Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মনোয়ারা ইসলামের সংকলন ‘অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে’


৪ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:২৩

সাহিত্য ডেস্ক ।।

ঢাকা: অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনীর সংকলন ‘অপেক্ষমাণ আমি সময়ের দ্বারে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছায়ানটে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ প্রকাশনী। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে কবিতার বাণীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা লাবনী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশক জসিম উদ্দিন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামকে আমি দীর্ঘকাল ধরে চিনি। তার সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পারিবারিক সম্পর্ক। দীর্ঘ জীবন অধ্যাপনায় নিবেদিত ছিলেন মনোয়ারা ইসলাম। তার হাতে তৈরি হয়েছে দেশের কয়েক হাজার সুশিক্ষিতা নারী। ইডেন কলেজ আর হোম ইকনোমিক্স কলেজে দীর্ঘ ৪০ বছর শিক্ষকতা করে তিনি অবসর জীবন যাপন করেছেন। ষাটের দশক থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে লিখেছেন তিনি, সেগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সেই লেখাগুলোতে বিভিন্ন সময়ের কথা উঠে এসেছে।

লেখাগুলো সংকলন আকারে প্রকাশ করায় এ সময় তিনি প্রকাশক ও তার পরিজনদের সাধুবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের কবিতা থেকে পাঠ করে শোনান শিমুল মোস্তাফ, শারমিন মোস্তাফা ও তাহসিন রেজা।

অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন লেখকের ছোট ছেলে কাজী এম আসিফ, গ্রন্থটি প্রকাশের পটভূমি ব্যাখ্যা করেন বড় ছেলে স্থপতি কাজী এম আরিফ এবং লেখকের পক্ষে তার বড় মেয়ে ড. সারাহ তাসনীম গ্রন্থকারের লিখিত অনুভূতি পাঠ করেন।

মনোয়ারা ইসলাম সংক্ষিপ্ত জীবনী

বিজ্ঞাপন

খুলনার মির্জা পরিবারে ১৯৩৬ সালে মনোয়ারা ইসলামের জন্ম হয়। তার বাবা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৫৭ সালে মনোয়ারা ইসলামের কর্ম জীবন শুরু হয় মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে। ষাটের দশকের শেষের দিকে আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার শিক্ষক জীবনের একটি বড় অধ্যায় কেটে যায়।

আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সুদীর্ঘ শিক্ষক জীবনে তিনি ছাত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, সাবেক রোটারী গভর্নর সাফিনা আহমেদ এবং অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়াও তিনি বি.এড ও এম.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

পরবর্তীতে মনোয়ারা ইসলাম জাতীয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে যোগ দেন এবং ২০ বছরের বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম রোটারী ক্লাব (উত্তর-পশ্চিম)-এ যোগ দেন। ২০১১-১২ সালে তিনি ওই ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন।

অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম কবিতা, প্রবন্ধ ও গল্প লিখতে ভালোবাসেন। অনিয়মিতভাবে লিখেছেন সারাজীবন। অনেক দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় তার সাহিত্য কর্ম ছাপা হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বেতারে নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। টেলিভিশন ও বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তা ও উপস্থাপক হিসেবে তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল দীর্ঘ কালব্যাপী।

স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে খেলাধূলায় বিশেষ ঝোঁক ছিল অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের। ইডেন কলেজে তিনি ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। কলেজের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস চ্যাম্পিয়ন মনোয়ারা ইসলাম ছাত্রী হোস্টেলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। বইপড়া, বাগানকরা ও দেশ-বিদেশ ভ্রমণসহ পরিবার ও বন্ধুজনদের সান্নিধ্যে সময় কাটানো তার শখ।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম ভ্রমণ করেছেন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ বহু দেশ। হজ পালন করতে গিয়ে তিনি সৌদি আরব ভ্রমণ করেন।

সারাবাংলা/এটি

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর