গল্প : জিঘাংসা
২৫ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪৩
সামছুকে খুন করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে টিক্কা। খুনের নেশা তাকে নতুন করে পেয়ে বসেছে। ঘোষণাটি এমন-এক কোপে সামছুর ধর থেকে মাথা ফেলে দেবে। এলাকায় আতঙ্কের ভাব প্রকট। সেই মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো ছাড়া এতটা আতঙ্কে আর কাটেনি কারো।
গাঁয়ের ছেলে মেয়েরা টিক্কা খানের সম্পর্কে জানে না। জানলেও তা শোনা কথা। তাই এই ঘোষণার নৃশংস রূপটা তাদরে কাছে অস্পষ্ট। তবে বড়রা ঠিকই জানে। বড়রা এও জানে টিক্কার আসল নাম টিক্কা নয় ইনুস মুন্সি।
টিক্কা ঘোষণা দিয়েছে সামছুর মাথা কাটবে প্রকাশ্যে। প্রাইমারি স্কুলের সামনে, স্কুল তখন খোলা থাকবে।
আতঙ্কিত বহরপুর গ্রামের বড়রা টিক্কা খানের এসব কথার কোনটিই অবিশ্বাস করে না। সন্দেহটুকুও মনে স্থান পায়না। আর কিশোর তরুণরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে দোলে। ওরা টিক্কা খানের নৃশংসতা দেখেনি। তবে সামছুর সাহসিকতা ওরা দেখেছে।
কোনো বাড়িতে আগুন লাগলে সবচেয়ে যে সামনে থাকে সে সামছু। কেউ পানিতে ডুবে গেলে ঝাপিয়ে পড়া লোকটি সামছু। ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দেওয়ার নেতৃত্বেও সামছু।
টিক্কা খানের রক্তচক্ষু কিন্তু ওরা দেখেছে। কেমন একটা ঘোলাটে লাল। আর ঘাড়খানা বামদিকে বাঁকানো। স্থায়ীভাবে। গুজব আছে কোন এক অমাবশ্যার রাতে টিক্কা খানের ঘাড়মটকানোর চেষ্টা করেছিলো ভূত। পুরোটা পারেনি। কিন্তু যেটুকু মোচড় পড়ে তাতে টিক্কার ঘাড়টি বামদিকে অনেকটা বেঁকে যায়। এরপর আর সোজা হয়নি। কাজের কাজ যেটা হয়েছে- এতে সে দেখতে আরও নৃংশস হয়েছে।
ভূতের কাহিনী ডালপালা ছড়ালেও টিক্কা খানের বাঁকানো ঘাড়ের অন্য কাহিনীও চাউর আছে। কেউ কেউ মনে করে সে রাতে আসলে সামছুই টিক্কা খানরে ঘাড়টা মটকে দিতে চেয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে সামছু কখনোই মুখ ফুটে কিছু বলে নি।
সামছু যা করে তা প্রকাশ্যেই করে, ভয়ডর নিয়ে ভাবে না। সে কারণেই ঘাড় মটকানোর বিষয়টি যে গ্রামবাসী পুরোপুরি বিশ্বাসের স্থানে নিয়েছে তাও নয়। তাদের ধারনা, সেটা হলে সামছু নিজেই বলতো।
সেই যে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাসে টিক্কা গা ঢাকা দিয়েছিলো তার প্রায় এক যুগ পরই তার প্রথম দেখা মেলে বহরপুরে। বিজয় ঘোষণার দিন থেকেই টিক্কা পগারপার। সামছুরা তাকে অনেক খুঁজেছে। কিন্তু টিক্কার টিকিটিরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধের মোটে কয়টি মাসে কিভাবে যে ইনূস মুন্সি এই টিক্কা খান হয়ে উঠেছিলো সে কথা গ্রামবাসীর জানা। মুক্তিযুদ্ধের পর এমন একটি দিনও বহরপুরে কাটেনি যেদিন কারো না কারো শাপ-শাপান্তে টিক্কার নাম উচ্চারিত হয়নি।
এর বারো বছর পর কোনও এক সকালে বহরপুরে হাজির হয় ইনূস মুন্সি ওরফে টিক্কা খান। মুখে সেই ছাগলা দাঁড়ি আর নেই। সেগুলো ফ্রেঞ্চকাটে রূপ নিয়েছে। হাতের আঙুলে আঙুলে পাথর আর পিতলের আংটি। গলার মোটা চেইনটি অনেকেই স্বর্ণের বলে ঠাহর করে। তবে বহরপুরের কেউ এমন ধনী হয়ে যাবে যে এত মোটা সোনার চেইন পড়বে এটা বিশ্বাস হয়না কারো। মুক্তিযুদ্ধের সময়টিতে যেমন রক্তচক্ষু ছিলো, তা এখন কিছুটা ঘোলাটে হয়ে এসেছে। আর যাই হোক টিক্কার চোখ সাধারণ চোখ নয় তা ছোট ছেলেটিও বুঝতে পারে। একবার ডাকাতি করতে গিয়ে কোপ খাওয়া কপালের বাম দিকটা আরও ঢালু হয়ে গেছে। ফলে ভয়ঙ্কর ভাবটি ট্রেডমার্ক হয়ে ঝুলে থাকে টিক্কার চেহারায়।
ঢালু কপালেই প্রথম চোখ যায় সবার। মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে কোনো এক রাতে কপালে বড় একটা কোপ নিয়ে গাঁয়ে ফিরেছিলো ইনূস খা। সেদিনও অবাক হয়েছিলো গ্রামবাসী। গ্রামের মক্তবে পড়াতো ইনূস। দ্বিনী শিক্ষার দৌড় যাই থাক, বহরপুরে ছেলে মেয়েদের চার কলেমা, আলিফ-বা-তা, আর গোটা কয়েক সূরা শেখার জন্য ছিল ইনূস মুন্সিই ভরসা। বিনিময়ে ঘরে ঘরে পালা করে তিন বেলা ভরপেট খেতো।
কোনও এক অজানা কারণে ইউনূসের এই মক্তবে শিশুরা খুব একটা যেতে চাইতো না। দিন কয়েক গেলেই তাদের মধ্যে অনীহা দেখা যেতো। ইহকাল-পরকালের গভীর চিন্তায় বাবা-মায়েরা সন্তানদের ঠেলে ঠেলে পাঠাতেন ইউনূসের মক্তবে।
সেই ইনূসই এক ভোরে কপাল কোপের দাগ নিয়ে গাঁয়ে ফেরে। জনশ্রুতি আছে, তবে প্রমাণ নেই, রাতে ডাকাতি করতে গিয়ে কোপ খেয়েছিলো ইনূস।
এরপর ইউনূস ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে আর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে তার রূপ। মাদ্রাসায় পড়ানো ছেড়ে দেয়। রাতে ইউনূসকে কেউ দেখে না। দিনে লাল দুটি চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামবাসীর ওপর হুমকি ধমকি করে। গ্রামের সবাই ইউনূসকে ভয় পেতে শুরু করে তখন থেকেই। কিন্তু কেউ জানেনা, কেন তাদের এত ভয়! ইউনূসকে ভয় করতে করতেই বহরপুরবাসীর সামনে এসে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ। ইউনূস তখন আরো নৃশংস হয়ে ওঠে।
টিক্কা খান নামটি ইউনূস নেয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। রাজাকার বাহিনীর প্রধান হিসেবে গ্রামে তার আধিপত্য নিশ্চিত করতে টিক্কা খান নামটি কাজে দেয়। ওদিকে সামছুরা চলে যায় মুক্তিযুদ্ধের প্রশক্ষিণে। পরে যুদ্ধরে সময় সামছুদের কাছে টিক্কার নৃশংসতার খবর যায়, কিন্তু ওদরে পক্ষে নিজেদেরে গাঁয়ে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। বিজয়ের দিনে যখন ফেরে তখন টিক্কা পগার পাড়।
কিন্তু এক যুগ বছর পর বহরপুরের মানুষ ইউনূস নামের টিক্কা খানকে দেখতে পেয়ে বিস্ময়-ভয়-ঘৃণার চোখেই তাকায়।
গাঁয়ে ফিরে পয়সা ঢালতে শুরু করে টিক্কা। অল্পেই গ্রামবাসী বুঝতে পারে এই টিক্কা এখন অনেক ধনী। শহর থেকে মাঝে মাঝে ভট ভট ‘হোন্ডা’ চালিয়ে কিছু ষণ্ডামার্কা ছেলে আসে। টিক্কার সঙ্গে তাদের দেখা যায়। গঞ্জে তাদের দাপট চলে। সামছুরাও গঞ্জেই থাকে। সেখানে তাদের ক্লাব ঘর আছে। টিক্কা ও তার দলকে কোনও পাত্তাই দেয় না। কিন্তু সব মিলিয়ে গ্রামবাসীর অস্বস্তি বাড়ে।
এরপর আবারও হঠাৎ কয়েকদিন ফের টিক্কার দেখা নেই। গ্রামবাসী হাপ ছাড়ে। গ্রামে চাউর হয় অমাবশ্যার রাতে বহরপুর গ্রামের বুড়ো বটতলায় টিক্কাকে একা পেয়ে ভুত ঘাড় মটকে দিয়েছে। কেউ বলে মটকাতে পারেনি টিক্কা বেঁচে গেছে। কিন্তু গাঁও ছেড়েছে।
মাস দুয়েক পর টিক্কা আবার আসে। তার ঘাড় এক দিকে বাঁকানো। ঘাড় মটকানোর কাহিনী সত্য হয়ে ধরা দেয় গ্রামবাসীর কাছে। কিন্তু তার চেয়েও সত্য হয়ে ওঠে টিক্কার নৃশংস চাহুনি। এইবার তাদের সবার কাছেই টিক্কা হয়ে ওঠে এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। শিশু-কিশোররাও ভয় পেতে থাকে তাকে।
গঞ্জে টিক্কা দোকান তোলে। সেখানে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বাড়ে। সামছুরাও তাদের ক্লাব ঘরে থাকে। গঞ্জে একটা থমথমে ভাব যেনো লেগেই থাকে।
তারই মাঝে শীতের এক বিকেলে গঞ্জের যে চায়ের দোকানে মুরুব্বিরা বসেন সেটাতে ঢুকে পড়ে টিক্কা ওরফে ইউনূস মুন্সি।
‘বুঝলা তোমাগো সবাইরে বইলা রাখি এই বছরেই কোনও একটা দিন আমি সামছুর কল্লা কাটবো। ঘটনাটা ঘটবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। দিনের বেলায়। স্কুল খোলার দিনে।’
মুরুব্বিদের মুখে রা নেই। আতঙ্কে সবার গলাতো দূরের কথা কলিজা পর্যন্ত শুকিয়ে যায়।
দোকানদার আজাহার খাঁ ইনূসেরই বংশের। সম্পর্কে চাচা। তারও কলিজা শুকিয়ে আসে।
হুমকি দিয়ে বের হওয়ার পথে কোনওরকম দুটি কথা মুখ থেকে বের হয়- ‘চা খাবি ইউনূস!’
বাঁকানো ঘাড় আরও বাঁকিয়ে রক্তচোখে আজাহার খাঁর দিকে তাকায় সে। আর সজোরে থাপ্পরবসায় চাচার কান ও গাল পেঁচিয়ে। আঙ্গুলের আংটিগুলো বসে যায় গালের ভেতর। আর বুড়ো উল্টে পড়েন মেঝেতে।
কেউ ছুটে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। রক্তচোখ দুটি গোটা দোকানে একবার ঘুরে আসে। আর বের হয়ে যায় টিক্কা।
কিছুক্ষণ পর সামছুরা খবর পেয়ে আজাহার খাঁকে তুলে শহরে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
টিক্কার ঘোষণা একে একে সবার কানে পৌঁছায়।
হাসপাতালে যাওয়ার পথে আজাহার খার মুখেই শোনে সামছুও। কিন্তু সে নির্বিকার। টিক্কার হুমকি নয়, তখন তার কাছে বুড়োকে হাসপাতালে পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় কাজ ও ভাবনার বিষয়।
রাতে গঞ্জে ফেরে সামছুরা। এরপর আবারও সবকিছু ঠিকঠাক। শুধু একটা ভয়ের হিসহিস শব্দ চারিদিকে যেনো ভেসে বেড়ায়।
বড়রা টিক্কাকে অবিশ্বাস করে না। ছোটরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে দোলে।
এরই মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি আসে, আসে স্বাধীনতা দিবস। সে নিয়ে বহরপুর স্কুলে বড় অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। সামছুই থাকে তার নেতৃত্বে। পহেলা বৈশাখেও গ্রামের শেষ সীমায় নদী তীরে থৌল বসে। তাতে ঘোরদৌড় হয়। সামছুর ঘোড়া এবারও প্রতিবারের মতো সেরা হয়। গ্রামবাসী বিশেষ করে কিশোর-তরুণরা তাকে নিয়ে মাতামাতি করে। থৌলের দিন টিক্কাও আসে। তবে তাকে সারাটাক্ষণ জুয়ার কোটে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
সেবার কালবৈশাখী ঝড় এসে বহরপুরকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় একদিন। সামছুরা তা নিয়েও ব্যস্ত থাকে। শহর থেকে রিলিফ আসে। সেগুলো বণ্টন করাও তার দায়িত্ব। যাদের ঘর গেছে তাদের টিন দাও! যাদের রান্না বন্ধ তাদের খাবার দাও। যাদের হাত-পা ভেঙ্গেছে তাদের হাসপাতালে পাঠাও। এই সব। ঝড়ে একজনেরই প্রাণহানি ঘটেছে। তিনি আজাহার খাঁ। তার দোকানটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। তারই নিচে চাপা পড়েছিলেন আজাহার খাঁ। উদ্ধার করে তাকে মৃত পাওয়া যায়। দাফনের আগে গোসল করানোর সময় সামছুর চোখ পড়ে গালের কাছে তিনটি ঢালু হয়ে থাকা দাগ। ক্রোধে তার গা রি রি করতে থাকে। তবুও শান্ত হয়ে থাকে।
বর্ষা কালে বহরপুর হয়ে থাকে এক বিচ্ছিন্ন জনপদ। শহরে যাওয়ার রাস্তা অনেক আগেই বন্যার পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে। গ্রামের বিভিন্ন অংশ পানিতে থই থই। তারই মধ্যে ঘোর এক বর্ষার দিনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেরা মেতেছে ফুটবল নিয়ে। বৃষ্টির সাথে বাতাস বইছে। তীর্যক হয়ে মাঠে বৃষ্টি পড়ছে। তবে সেই বৃষ্টিতে ভিজে খেলা চলছে। স্কুলের ক্লাস অনেক আগেই ছুটি হয়ে গেছে। শিক্ষকরাও কেউ কেউ নেমে পড়েছেন খেলতে। এক বন্ধুকে নিয়ে সামছুকে দেখা গেলো ছাতা মাথায় মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে। খেলায় তখন তুমুল উত্তেজনা। হঠাৎই চোখে পড়লো দুটি মানুষ কাদায় ধস্তাধস্তি করে মাঠের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। সবাই চিনে ফেললো লড়াই চলছে সামছু আর টিক্কার মধ্যে। টিক্কার হাতে ধারালো ছুরি। সামছুকে কয়েকবার কোপ বসানোর সুযোগ থাকলেও সে তা করছে না। বরং কব্জা করেগলায় আঘাত করার চেষ্টা করছে।
চারিদিক স্তব্ধ। সবারই মনে পড়ে গেলো টিক্কার ঘোষণা। কিন্তু কারোরই সামছুকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যাওয়ার সাহস নেই। বিষ্ফোরিত চোখে চেয়ে আছে শ’খানেক ছাত্র-ছাত্রী। তারা তাদের প্রিয় সামছুকে এতটা বিপদে পড়তে আর কখনোই দেখেনি। টিক্কা ও সামছুর মধ্যে লড়াই তখন মধ্যমাঠে। একবার সামছুকে কব্জা করে ফেলে, ফের সামছু মুক্ত হয়ে টিক্কার ওপর চড়াও হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধস্তাধস্তির পর হঠাৎই সবাই লক্ষ্য করলো ছোরাটি তখন সামছুর হাতে। আর পানি কাদায় চিৎ হয়ে আছে টিক্কা।
এক নিমিষে সামছুর মনে খেলে গেলো মক্তবে ঘটে যাওয়া এক দুঃসহ স্মৃতি। আর তখনই নুয়ে পড়লো ছোরা হাতে। টিক্কা খানের লুঙ্গির উপর দিয়েই ছোরা চালালো কোমড়ের নিচে। সবাই দেখতে পেলো সেখান থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটছে।
বস্তুটি তখনও সামছুর হাতে। পশ্চাৎদেশের পুরোনো ব্যাথাটি আবারও একবার যেনো নতুন করে মোচর দিয়ে উঠলো। সেই আট বছর বয়সে যে ব্যাথা তাকে কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। কিন্তু কাউকে বলতে পারেনি। ভেতরে ভেতরে ফুসেছে আর ক্রমেই পোক্ত হয়ে উঠেছে একটা জিঘাংসা।
সবাই দেখলো ছোড়াসহ কিছু একটা হাত থেকে সামছু ছুড়ে মারলো টিক্কার মুখের ওপর। আর সজোরে দৌড় লাগালো মাঠের উল্টো দিকে।
তড়পাতে তড়পাতে এক পর্যায়ে থেমে গেলো টিক্কাও। সবাই চোখ পাকিয়ে দেখলো। কিন্তু কেউ এগিয়ে এলো না।