Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে চলছে কাজী জহিরুল ইসলামের একক বইমেলা


১৪ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০১

কাজী জহিরুল ইসলামের একক বইমেলায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

কাজী জহিরুল ইসলাম। কবি এবং কথাসাহিত্যিক। জাতিসংঘে কর্মরত কাজী জহির আমেরিকা প্রবাসী হলেও দেশের গণমাধ্যমে লেখালেখি নিয়ে তার উপস্থিতি সরব। সম্প্রতি (১২ অক্টোবর, শনিবার) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শুরু হয়েছে কাজী জহিরুল ইসলামের একক বইমেলা। বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও লেখক আহমদ রফিক।

মেলা উপলক্ষে প্রকাশিত কবির নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘একালে কাকতলাতে বেল’ গ্রন্থেরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন রূপা চক্রবর্তী, আহকাম উল্লাহ, নাজমুল আহসান, আব্দুস সবুর খান চৌধুরী এবং প্রান্তিক হোসাইন। অনুষ্ঠানে কাজী জহিরুল ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন কাজী রোজী, জাহিদুল হক, ফরিদ কবির, মারুফুল ইসলাম, রহিমা আখতার কল্পনা। এছাড়া লেখকের পরিচিতি উপস্থাপন করেন জাঁ-নেসার ওসমান। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থা স্কলারস পাবলিশার্সের সিইও এম ই চৌধুরী শামীম।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমদ রফিক বলেন, কাজী জহিরুল ইসলাম একজন গুণী লেখক, আমি বিস্মিত হয়েছি জেনে যে তিনি মাত্র ৫১ বছর বয়সে ৬১ টি গ্রন্থের জনক। নিজের লেখা ছাড়াও তিনি বাঙালি কবিদের ইংরেজি কবিতার অ্যান্থোলজি আন্ডার দ্য ব্লু রুফ সম্পাদনা করছেন যা প্রকাশিত হচ্ছে আমাজনের মতো একটি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে। এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি কাজ। এমন কাজ এর আগে আর কোনো বাঙালি করেছেন বলে আমার জানা নেই।

কাজী রোজী বলেন, জহির একজন সফল মানুষ এবং একজন সফল লেখক। সাহিত্যের সকল শাখায় তার সফল পদচারণা অনেকেরই ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফরিদ কবির তার বহুমাত্রিকতার প্রশংসা করে বলেন, দেশের বাইরে থেকে যারা সাহিত্যচর্চা করেন তাদের মধ্যে আমি কাজী জহিরুল ইসলামের লেখাই মন দিয়ে পড়ি।
আমরা যার ভ্রমণ বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ি সেই মঈনুস সুলতান তার ভ্রমণের প্রশংসা করে লিখেছেন, তাই আমি খুব সাবধানে এবং গভীর মনোযোগ দিয়ে তার ভ্রমণগ্রন্থ ‘উড়াল গল্প’ পাঠ করেছি। তখনই তার শক্তিমত্তার সাথে আমার পরিচয় ঘটেছে।
মারুফুল ইসলাম তার “ক্রিয়াপদহীন কবিতা” গ্রন্থের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে বলেন, ক্রিয়াপদ তুলে দিয়ে এমন সাবলিল কবিতা লেখা এক দুরূহ কাজ। সেটি কাজী জহিরুল ইসলাম সফলতার সাথে করেছেন। এর মধ্য দিয়েই আমরা টের পাই তিনি একজন উঁচুমানের কবি।
জাহিদুল হক বলেন, তার মিষ্টি ছন্দের কবিতাগুলো আমার অসম্ভব ভালো লাগে। ছন্দে তিনি সিদ্ধহস্ত। আমি তাকে বেশি বেশি লিরিক্যাল কবিতা লেখার অনুরোধ রাখছি।

বিজ্ঞাপন

কাজী জহিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আহমদ রফিক বাংলা ভাষাকে স্বাধীন করেছেন, আজ তিনি সেই ভাষার উত্তরপ্রজন্মের একজন লেখকের একক বইমেলা উদ্বোধন করলেন এবং সেই লেখক আমি। এটি আমার জন্য এক বিরল সম্মান। তিনি আয়োজক সংস্থা, আলোচক, বাচিক শিল্পীবৃন্দসহ উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একটি ফরাসী লোকজ গল্পের উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিথ্যেরা আজ সত্যের পোষাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নগ্ন সত্যকে চেনার এবং অন্যকে চেনানোর দায়িত্ব লেখকদের। আমি সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি। আপনাদের ভালোবাসাই আমার শক্তি। প্রাপ্তির প্রত্যাশা বা হারানোর ভয় আমাকে দুর্বল করতে পারবে না।

১৩ তারিখ থেকে ১৯ তারিখ প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত কাজী জহিরুল ইসলামের একক বইমেল চলবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৭ম তলায় অবস্থিত বাতিঘরে। প্রতিদিন বিকেলে লেখক বাতিঘরে বসবেন এবং পাঠকদের সাথে মত বিনিময় করবেন।

আহমদ রফিক একক বইমেলা কাজী জহিরুল ইসলাম বাতিঘর

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর