বিত্ত-বৈভব, অর্থ উপার্জন আমাকে কখনোই টানেনি: নন্দিতা দাশ
৮ নভেম্বর ২০১৮ ২১:৪৪
।। এসএম মুন্না, উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে ।।
ভারতীয় নারীবাদী-সমাজকর্মী-অভিনেত্রী-নন্দিতা দাশ বলেছেন “খ্যাতি যশ বিত্ত-বৈভব অর্থ উপার্জন আমাকে কখনই টানেনি। অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন ‘তুমি এত বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতে আছো কিন্তু তুমি কোনো উন্নতি বা সেভাবে অর্থ-উপার্জন করতে পারোনি। যেভাবে শাবানি আজমি বাণিজ্যিক ছবি করে ব্যবসায়িক সফলতা পেয়েছেন সেভাবে তুমি পারোনি। আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণই নিজের কাছে। কেউ অর্থ উপার্জন করে নিজেকে বিত্তশালী করে সম্মানিত করে। আর আমি আমার বাস্তবভিত্তিক ভাবনা দিয়ে আমার কর্ম-উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। আমি মনে করি আমার চিন্তা-আদর্শের দিক থেকে শতভাগ সফল। এর থেকে বেশি কিছুই চাই না। অর্থ-উপার্জনের বিষয়ে আমার আগেও কোনো আফসোস ছিল না, এখনও নেই।” ঢাকা লিস্ট ফেস্টের প্রথম দিনে এই মন্তব্য করে তিনি।
২০১২ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় এলেন। ঢাকা লিটে ফেস্টের অষ্টম আসরে এসেছেন তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মান্টো’ নিয়ে। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে চলচ্চিত্রটির বাংলাদেশ প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদশর্নী পরবর্তী মুক্ত আলোচনায় তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে উপমহাদেশে সাংস্কৃতিক বিনিময় অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অগ্রগন্য।’
লিস্ট ফেস্টে ‘মান্টো’র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘কানে চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বড় বড় চলচ্চিত্র উৎসবে আমার ছবি প্রিমিয়ার হবে এমনটাই কখনও চিন্তা করিনি। আমি ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে স্থানের ওপর নির্ভর করিনি। আমার ছবি যদি দর্শকপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা পায় তাহলে এই ঢাকা থেকে কলকাতাসহ সারা বিশ্বেই ‘মান্টো’ মূল্যায়ণ হবে। তাই ছবির প্রদর্শনীটি বাংলাদেশ থেকেই শুরু করলাম।
উদ্বোধনী পর্ব ও প্রথম অধিবেশন
মুনমুন আহমেদ ও তার দল রেওয়াজ পারফর্মিং আর্টসের শাস্ত্রীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারকার ঢাকা লিট ফেস্ট। এত আনন্দ আয়োজন তবু শঙ্কার বার্তা দিয়েই শুরু করলেন বক্তারা। সম্প্রতি পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এ আয়োজনের পরিচালকরা।
বাংলা একাডেমির আবুদল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে লিস্ট ফেস্টের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্ সিদ্দিকী এবং আহসান আকবার। তাদের সঙ্গে যোগ দেন ভারতের নারীবাদী, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী- নির্মাতা নন্দিতা দাস ও পুলিৎজার জয়ী মার্কিন লেখক ও শিক্ষাবিদ অ্যাডাম জনসন।
উদ্বোধনী পর্ব শেষ একই মিলনায়তনে বসে এবারকার উৎসবের প্রথম অধিবেশ। ‘পোস্ট-আমেরিকা ফিউচার’ বিষয়ক আলোচনায় অংশ অ্যাডাম জনসন, ডেভিড বিয়েলো, জেমস মিক, কোর্টনি হোডেল ও নিশিদ হাজারি।
বক্তারা বর্তমান সময়ের গণ্ডি বিবেচনায় দুশো বছরের পুরোনো এই রাষ্ট্রযন্ত্রের ভবিষ্যত খুঁজতে গিয়ে নানা দিক তুলে ধরেন। কেবল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই নয় বক্তারা আলোচনা করেন দেশটির সংস্কৃতি, সাহিত্য, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার খুঁটিনাটি বিষয়ও। লিট ফেস্টের উদ্বোধনী এই সেশনটি সঞ্চালনা করেন কাজী আনিস আহমেদ।
‘মুজিব ভাই’ ও ‘শেখ মুজিব ট্রায়ামফ অ্যান্ড ট্রাজেডি’
বঙ্গবন্ধুর সময় নষ্ট করে নেতাকর্মীরা নিজেদের কর্তৃত্ব দেখলেও তারা বঙ্গবন্ধুর অনেক ক্ষতি করেছিল— জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জবানিতে উচ্চারিত হলেও কথাগুলো আসলে ‘বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায়’ বই থেকে উদ্ধৃতি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরও দুটি বই ‘মুজিব ভাই’ ও ‘শেখ মুজিব ট্রায়ামফ অ্যান্ড ট্রাজেডি’ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় লিট ফেস্টের প্রথম দিনে।
কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘ভাঙাগড়ার দিনগুলি: স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক সেশনেই ড. আনিসুজ্জামান ওই উদ্ধৃতি দেন। ‘বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায়’, ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘শেখ মুজিব ট্রায়ামফ অ্যান্ড ট্রাজেডি’ বই তিনটির লেখক যথাক্রমে মফিজ চৌধুরী এস এ করিম প্রমুখ।
মুখোমুখি আসাদুজ্জামান নূর ও ইমদাদুল হক মিলন
লিট ফেস্টের প্রথমদিন মুখোমুখি হয়েছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। কোনো বাকযু্দ্ধ বা হাতাহাতি নয়। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘সময়ের গান, অসময়ের কবিতা’ শিরোনামে আলাপে অংশ নিয়ে তারা।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয়নি। কারণ আমি ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেছি, হকি খেলেছি, ইন্টার কলেজে ফাইনাল খেলেছি। এছাড়া স্কাউটিং করতাম, ভলিবল খেলতাম, ডিবেট করতাম মানে আমার যা কিছু করার করেছি। অনেকে বলে নূর তো রাজনীতি করে, কিন্তু ওকে ঠিক পলিটিশিয়ান বলা যায় না। আবার অনেকে বলে ও তো নাটক করে। অনেকে বলে এখন তো আর করে না! আমার মনে হয়েছে, কেউ আমাকে সিরিয়াসলি নেয় না।’
ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘আমি ১৯৭৯ সালে জার্মান গিয়েছিলাম একদম শ্রমিক হিসেবে। আমি দু’বছর ছিলাম সেখানে। প্রবাস সম্পর্কে যে বাংলা সাহিত্য আমাদের দেশে প্রকাশিত হয়েছে তার অনেকগুলো আমি পড়ে দেখেছি। সেখানে পাঠকরা জেনেছে ইউরোপ-আমেরিকায় গেলে হাওয়ায় ডলার উড়তে থাকে, হাত বাড়ালেই পাওয়া সম্ভব। কিন্তু আমি সেখানে গিয়ে দেখি এর উল্টো। সেখানে অমানবিক কাজ। ভালো বাসা ভাড়া দেয় না কেউ। যেখানে টাকা দিয়ে সুবিধা পাওয়া সম্ভব সেখানেও সুবিধা পাওয়া যায় না গায়ের রঙের কারণে।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শামীম রেজা।
বিষয় যখন প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণন
কসমিক টেন্টে অনুষ্ঠিত হয় ‘প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণন’ শীর্ষক আলোচনা। এতে যোগ দেন প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ, সৈয়দ জাকির হোসেন, খান মাহবুব, মারুখ মহিউদ্দীন এবং পশ্চিমবঙ্গের ‘দে প্রকাশনা’র প্রকাশক অপু দে।
সঞ্চালনায় ছিলেন ফিরোজ আহমেদ।
বই প্রকাশনা শিল্প এগিয়ে নিতে কার কী দায়িত্ব? সরকারের, প্রকাশকের, লেখকের এবং পাঠকদের দায়িত্ব নিয়ে কথা উঠেছে। কথা উঠেছে প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণনের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়েও। পাশাপাশি ‘প্রকাশনা শিল্প ও বইয়ের বিপণন’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তাদের কণ্ঠে ফুটে ওঠে শঙ্কাও। তারা এই শিল্পের সংকটের দিকে দৃকপাত করেন।
সংগ্রাম, প্রেরণার গল্প শোনালেন মিতালি বোস পারকিন্স
বাংলাদেশের মেয়ে নাইমা। রিকশা চালানোর ইচ্ছে তার প্রবল। ওকে ঘিরেই মিতালি বোস লিখেছেন ‘রিকশা গার্ল’ উপন্যাসটি। লিট ফেস্টের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের উত্তর পার্শ্বে লন মঞ্চে ‘নিউইয়র্ক লাইব্রেরি নির্বাচিত গত শতাব্দীর সেরা ১০০ শিশু সাহিত্য’ তালিকায় স্থান করে নেওয়া এই বইটি নিয়ে সুপ্রভা তাসনিমের সঙ্গে মনখোলা আড্ডায় মাতেন তিনি। সবার সামনে তুলে ধরেন তার লেখক জীবনের ইতিবৃত্ত, সংগ্রাম, প্রেরণার গল্প। শিশু সাহিত্যিক হওয়ার পেছনে মিতালি বোসের প্রবল আগ্রহের কারণ ছিল একটি। তিনি বিশ্বাস করেন, শিশুদের হৃদয় গড়ে দেওয়া গেলে সামনের পৃথিবীটা আরও অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
যে গল্পের পাঠক নেই
কবি শামসুর রহমান সভা কক্ষে ‘যে গল্পের পাঠক নেই।’ শিরোনামে আলোচনা সভায় অংশ নেন সাহিত্যিক মইনুল আহসান সাবের, সাহিত্যিক আহমেদ মুস্তফা কামাল, সাহিত্যিক হামীম কামরুল হক ও সাহিত্যিক রাশিদা সুলতানা। তারা ছোট গল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
হামীম কামরুল হক বলেন, ‘যে গল্পের পাঠক নেই বলতে বুঝায় যে গল্প সবাই পড়তে পারবে না। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, লেখার নান্দনিকতার প্রথম শর্ত হচ্ছে লেখাটা যেন সহজেই পড়া যায়। আমিও এরকমই মনে করি।’
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একটা গান মানুষ হাজারবারও শোনে। কিন্তু একটা গল্প মানুষ এক থেকে দুইবারের বেশি পড়ে না। এমন গল্প বা উপন্যাস লেখকদের তৈরি করা উচিত, যেটা পাঠকদের একবার, দুইবার পড়া পরও তৃতীয়বার পড়ার স্বাদ জাগে।’
আড্ডায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক মোহাম্মদ হানিফ
সারা বিশ্বে চলছে বিরামহীন যুদ্ধ। যুদ্ধ এখন বাস্তবতা। তাই নিয়ে ‘ক্র্যাশিং রিয়েলিটিস’ শিরোনামে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মঞ্চে আলাপে অংশ নেন-পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক মোহাম্মদ হানিফ। তার প্রায় ঘণ্টাখানিক আড্ডা দেন ব্রিটিশ সাহিত্য ম্যাগাজিন গ্রান্টার নির্বাহী সম্পাদক রস পর্টার। মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য ঢাকায় ছিলেন তিনি। কথা বললেন তার নতুন বই ‘রেড বার্ডস’ নিয়ে। গল্পটা নামহীন, বিরতিহীন যুদ্ধের। এলি নামের একজন আমেরিকান পাইলট যিনি তার বোমারু বিমান নিয়ে দুর্ঘটনার পরে নিজেকে খুঁজে পায় মরুভূমিতে। মোহাম্মদ হানিফ তার চিরায়ত স্বভাব স্যাটেয়ার দিয়েই যুদ্ধের নির্মমতা বুঝিয়েছেন। হতাশা আর স্যাটায়ার একাকার রেড বার্ডস বইটিতে।
‘মিথ্যা বলার অধিকার নিয়ে কথা’
ভাস্কর নভেরা মিলনায়তনে নিওরোবিজ্ঞানী গর্গ চ্যাটার্জির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠি হয় ‘মিথ্যা বলার অধিকার নিয়ে কথা’ শীর্ষক আলোচনা। ‘রাইট টু লাই’ শীর্ষক এই আয়োজনে আরও ছিলেন জাকির কিবরিয়া, সৈয়দ মফিজ কামাল অনিক, ডেভিড বিওয়েল। তারা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ও ব্যক্তি আচরণ নিয়ে কথা বলেন। প্রযুক্তির অপব্যবহার মানুষকে মিথ্যুক করে তুলছে। মানুষ কথা বলার সময় ও সুযোগ হারিয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে প্রতারণা বাড়ছে।
অনুবাদ: মূলানুগ নাকি রূপান্তর
ভাস্কর নভেরা মিলনায়তনে ‘অনুবাদ: মূলানুগ নাকি রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনায়। এতে অংশ নেন অনুবাদক আলীম আজিজ, আলম খোরশেদ এবং মোজাফফর হোসেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, ‘সাহিত্যের ক্ষেত্রে অনুবাদে সৃজনশীলতার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কারণ, অনুবাদে ভিন্ন ভাষার মূল অক্ষুণ্ন রেখেও রূপান্তর সম্ভব’। অনুষ্ঠানের সূত্রধর ছিলেন অনুবাদক রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী।
নজরুল মঞ্চের আয়োজন
কবি শিহাব শাহরিয়ার সঞ্চালনায় নজরুল মঞ্চে ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি-কিশোর মনন। আবৃত্তিতে অংশ নেন-ভাস্বর বন্দ্যোপাধায়, প্রজ্ঞা লাবনী, ডালিয়া নৌশিন, লায়লা আফরোজ, আহকামউল্লাহ, মাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। শেষ বেলায় একই মঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়িতা খান।
অন্যদিকে ভাস্কর নভেরা মঞ্চে শিশুদের লেখার কর্মশালা করান শিশুতোষ লেখিকা মিতালি পার্কিন্স। লনে কবিতা পাঠ করেন দেশের শীর্ষ কবিরা। কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সঞ্চালনায় এই আবৃত্তিতে অংশ নেন আলফ্রেড খোকন, রাজু আলাউদ্দিন প্রমুখ।
মনীষা কৈরালা কথা বলবেন শুক্রবার
লিট ফেস্টের তারকাদের তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন বলিউড তারকা মনীষা কৈরালা। লিট ফেস্টে তিনি আজ আসছেন নিজের আত্মজীবনী নিয়ে কথা বলতে। তার সঙ্গে বেলা সোয়া ১১টায় আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তেনে ‘ব্রেকিং বেড’ শিরোনামে আলাপচারিতায় অংশ নেবেন আরেক অভিনেত্রী ও অ্যাক্টিভিস্ট নন্দিতা দাশ। তিনিও কথা বলবেন তিনি নারী অধিকার, অভিনয় জীবন ও বহুল আলোচিত হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন নিয়ে। সঞ্চালনা করবেন সাদাফ সায সিদ্দিকী
জেমকন সাহিত্য পুরস্কার
বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে স্বনামধন্য ‘জেমকন সাহিত্য পুরস্কার’ লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ঘোষণা করা হবে। একই দিনে লঞ্চ করা হবে ক্যামব্রিজ শর্ট স্টোরি প্রাইজ।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কথোপকথন
লিট ফেস্টে বাংলাদেশের সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে থাকছেন ভারতীয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। বাংলা ভাষার লেখকদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। ঢাকা লিট ফেস্টের শেষ দিন ১০ নভেম্বর শনিবার তিনি যোগ দেবেন এই আয়োজনে, কথা বলবেন বাংলাদেশের সাহিত্যপ্রেমীদের সঙ্গে।
অন্যান্য তথ্য
তিন দিনের এই সাহিত্য উৎসব চলবে আগামী শনিবার ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় এই উৎসব পরিচালনা করছেন কথাসাহিত্যিক এবং বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ, কবি সাদাফ সায্ সিদ্দিকী ও কবি আহসান আকবার। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যাত্রিক।
ঢাকা লিট ফেস্টে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন চলছে এই ঠিকানায়- https://www.dhakalitfest.com/register/। উৎসবের শেষ দিন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন চলবে।
সারাবাংলা/এমও