বিংশ শতকের তিনজন খেয়ালি খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী
১১ জুলাই ২০১৮ ১৪:৫২
আন্দালিব রাশদী ।।
- সালভাদর দালি
প্রতিদিন সকালে আমি যখন জেগে উঠি আমি আমার সেই সর্বোচ্চ আনন্দ লাভ করি, সালভাদর দালি হওয়ার আনন্দ।’
কতোটা দূর প্রত্যয়ী হলে একজন শিল্পী এমন কথা বলতে পারেন! সালভাদর দালি বলেছেন, সাফল্য মাপার থার্মোমিটার হচ্ছে চারদিকের অতৃপ্ত মানুষের ঈর্ষা। তাঁর সমালোচনার ঘাটতি কখনো পড়েনি। তিনিও বলেছেন আমার শত্রুরা একে অন্যকে খেয়ে ফেলুক।
আত্মম্ভরিতা মনে হলেও এ কথা তাকেই মানায়; আমার কখনো এমন দিনও আসে যখন মনে হয় তৃপ্তির ওভারডোজের কারণে আমার মৃত্যু হবে।
১৯০৪ : জন্ম ২ মে স্পেনের কাতালোনিয়া সীমান্তের কাছে ফিগারেস শহরে, পুরো নাম সালভাদর দোমিগো ফিলিপ জাসিন্তো দালি
১৯২১ : মাদ্রিদের একাডেমি অব আর্ট-এ ভর্তি ও বহিষ্কার
১৯২৬ : প্রথম প্যারিস গমন, পিকাসোর সাথে সাক্ষাৎ
১৯২৭ : সামরিক চাকুরিতে যোগদান
১৯৩২ : আমেরিকাতে সুররিয়েলিস্ট ছবির প্রদর্শনী
১৯৩৬ : টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে দালি
১৯৪২ : দ্য সিক্রেট লাইফ অব সালভাদর দালি প্রকাশিত
১৯৫২ : রোম ও ভেনিসে দালির ছবির প্রদর্শনী
১৯৬০ : দ্য ইকিউমেনিক্যাল কাউন্সিল অঙ্কন
১৯৬৪ : টোকিওতে সালভাদর দালির প্রদর্শনী
১৯৭১ : ক্লিভল্যান্ডে সালভাদর দালি জাদুঘরের উদ্বোধন
১৯৭৯ : জর্জ পম্পিডু সেন্টার ও টেট গ্যালারিতে দালি প্রদর্শনী
১৯৮৪ : কক্ষে আগুন লাগায় শিল্পী মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ
১৯৮৮ : পুশকিন মিউজিয়াম মস্কোতে দালি প্রদর্শনী
১৯৮৯ : মৃত্যু ২৩ জানুয়ারি স্পেনের টরে গ্যালাটিয়েতে
পরাবাস্তবাদী-ঊর্ধ্বমুখী সুচালো গোফের মানুষ সালভাদর দালি। মৃত্যুর ২৮ বছর পর গরম খবর হয়ে কবর থেকে উত্তোলিত হয়েছেন ২০১৭ সালে। ৬১ বছর বয়স্ক পিলার আবেল দাবি করেছেন তার মা সে সময় স্পেনের একটি জেলে পল্লীতে দালি ও তাঁর স্ত্রীর গালার বাড়িতে হাউসমেইড ছিলেন; তখন শিল্পী তার মাকে গর্ভবতী করেন, আবেলই সেই সন্তান। ওদিকে দালি গবেষকরা সবাই জানেন সালভাদর দালি সন্তান জন্মদানে সক্ষম পুরুষ নন; আত্মজীবনীতে শিল্পীও এ কথা বলেছেন। এ কালের সমালোচক বলেন, দালির কবর থেকে উত্থান, সক্ষম না হয়েও কন্যাসন্তানের জন্মদান সবই পরাবাস্তববাদী বিষয়। তিনি নিজেও বলেছেন, হতভম্ব অবস্থা ছড়ানোটাই গুরুত্বপূর্ণ, হতভম্ব অবস্থা কাটানো নয়।
‘পাচক’ থেকে পরাবাস্তববাদী শিল্পী
ছয় বছর বয়সে আমি পাচক হতে চেয়েছি, সাত বছর বয়সে হতে চেয়েছি নেপোলিয়ন, তারপর থেকে আমার আকাঙ্খা কেবল বেড়েই চলেছে।’ দালির আইনজীবী বাবা চাইলেন ছেলে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করুক, কিন্তু মা ছেলেকে ছন্নছাড়া জীবনের দিকে উষ্কে দিলেন। বয়স যখন পাঁচ, তাঁকে দেখানো হলো ভাইয়ের কবর, বলা হলো তার মধ্যে সেই ভাইয়েরই পুনর্জন্ম হয়েছে। দূরন্তপনা ও আদরে বখে যাওয়া কিশোর পড়ালেখার ধার ধারেননি, কিন্তু যখন হাতে তুলি নিলেন, তাঁর চেয়ে সিরিয়াস আর কেউ নেই। ১৯১০ সালে ৬ বছর বয়সে আঁকলেন ল্যান্ডস্পেপ নেয়ার ফিগাবেস আর ৯ বছর বয়সে ১৯১৩ তে আঁকলেন ভিলাবারট্রান। সবুজের জাদুকরী ঘোরের মধ্য সাদা বাড়িটি দেখে কারো মনে হবার কথা নয় এটা ৯ বছরের বালকের আঁকা, আলোর ব্যবহার রঙের ঐশ্বর্য ফুটিয়ে তোলা এবং তুলি চালনার দক্ষতা অবশ্যই কোনো পরিপক্ক শিল্পীর।
দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে
এই ছিল তাঁর লক্ষ, তাই হরেক রকম পোশাক পরতেন, মেয়েদের মতো মাঝখানে সিঁথি, ভেলভেটের জামা কখনো পা ঢাকা রেইনকোট; যৌবনে চলাফেরার সময় হাতে ঘণ্টা রাখতেন। যখনই মনে হতো তার দিকে পথচারীদের নজর কম তখনই ঘণ্টা বাজাতে শুরু করতেন।
দালির উপযুক্ত শিক্ষক কোথায়?
মাদ্রিদের সান ফার্নান্দো একাডেমি অব আর্ট-স্কুলে ভর্তি হয়েই তিনি বাবার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেন। তিনি ঘোষণা করলেন এই একাডেমিতে কেবল একজন শিক্ষকের উপযুক্ত পেশাগত দক্ষতা আছে আর সবাই অনুপযুক্ত। অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ায় তিনি ডিম ছুঁড়ে মারেন, বিদ্রোহ করেন। বাহারি পোশাক, প্রথাবিরোধী আচরণ সব মিলিয়ে বেয়াদব সাব্যস্ত করে তাঁকে আর্ট-স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তখন তার বয়স ঊনিশ বছর। একুশ বছর বয়সে আবার ভর্তি হলেন, ১৯২৬-এর ২১ অক্টোবর তাকে আবার বিদায় করা হলো এই বলে যে তাকে পড়াবার মতো শিক্ষক একাডেমিতে সত্যিই নেই।
কয়েকটি সেরা ছবি : দ্য পার্সিস্টেন্স অব মেমরি, দ্য বার্নিং জিরাফ, দ্য গ্রেট মাস্টারবেটর, দ্য স্পাইডার অব দ্য ইভেনিং, দ্য হ্যালুসিনোজেনিক টোরেডর, দ্য অপোথিসিস অব হোমার, মেল্টিং ওয়াচ, লোবস্টার, টেলিফোন, ক্রসিকিকেশন, দ্য টেম্পটেশন অব সেইন্ট এন্থানি, পোর্টেট অব হর্টেনশিয়া, কিউবিস্ট সেল্ফ পোর্টেট, গার্ল অ্যাট দ্য উইনডো, ভেনাস অ্যান্ড অ্যামোরিনি, পোর্ট্রটে অব পল এলুয়ার, দ্য ড্রিম, জিওলজিক্যাল ডেভলাপমেন্ট।
জ্যাকসন পোলক
তুলি কিংবা পেইন্টব্রাশের ব্যবহারের ধরনটাই পাল্টে দিলেন আমেরিকান চিত্রশিল্পী জ্যাকসন পোলক। তিনি আবিষ্কার করলেন নতুন ধারা। মেঝেতে বড় ক্যানভাস বিছিয়ে তার উপর বিভিন্ন রঙ ঢেলে কাঠি হাতে নিজেই নেমে পড়তেন ক্যানভাসের উপর। নিপুণ হাতে রঙের উপর কাঠি চালিয়ে সৃষ্টি করেছেন ২০ শতকের সেরা কিছু চিত্রকর্ম।
১৯১২ : ২৮ জানুয়ারি কোডিতে জন্ম
১৯৩০ : দারিদ্র্য তাকে খাবার চুরিতে বাধ্য করেছে
১৯৩৬ : মেক্সিকান শিল্পী কোর্সে অংশগ্রহণ
১৯৩৮ : বিষন্নতা রোগে হাসপাতালে, শিশুদের স্কুলের দারোয়ানের চাকরি
১৯৪৬ : চিত্রশিল্পী লি ক্রাসনারকে বিয়ে
১৯৪৮ : ছবির নাম ১৯৪৮-এর ৫ নম্বর
১৯৫১ : কেবল সাদা-কালো ছবি শুরু
১৯৫৪ : ছবি আঁকা বন্ধ করে কেন
১৯৫৬ : ১১ আগস্ট রাতে অ্যালকোহল প্রভাবে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনায় নিহত
শিল্পকলার ইতিহাসে, জ্যাকসন পোলকের মতো এমন উন্মত্ত ‘রংবাজ’ আর একজন নেই। ফোঁটায় ফোঁটায় রঙ ফেলে ব্রাশের বদলে কাঠি চালিয়ে ছবি আঁকার কারণে তার নাম হয়েছে ‘জ্যাক দ্য ড্রিপার’। পশ্চিমের যারা অ্যাকশনে পেইন্টার তাদের অন্যতম গুরু তিনি।
ইজেল থেকে নয়
‘আমার ছবি ইজেল থেকে উঠে আসে না। আমার দুমাড়ানো-মুচড়ানো শক্ত ক্যানভাস শক্ত মেঝেকে বিছিয়ে কিংবা দেয়ালে পুঁতে আমি কাজ করতে পছন্দ করি। আমি চাই শক্ত পৃষ্ঠদেশের প্রতিরোধ। আমার বেশি স্বাচ্ছন্দ মেঝের উপর। আমি অনুভব করি তখন আমি ছবির আরো কাছে রয়েছি, আমি ছবিরই অংশ। আমি ছবির চারপাশে ঘুরতে পারি, চারদিক থেকে আঁকতে পারি, আক্ষরিক অর্থেই আমি তখন ছবির ভেতরেই থাকি।’
কোথায় পাবেন স্টুডিও
তারুণ্য তাঁর কেটেছে চরম দারিদ্র্যে, সবাই তাকে প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁকে কে দেবে ছবি আঁকার স্টুডিও। ক’জন বন্ধু মিলে একটি মুরগির খামারের একাংশ দখল করে নিয়ে চারদিকের দেয়ালে সেটে দিলেন বিখ্যাত কিছু চিত্রকর্মের পোস্টকার্ড। বেশ একটা স্টুডিও বানালেন, কিন্তু মুরগিওয়ালার কাছে নিশ্চয়ই তাঁর ছবি গুরুত্বপূর্ণ হবার কথা নয়। এটি হাতছাড়া হলো। এবার দখল করলেন একটি গোলাঘর। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কাজেই প্রতিদিন তাঁকে অপেক্ষা করতে হতো কখন দিনের আলো ফুটবে।
পপ আর্টের মেগাস্টার
ব্যকরণ না মানা এই চিত্রশিল্পী মার্কিন পপ আর্টের প্রথম মেগাস্টার। কেউ তাকে বলেছেন নি¤œরুচির শিল্পী, কেউ বলেছেন দুঃসাহসী বিপ্লবী। এক সময় তিনি সিরিঞ্জ নিয়ে রঙ ছড়িয়েছেন। রঙের সঙ্গে কখনো মিশিয়েছে কাঁচের মিহিন গুঁড়ো। জ্যাকসন ও তাঁর ঘরনার শিল্পীদের পরিচিতি-অ্যাকশন পেইন্টার।
এ কী উপহাস!
ক্ষুধার তাড়নায় যাকে খাবার চুরি করে খেতে হয়েছে তার ১৯৪৮-এর ৫ নম্বর ছবি, ৮৪ ফুট ফাইবার বোর্ডে আঁকা, ২০০৬ সালে ১৪০ মিলিয়ন ডলারে (এখনকার টাকার মূল্যে ১,১২০ কোটি টাকা!) বিক্রি হয় এটিই ছিল তখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ছবি।
কয়েকটি সেরা ছবি : নর ও নারী, নীল (মবিডিক) উষ্ণতার চোখ, ১৯৪৮-এর ১ নম্বর ৫ নম্বর, ১৯৫০-এর ১ নম্বর।
লুসিয়ান ফ্রয়েড
জীবদ্দশায় বিতর্ক ছিল-তিনিই কি জীবিত শিল্পীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। পোপ ও প্রিন্সেস ডায়ানার পোর্ট্রটে করতে বলা হলে তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন। নিজের ছবি সম্পর্কে বলছেন, ‘আমার কাজ সম্পূর্ণভাবে আত্মজৈবিক… আমার ছবি আমাকে এবং আমার চারপাশ নিয়ে।’ আবার বলেছেন, ‘আমি কখনো স্টাইল নিয়ে ভাবি না, আমি চাই আমার আঁকা ছবিটি বিশ^াসযোগ্য হোক।’
১৯২২ : জন্ম ৮ ডিসেম্বর বার্লিনে; সিগামু- ফ্রয়েডের পৌত্র
১৯৩৩ : নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পরিবারের সাথে লন্ডন আগমন
১৯৩৯ : ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভ; লন্ডনে সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টে ভর্তি
১৯৪১ : আটলান্টি কমভয়ে মার্চেন্ট সিম্যান হিসেবে যোগদান
১৯৪৩ : প্রথম একক প্রদর্শনী।
১৪৪৫ : ড্যাফোডিলসহ এক নারী অঙ্কন
১৯৪৬ : পিকাসোর সাথে সাক্ষাৎ
১৯৪৮ : ভাস্কর জ্যাকব এপস্টিনের মেয়ে কিটিকে বিয়ে
১৯৫১ : সাদা কুকুরসহ বালিশ অঙ্কন
১৯৫৩ : ল্যাডি ক্যারোলনকে বিয়ে
১৯৭৭ : ইঁদুরসহ নগ্ন পুরুষ অঙ্কন
২০০৮ : বেনেফিট সুপারভাইজার স্লিপিং, ৩৩.৬ মিলিয়ন ডালারে বিক্রি
২০১১ : ১০ জুলাই মৃত্যুবরণ
পোর্ট্রটে ও ফিগার পেইন্টিং-এ বিংশ শতকের শেষার্ধে তার সমকক্ষ শিল্পী খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তার পুরু ব্রাশের আঁচড়ের তলায় বিস্ময় লুকিয়ে থাকে। তার সব কাজই তার নিজের গল্প। তিনি পিকাসোকে বলেছেন সম্পূর্ণ বিষাক্ত তবে তার ভোগের জীবন অনেকটা পিকাসোর মতোই। তিনি শিল্পীদের সতর্ক করে দিয়েছেন; মনে রেখো পেইন্টিং-এর মূল জিনিস পেইন্ট। রঙই ছবি আঁকার আসল বিষয়।
বেনেফিট সুপারভাইজার ঘুমোচ্ছে
আদৌ আকর্ষণীয় কোনো নারী নয় বরং বিকর্ষক। কিন্তু লুসিয়ান ফ্রয়েডের ব্রাশের পুরু টানে তা এতোটাই জীবন্ত এবং আবেদনময় হয়ে উঠেছে যে ২০০৮ সালে যখন নিলামে উঠল দাম পেলেন ৩৩.৬ মিলিয়ন ডলার, আমাদের টাকায় ২৭০ কোটি টাকার কাছে। কোনো শিল্পী জীবদ্দশায় তার আঁকা কোনো ছবির জন্য এতো টাকা পাননি।
পেইন্ট ব্রাশ হাতে নিয়েই
লুসিয়ান ফ্রয়েড হাতের পেইন্ট ব্রাশ এবং পাশের একজন নারী কখনো হাতছাড়া করেননি। সচেতন ছিলেন যেন ব্যাকডেটেড না হয়ে পড়েন। ৮২ বছর বয়সে এক দুর্লভ সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি দিনে ১৪ ঘণ্টা স্টুডিওতে কাজ করেন, তার প্রত্যাশা হাতে পেইন্ট ব্রাশ নিয়েই তার মৃত্যু হবে।
তার নারী টিশিয়ানের নারী নয়
শুরুতে তার কাজের যে ধরণ এবং প্রকাশ, তাতে মনে হওয়ার কথা পরাবাস্তববাদী ঘরানার একজন বড় শিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু পঞ্চাশের দশকে যখন তিনি নিজের রঙে ছবি আঁকতে শুরু করলেন, অভিযোগ উঠল, প্রত্যাখ্যাত রিয়েলিস্ট ধারায় ফিরে এসেছেন শিল্পী, তার মেধার অপচয় ও অবমাননা করছেন। ১৯৫০-৫১ সালে আঁকা ‘গার্ল উইথ এ হোয়াটি ডগ’ যখন প্রদর্শিত হলো সমালোচকরা স্বীকার করলেন এটি সনাতন নয়, লুসিয়ান ফ্রয়েডের নিজস্ব একটি রিয়েলেস্টিক ধারণা।
মানব না দানব
তার ব্যক্তিগত জীবন বহুল বিতর্কিত। তার স্বীকৃত সন্তান তের-চৌদ্দ জন, কিন্তু তার জীবন নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তাদের ধারণা ৪০-এর কাছাকাছি। তার মডেলদের প্রায় সবাই তার প্রেমে পড়েছেন এবং শয্যাশায়ী হয়েছেন।
কয়েকটি সেরা ছবি : গার্ল উইথ অ্য হোয়াইট ডগ, ন্যাকেড ম্যান উইথ অ্যা র্যাট, গাই অ্যান্ড স্পেক, এলি অ্যান্ড ডেভিড ডাবল পোর্ট্রেট, বেনেফিট সুপারভাইজার স্লিপিং, আফটার সেজান, গ্রে গেল্ডিং বয় অন অ্যা সোফা, মেয়ার ইটিং হে।
সারাবাংলা/পিএম