বাবুল এন্ড কোং এর দাঁতের মাজন
৫ জুলাই ২০২০ ১৫:২৩ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২০ ১৫:২৫
মঙ্গলবার, সকাল ন’টা, বাবুল এখনও বিছানা থেকে ওঠেনি। জোৎস্না কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়ে। সাধারণত হাটের দিনগুলোতে বাবুলের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত। তাও আবার চম্পাতলির হাট, অনেক বড় হাট। এক হাটে যা আয় হয়, তাতেই অন্তত তিন-চার দিন নিশ্চিন্তে কেটে যায় বাবুল আর জোৎস্নার। জোৎস্না ডাক দেয়, কি’গো, ন’টা বাজে, হাটে যাইবানা। বাবুল ঘুমের ঘোরেই জবাব দেয়, না, শরীরটা ভালো না। আজ যাবোনা। জোৎস্নার দুশ্চিন্তা বাড়ে, গায়ে হাত দিয়ে দেখে বেশ জ্বর। বাসায় সব সময় কিছু কবিরাজি ওষুধ থাকে। জোৎস্না বলে, আইজ পান্থাভাত খাওনের দরকার নাই। আমি রুটি বানাইতেছি, রুটি খাইয়া ওষুধটা খাও, আজ সারাদিন বিশ্রাম, কোথাও যাওনের দরকার নাই।
চম্পা মেট্রিক পাশ। বাবুল বেরিয়ে যাওয়ার পর এলাকার বাচ্চাদের পড়ায়। না, টাকার বিনিময়ে না। একেবারে ফ্রি, সমাজ সেবা আর কি। চম্পা জানে সমাজ সেবা করতে সব সময়, অর্থ, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাজনীতি লাগে না। ইচ্ছা থাকলে নিজের মত করেও করা যায়। এবার চম্পার এক ছাত্রি চুমকি, মেট্রিক দিবে। গ্রামে এখনও এসএসসিকে মেট্রিকই বলা হয়। চুমকির কেউ নেই, দুরসর্ম্পকের এক আত্মীয়র বাসায় থাকে। স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া হয় না। তবে জোৎস্নার কাছে নিয়মিত আসে।
বাবুলের মাজনের ব্যবসা। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানো, সবই বাবুলের কাজ। তাই তার প্রতিষ্ঠানের নাম, বাবুল এন্ড কোং। স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে দুই কেজি চক পাউডার, মেনথল, থাইমল, ইউক্লাবটিস অয়েল এবং সিনামিন ওয়েল কিনে, এখন ফ্লোরাইড পাউডারও কিনতে হয়, এটা দিলে মুখে ফেনা হয়। আসলে দাঁত পরিষ্কারের সাথে ফেনা হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই, তবুও যুগের চাহিদায় দিতে হয়। না, মাজন তৈরিতে বেশি ঝামেলা নেই। কোন মেশিন পত্র লাগে না। বিদ্যুৎ কিংবা আগুনেরও প্রয়োজন নেই। শুধু ক্যামিকেলগুলো একসঙ্গে মেশালেই হয়ে গেল। তবে মনে রাখতে হয়, যাতে দলাদলা না হয়। ঝরঝরে থাকার জন্য মেশানোর সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয় মাত্র।
এবার প্যাকিংয়ের পালা। প্রথমে শক্ত আর্ট পেপার দিয়ে সিগারেটের প্যাকেটের মতন করে প্যাকেট তৈরি করে। এবার এক ছটাক (৫০ গ্রাম প্রায়) করে পলিথিনে ভরে, কেরোসিনের ল্যাম্পের আগুনে সিল করে ফেলে। এবার পলিথিনগুলো আর্টপেপারের প্যাকেটগুলোতে ভরে ফেলে। বাবুল জানে দাঁত পরিষ্কারের সাথে সাদার একটা সর্ম্পক আছে। তাই প্রতিটি প্যাকেটকে সাদা অফসেট কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে আঠা লাগিয়ে প্যাকেজিং সম্পন্ন করে। এবার মাজনের প্যাকেটগুলোকে একেবারে সাদা ধবধবা রাজহাসের মতন দেখায়। আগে দর্শনধারী, পরে গুণ বিচারি। সবশেষে, প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে ‘বাবুল এন্ড কোং’ এর সিল (রাবার স্ট্যাম্প) লাগিয়ে দেয়। এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে জোৎস্না বাবুলকে সহযোগিতা করতে চায়, তবে বাবুল খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের। মুখে কিছু না বললেও বোঝানের চেষ্টা করে। একটু কোথাও ভুল হয়ে গেলে, প্রায় বারো বছরের সুনাম নষ্ট হয়ে যাবে বাবুলের। মাজন সংক্রান্ত সব কাজ একা একা করাতেই বাবুল বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
বাবুল জানে প্রচারেই প্রসার। প্রচার ছাড়া তার এই মাজন কেউ কিনবে না। তাই প্রচারের জন্য একটা হ্যান্ড মাইক, একটা সাপ ও একটা সুন্দর ধবধবে সাদা পোষাক আছে বাবুলের। পোষাক বলতে সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট, সাদা জুতা এবং একটা সাদা ক্যাপ, ক্যাপটা অনেকটা ট্রেনের গার্ডসাহেবদের মতন।
আজ আবার মঙ্গলবার, হাটে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাবুল, চম্পাতলির হাট। গতদিন যায়নি তাই আজ একটু বেশি সচেতন। মাজনও একটু বেশি করে নিয়েছে। তার কিছু নিয়মিত গ্রাহকতো আছেই। যারা গত হাটে নিতে পারেনি, তারাতো আজ আসবেই। বাবুলের কোন সহযোগি নাই। সব কাজ একাই করতে হয়। প্রথমেই সে একটি নির্ধারিত যায়গায় সাদা চুনের গুড়া দিয়ে গোলাকার এলাকা নির্ধারণ করে। তারপর তার সাদা ব্রিফকেসটা মাঝখানে রাখে, পাশেই রাখে সাপের সাদা বাক্সটি, বাবুল সাপটির নাম দিয়েছে রেশমি। ব্রিফকসের পাশেই একটি সাদা পাত্রে রেশমির জন্য দুধ রাখে বাবুল। ব্রিফকেস থেকে মাজনগুলো বের করে ব্রিফকেসের ওপরেই সাজায় বাবুল। এবার রেশমিকে বের করে। না, বিষধর সাপ না রেশমি। বাক্স থেকে বেরিয়েই খানিকটা দুধ খেয়ে নেয় রেশমি, তারপর সেই চুনের সার্কেলের মধ্যেই চারিদিকে ঘুরতে থাকে। এভাবেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাবুল।
এবার বাবুল হ্যান্ড মাইকটা হাতে নিয়ে, দাঁত থাকার গুণাবলি ও দাঁত পরিষ্কার রাখার গুণাবলী বর্ণনা করতে থাকে। যাদের দাঁত নাই তাদের পৃথিবীতে কিছুই নাই। গোসতো খেতে পারে না। আবার যার দাঁত ময়লা, মানুষ তাদের পছন্দ করে না, কাছে গেলে দুর্গন্ধ লাগে ইত্যাদি। কথার ফাঁকে ফাঁকে কৌতুক বলে বাবুল। আর জনতা হো হো করে হেসে ওঠে। বাবুল জানে হাসলে মানুষের দাঁত দেখা যায়। তাই এটা দাঁত দেখার কৌশল আর কি। বাবুল সার্কেলের ধার দিয়ে হাঁটতে থাকে। ভেতরে বাবুল আর বাইরে জনতা। বাবুল হাসির ফাকে দাঁত দেখে রাখা কোন এক কিশোরের হাত খপ করে ধরে ফেলে। বলে, ‘এই ছেলেরতো বিয়ে হবে না। কে বিয়ে করবে এই ছেলেকে। দেখেন আপনারা, দেখেন কি ময়লা দাঁত।’ সবাই আবার হো হো করে হাসে। হাসতে তো টাকা লাগে না। এবার বলে, ‘নো চিন্তা, তুমি বাবুল এন্ড কোংয়ে এসেছো। তোমাকে আমি বিয়ে দিয়েই ছাড়বো।’ জনতার উদ্দেশ্য, ‘কি বলেন আপনারা।’ সবাই একযোগে বলে, ‘হ্যা হ্যা।’ এবার বাবুল বলে লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই। তুমি একটা মাজনের প্যাকেট উঠাও। বালকটি লাজুক ভঙ্গিতে একটা প্যাকেট ওঠায়। বাবুল বলে নিজ হাতে প্যাকেটটা খোল। খোলার পরে বাবুল বালকটির হাতের তালুতে খানিকটা মাজন ঢেলে দেয়, তারপর নিজের আঙ্গুলে খানিকটা মাজন নিয়ে বালকটির দাঁতে দেয় ডলা, ডলা আর ডলা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বালকটির দাঁত পরিস্কার এবং মুক্তার মত ঝকঝকে। জনতা খুবই মজা পায়। এবার দ্রুত চাহিদা বেড়ে যায়। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে মাজন কেনার জন্য। বাবুল সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলে। এখনও দামের বিষয় কিছুই বলেনি বাবুল। এবার দামের পালা। এক প্যাকেট দুই টাকা তবে তিন প্যাকেট নিলে মাত্র পাঁচ টাকা। মুহুর্তে মাজন শেষ। হাট শেষ হতে এখনও তিন চার ঘন্টা বাকি। বাবুলের পকেট গরম। বাসার জন্য বাজার সদাই করে ফেলে, জোৎস্নার জন্য গুড়ের জিলাপি নিতে ভোলে না। বাবুল জানে এটা ভুলে গেলে বৌ ভিষণ মন খারাপ করে। আর রেশমির জন্য খাঁটি দুধ।
আজ শনিবার। পাশেই ওখড়াবাড়ির হাট। বেশি বড় হাট না। বাবুল প্রস্তুতি নেয়। আজ জোৎস্না একটু অন্যমনস্ক। হাটে যথারীতি মাজনের পসরা সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। দোকান সাজানো হয়েছে। রেশমিও বের হয়েছে, কিন্তু দুধের বাক্স কই। জোৎস্না ভুলে গেছে নিশ্চয়ই। মনে মনে বিরক্ত হয় বাবুল। যাই হোক, প্রচার শুরু, তবে রেশমি ঘাপটি মেরে বসে আছে। না আজ খেলাধূলা করছে না। এক জায়গাতেই বসে আছে। বাবুল বুঝতে পেরেছে। দুধ নাই, তাই মনটা খারাপ। বাবুলেরও মন খারাপ, কিন্তু কি আর করা। বাবুল ভাবছে একদিন দুধ না খেলে কিছুই হবে না। বাবুল যথারিতি মাইকে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
জনসমাগম শুরু হয়ে গেছে, তবে চম্পাতলির মত নয়। বাবুল প্রচার চালাতে চালাতে রেশমির কাছে আসতেই ফনা তুলে খপ করে কামড় দিল রেশমি। বাবুল হতবাক, জনতা অবাক, বাবুল কাঁপছে রাগে-দুঃখে। দ্রত সবাই ধরাধরি করে হাটের মধ্যেই সুলতান কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় বাবুলকে। বাবুল যেতে যেতে চিৎকার করে বলে, ওকে (রেশমিকে) আপনারা মারবেন না, ও অভিমান করেছে মাত্র। আমার কিছুই হবে না। কবিরাজ সাহেব ভালো মানুষ। সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করার কৌশল শেখেননি। উনি রেশমিকেও দেখেছেন। বললেন সাপটি বিষধর নয়। সামান্য ক্ষত হয়েছে। ব্যন্ডেজ করে দিচ্ছি এবং একটা মলম দিচ্ছি। ক’দিন লাগালেই ঘা’টা সেরে যাবে। আজ আর মজমা জমলো না। হয়তো শুরু করা যেত, কিন্তু বাবুলের মন কিছুতেই টানছে না। বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় বাবুল।
এখন ভরা দুপুর, এই সময় জোৎস্না একাই থাকে বাসায়, চুমকি জানে, তাই প্রায়ই দুপুরে পড়ার জন্য চলে আসে জোৎস্নার কাছে। আজও এসেছে। জোৎস্না ও চুমকি দুজনই জানে বাবুল সন্ধার আগে ফিরবে না।
হঠাৎ বাবুলকে বাসায় ফিরতে দেখে, চমকে যায় দুজনে। বারান্দায় লেখাপড়া করছিলো ওরা। বাবুল কোন কথা না বলে, সোজা ঘরে ঢোকে। পেছন পেছন জোৎস্নাও যায়। জোৎস্না বুঝতে পারে নিশ্চয়ই কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করে জোৎস্না। প্রতিদিনের মতন জোৎস্না মাজনের ব্রিফকেসটা ও হ্যান্ড মাইকটা যথাস্থানে উঠিয়ে রাখে। রেশমির বাক্সটা পাশেই ছোট্ট একটা ঘরে রাখে, ওটাই তার জন্য নির্ধারিত ঘর।
চুমকিকে আজকের মত চলে যেতে ইশারা করে জোৎস্না। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন কথা বলে না বাবুল। জোৎস্নাও জোর করে কিছুই জানতে চায় না। সন্ধার পর জোৎস্না বলে ‘তোমার মুখটা শুকনো লাগছে, নিশ্চয় হাটে কিছু খাওনি। আমি গরম গরম ভাত রান্না করেছি, একটু খেয়ে নাও।’ বাবুল সায় দেয়। জোৎস্নাও দুপুরে কিছুই খায়নি। দুজনে একসাথে খেতে বসে, হঠাৎ জোৎস্না লক্ষ করে বাবুলের পায়ে ব্যান্ডেজ, আতকে ওঠে সে। একি, কি হয়েছে? বাবুল জানায়, রেশমি কামড় দিয়েছে। শুনে চমকে যায় জোৎস্না। এরই নাম দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষা। জোৎস্না বলে ‘কেমনে, কখন!’ বাবুল বলে, ‘আজ তো দুধ দিতে ভুলে গেছ, তাই মনে হয় অভিমানে কামড় দিছে।’ এবার নিজেকেই ধিক্কার দেয় জোৎস্না। ভাবে, আজ আমার জন্যই এতবড় অঘটন ঘটলো। কেন যে আমি দুধের কথাটা ভুলে গেলাম। জোৎস্না পুরো এক হাঁড়ি দুধ নিয়ে রেশমির ঘরে যায়। বাক্সের মুখটা খুলে দিয়ে বলে, ‘খা, খা কত দুধ খাবি, খা।’ এরপর দেরি না করে আবার ঘর বন্ধ করে ফিরে আসে। সাধারণত এভাবেই রেশমিকে খাওয়া দেওয়া হয় আর সে বাক্স থেকে বের হয়ে হাঁড়িতে চুমুক দিয়ে দুধ খায় আর পুরো ঘর ঘুরে বেড়ায়। বাবুল আর জোৎস্না দুজনেরই মন খুব খারাপ। সারারাত চুপিচুপি একবার বাবুল আর একবার জোৎস্না রেশমির ঘরে যায়। কিন্তু না, দুধ যেভাবে দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই আছে। রেশমি বাক্স থেকে বের হয় নি।
পরদিন রবিবার, আজ কোন হাট নেই। বাবুল-জোৎস্না দুজনেই বাসাতেই আছে। সকাল সকাল রেশমির ঘরের দরজা খুলে দুজন একসঙ্গে ঢোকে। না, দুধ যেভাবে ছিল সেভাবেই আছে। রেশমি এখনও বের হয়নি। এবার লাঠির আগা দিয়ে রেশমিকে টেনে বের করে বাবুল। ঘরের মেঝেতে রাখে। জোৎস্না চুকচুক করে দুধ খেতে ইশারা করে, আগেও করেছে। জোৎস্নার ইশারা বোঝে রেশমি। কিন্তু না, কোন লাভ হল না। এবার রেশমিকে বাক্সে না পুরে মেঝেতে রেখেই দরজা বন্ধ করে জোৎস্না। দুপুরে দেখা যায়, রেশমি নেই মেঝেতে। দরজা খুলে দেখা গেল আবার বাক্সে ঢুকে পড়েছে রেশমি। না, দুধটুকু স্পর্শও করেনি।
দুপুরের পর সন্ধা, সন্ধা গড়িয়ে রাত। বাবুল-জোৎস্না বুঝতে পারছে না কি করবে? বাক্স খোলা, দুধ রাখা কিন্তু কিছুতেই রাজি করানো যাচ্ছে না রেশমিকে। এটাকি মনিবকে কামড় দেয়ার অনুশোচনা? গভির রাত পর্যন্ত বারবার জোৎস্না খেয়াল রেখেছে, না দুধটুকু খায় নি রেশমি। ভোর বেলা নামাজ পড়তে ওঠে জোৎস্না। নামাজ শেষে যায় রেশমির ঘরে। কোথাও দেখা যাচ্ছে না রেশমিকে। বাক্সটা খোলা। বাক্সের ভেতর দেখতে পায় রেশমিকে, নড়া চড়া নেই। লাঠি দিয়ে গুতা দেয়, এত শক্ত হয়ে আছে কেন। এবার জোরে গুতা দেয়, না, কোন সাড়া শব্দ নেই।
নিস্তেজ রেশমি, চিৎকার দিয়ে ওঠে জোৎস্না, ‘নেই, নেই, রেশমি নেই চলে গেছে, আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।’ চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ঢোকে জোৎস্না। জোৎস্নার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেছে বাবুলের। হতবিহবল বাবুল চেয়ে থাকে জোৎস্নার দিকে। নির্বাক বাবুল-নির্বাক জোৎসনা, কে দেবে ওদের সান্তনা?
জোৎস্না দাঁতের মাজন বাবুল দাঁতের মাজন এন্ড কোং রেশমি শাকিল আহমেদ সারাবাংলা গল্প সারাবাংলা সাহিত্য