বিষাদের আখ্যানে ঊনত্রিশেই বুকার জয়
২৭ আগস্ট ২০২০ ১৩:৩৩
সারাবাংলা সাহিত্য ডেস্ক
দশ বছর বয়সে হারিয়েছিলেন পিঠাপিঠি বড় ভাইকে। ভাইটি ছিল তার খেলার একমাত্র সঙ্গী। ভাইকে হারানোর পর দীর্ঘ বিষাদে ডুবে যান নেদারল্যান্ডের লেখক মার্কি লুকাস রিনভেল্ড। আর সেই বিষাদ দিনের আখ্যান ‘দ্য ডিসকফোর্ট অব ইভিনিং’ লিখে মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়েসে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পুরষ্কার বুকার প্রাইজ জিতে নিলেন তিনি।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, মার্কি রিনভেল্ডের ডাচ ভাষায় লেখা উপন্যাসটির মূল আখ্যান যাপিত জীবনের বিষাদ আর মানসিক টানাপোড়েন। লেখকের মতোই বইটির চরিত্র যশ নামের মেয়েটি দশ বছর বয়সে তার ভাইকে হারায়। সেদিন যশের ভাই কথা দিয়েছিল তাকে নিয়ে আইস স্কেটিংয়ে যাবে। কিন্তু ভাই সেদিন তাকে নিয়ে যায়নি বলে খুব রাগ হয়েছিল যশের। রীতিমতো মৃত্যুর অভিশাপ দিয়েছিল ভাইকে। অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে, ঠিক সেদিনই এক দুর্ঘটনায় মারা যায় যশের ভাই।
ভাইয়ের মৃত্যুর পর যশদের সাজানো পরিবারটি নিমিষেই যেন অগোছালো হয়ে যায়। ছেলের শোক সইতে না পেরে পঙ্গু হয়ে যান বাবা-মা। এদিকে যশ নিজেকে নিয়তই দুষতে থাকে, তার অভিশাপের জন্যই ভাইটি মারা গেলো। পরবর্তী পুরো উপন্যাসটিই আবর্তিত হয়েছে এই বিষাদের আখ্যানে।
দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, চলতি বছরের বুকার পুরষ্কারের জন্য ৩০ টি ভাষায় লেখা মোট ১২৪ টি বই বেছে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরষ্কারের শিকে ছিঁড়লো ‘দ্য ডিসকফোর্ট অব ইভিনিং’ এর। লেখক মার্কি লুকাস রিনভেল্ড সৃষ্টি করেছেন এক ইতিহাস। তার চেয়ে কম বয়েসে কেউই আর জেতেনি মর্যাদাপূর্ণ এই সাহিত্য পুরষ্কার।
বইটি ইংরেজিতে ভাষান্তর করেছেন মাইকেল হাচিসন নামক এক অনুবাদক। আর তাই ৫০ হাজার ইউরোর এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ও মর্যাদার ভাগীদার তিনিও।
সারাবাংলা/ এসবিডিই
বুকার প্রাইজ ২০২০ মাইকেল হাচিসন মার্কি লুকাস রিনভেল্ড সাহিত্য ডেস্ক