন্টাকো। প্রাসঙ্গিক একাধিক ছবি দিয়ে মিং রাজের দেশে শিরনামের লেখাটির এই অধ্যায়টি অত্যন্ত সুখপাঠ্য।
এরপর বেইজিং ছেড়ে লেখক তার পাঠকদের নিয়ে আসেন সাংহাই। ‘পার্ল অব ইস্ট’ ছিল সাংহাই-এর পাশে এডজেক্টিভ হিসেবে। আসলেই তাই। এই শহর কজমোপলিটন। স্বর্ণা বেইজিংএ রয়ে গেছে। বাংলা ভাষায় কথা বলার আপাততো চৈনিক কোন সাথি নেই কিন্তু সফর সঙ্গী কু জানালো, এখানে যে কোন স্কুলের ইউনিফর্ম পরা ছেলে-মেয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। এবং স্থানীয়রা অনেকেই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। লেখক ও তাঁর দলের চীন ভ্রমণের উদ্দেশ্য যেহেতু একটি ভ্রমণচিত্র নির্মাণ তাই তাঁদের অবিরাম পথ চলতে হয়। কিন্তু কেন যেন সাংহাই এর ভ্রমণের বিবরণ আমাকে তেমনভাবে টানেনি। ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস ছিল বলেই এই শহর কালক্রমে এতোটা আধুনিক হয়ে ওঠে। আমার কাছে সাংহাইকে বেশ খানিকটা বৈশিষ্ট্যহীন মনে হয়েছে।
পার্ল টাওয়ার সাংহাই-এর অবধারিত আইকন। লেখক পার্ল টাওয়ারের নির্মান শৈলী এবং অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের বিবরণ দিয়েছেন বেশ যত্নের সাথে। সেখানে তথ্য, উপাত্ত্ব এবং নিজস্ব মতামত আছে; আছে বিশ্লেষণ। এক একটি গোলোকের বিবরণ পড়ে অবাক না হয়ে পারা যায়না। দুর্মূল্যের রেঁস্তরা থেকে শুরু করে সুভেনির শপ সবই আছে! অবাক হতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট্ট ডাকঘরের বিবরন পড়ে। মন খারাপ হয়, ভ্রমণ সমগ্র গ্রন্থটিতে এই ডাকঘরের ছবি না থাকায়।
সাংহাই সিনতিয়ানতি এক সময়ের প্রায় মৃতপূরী এখন প্যারিসের মত টুরিস্ট স্পট হয় ওঠার গল্পও আছে এই অধ্যায়ে। সেই সাথে আছে নির্মাণ শৈলীর বিবরণ। সিনতিয়ানতির ডিজাইনে প্রাচ্যের সাথে পশ্চিমা ধারার সংমিশ্রণটি চোখে পড়ার মত। ২০০২ সালে শেষ হয় আড়াই লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে সংস্কারের কাজ। তারপর থেকে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এলাকাটি।
সাংহাই-এর পিপলস স্কয়ার এক বিশাল চত্বর শিশু-বুড়োদের প্রাণের মেলার বিবরণ পড়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আছে ডান্সিং ফোয়ারা। পিপলস স্কয়ার এক উন্মুক্ত উদ্যান, এখানে মানুষ ঘুড়ি ওড়ায়, উন্মুক্ত বেঞ্চে বসে থাকে, চারদিকে স্পিকারে বাজতে থাকে চমৎকার সুর! বাংলাদেশেও কি শিশু এবং বড়দের জন্য আনন্দের এরকম একটি স্পষ্ট তৈরি করা যায়না!
রাতের সাংহাই এবং নাঙ্গিং রোড নিয়ে লেখক সুবিশাল বর্ণনা দিলেও আমি খুব বেশি উল্লেখযোগ্য কিছু খুঁজে পাইনি। কিছু দালালের খপ্পরে পড়া এবং উইন্ডো শপিং এর স্ট্রিট মার্কেট। যে কোন জিনিসের রেপ্লিকা তৈরিতে চীনারা খুব দক্ষ। মার্কেটগুলোতে চমৎকার পণ্যের সম্ভার এবং দর দামের দক্ষতা না থাকলে ঠকে যাবার ভয়। মূলত এই বিষয় গুলো নিয়েই কথা হয়েছে।
এবার দূর গ্রাম এবং শহরতলির ফুটেজ নেবার পালা। তাঁরা সিতাং ওয়াটার ভিলেজ দেখতে গেলেন। কদিন আগে টম ক্রুজ এখানে এসে মিশন ইম্পসিবলের শুটিং করে গেছেন। কিন্তু গ্রাম কই! বেশ কিছু ঘুপচি ঘুপচি ঘর। এ ঘর সে ঘর ঘুরতে ঘুরতে এক সময় একটা গোল আকৃতির ব্রিজের কাছে এসে ওঠেন । তাঁরা সবাই মুগ্ধ হয়ে সেই ব্রিজ এবং খালটি দেখেন। পাশে একটি সাইনবর্ডে লেখা আছে ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে এম আই থ্রির ইথেন হান্ট অর্থাৎ টম ক্রুজ একটি শট দিয়েছিলেন।
গ্রামটির প্রধান বৈশিষ্ট্য এর চারদিকে জল আর জল। এপারের সাথে ওপারের সংযুক্তি ঘটিয়েছে কতগুলি কংক্রিটের ব্রিজ। প্রায় সবগুলো ঘরের ছাদ টালি দিয়ে তৈরী। প্রতিটি ঘর একে অপরের সাথে লাগোয়া, তাই দেখে মনে হয় যেন পুরো গ্রামটাই একটা ঘর।
এখানে এক গ্রামীণ রেস্টুরেন্টে খেতে বসে লেখক আমাদেরকে শোনান চীনের খাবার এর গল্প। প্রতিটি দেশের খাবারের মাঝেই কিছু বৈচিত্র থাকে। চীনা খাবারের মূল বৈচিত্র হল, এরা খাবারকে মনে করে শিল্প। খাবারের রঙ, ঘ্রাণ, স্পর্শ, স্বাদ এমনকি খাবারের শব্দের মাঝেও এরা শিল্পকে ধারণ করতে পারে। চীনারা খাবার খায় বাঁশ বা কাঠের তৈরি কাঠি দিয়ে। সেই কাঠি দিয়ে খাবার খাওয়া রপ্ত করতে লেখককে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এই অধ্যায়টি পড়ে চীনাদের খাবার বিষয়ের বেশ কিছু আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া যায়। চীনারা তাজা খাবার খেতে পছন্দ করে। তারা দলবেঁধে খাবার খেতে ভালোবাসে। ঠাণ্ডা পানি হজমে সহায়ক নয় এটা চীনাদের আদিকালের বিশ্বাস। আর তাই খাবারের সাথে উষ্ণ পানি, কিংবা চা অথবা স্যুপ খাওয়ার রীতি সুপ্রচলিত। সর্বভূক হিসেবেও এদের সুনাম আছে। বিচিত্র শাক-সবজি, লতা-পাতা এবং প্রায় সব রকমের প্রানী এদের খাদ্য তালিকার অংশ।
‘দেয়ার ইজ আ চাইনিজ সেইং- দ্যাট, আপ এভাব দি হ্যাভেন, গ্রাউন্ড বিলো ইজ হাংজো’। কেবল এই চৈনিক উক্তি নয়, ভূ-পর্যটক মার্কো পলো চীনে বেড়াতে এসে এই শহর দেখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এখানে একটি লেক আছে। লেখকদের কাছে যা বৈশিষ্ট্যহীন একটি খাল মনে হলেও তাঁরা জানতে পারলেন এই এলাকার কৃষিকাজে এই লেকটি বড় ভূমিকা রাখে।
সিল্ক, চীনাদের অহংকারের বিষয়। পড়ে অবাক হলাম, আবিষ্কারের পর প্রায় তিনশ বছর তাঁরা উপায়টি নানাভাবে গোপন রেখেছিল। এখন চীনারা অনেক উন্মুক্ত। মুগ্ধ হয়ে রেশম নগরী এবং জাদুঘর দেখলেন লেখক ও তার দল। সে সাথে বিপণী বিতানগুলোতে সিল্ক পণ্যের উচ্চমূল্য দেখে তারা বেশ অবাক হন।
চীনাদের কাছ থেকেই যে সারা বিশ্ব চা পান শিখেছে এটা সার্বজনীন। আর চীনে, চা এর উদ্ভব হয় হাজোং এলাকায়। পরবর্তীতে চা’এর বিশ্বায়ন করে ব্রিটিশরা। এক সময়ে লেখকরা চায়ের জাদুঘর দেখতে যান। সেখানে কু’র বলা কিছু তথ্য অত্যন্ত চমকপ্রদ ছিল।
পাতার বয়স ও পরিপক্কতা ভেদে চা এর স্বাদ এবং মূল্য নির্ধারিত হয়। ওয়াইট টি নামের চা, যা চা গাছের একেবারেই কচি পাতা, যেখানে অক্সিডেশান করা হয়না। বাংলাদেশি মূল্যে ১ কেজি ওয়াইট টি এর দাম আসে তিরিশ হাজার টাকা। একে ‘বালিকা চা’ও বলা হয়। গ্রিন টি’র স্থান, ‘তরুণী চা’, এভাবে অক্সিডেশানের মাত্রা বাড়িয়ে তৈরি হয় উলং টি। শেষ ধাপ হল ব্লাক টি।
জাদুঘর দেখা শেষ। হাজোং এর অধ্যাটিও শেষের পথে। লেখকের মন চাইল হাজোং এর পুরনো শহরটি আবার একটু দেখে যাওয়া যাক। ভালো মানের চা এবং চা’এর তৈজষ কেনাও অন্যতম উদ্দ্যেশ্য। একটি দোকানের সামনে মিষ্টি সুরে এক তরুণীকে গান গাইতে দেখে লেখক থেমে গেলেন। লেখক মেতে উঠলেন সেই তরুনী যার ইংরেজি নাম ক্যান্ডি এবং তার বাঁশিবাদক বাবার সাথে আলাপচারিতায়। ক্যান্ডি কিছু ইংরেজি জানে, সেই জ্ঞান থেকেই তার মিষ্টি গানের কথা অনুবাদ করে দিল।
‘নদীর দিকে চেয়ে মেয়েটি নদীকে ডাকছে, নদী যেন তাঁর স্রোতের সঙ্গে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।’ মনে হয় পৃথিবীর সব পল্লীগীতিগুলো একরকম, যেখানে থাকে বহমান নদীর কথা, একাকিত্বের কথা। ক্যান্ডি এবং তার বাবার কাছ থেকে চায়ের পাত্র কিনে, এই মিষ্টি গানটির দুটো ফুটেজ এবং অনেকটুকু মিষ্টি সুর বুকের ভেতর ধারণ করে লেখক এবং তাঁর দলের ‘মিং রাজের দেশে’, শিরোনামের লেখার সমাপ্তি ঘটে।
‘মিং রাজার দেশে’ বইটি শাকুর মজিদের ভ্রমণ সমগ্র-২ এ পাওয়া যাবে। তিন খন্ডের ভ্রমণ সমগ্র প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা।
সারাবাংলা/পিএম