Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প: লিঙ্গ-বিদ্বেষ ভরা সমাজ বদলের ডাক

সারাবাংলা ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২২ ১১:২৩

ঢাকা: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশে নারীরা আজও যেন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। হিন্দু-মুসলমান, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সমাজের সকল বর্গেই নারীরা ‘সংখ্যালঘু-দশা’র মধ্যে বন্দী হয়ে আছে। নারীর এই অসহায় দশা সংখ্যা নয়, ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। নারীর মুক্তি ও নরের মুক্তি একই সুতোয় বাঁধা। এই বিষয়গুলোকে চিন্তার কেন্দ্রে রেখেছে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’।

কবি, প্রাবন্ধিক এবং জেন্ডার ও মিডিয়া বিষয়ক গবেষক আফরোজা সোমা’র জেন্ডার ও মিডিয়া বিষয়ক প্রবন্ধগ্রন্থ ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ নিয়ে এক আলোচনা ও আনন্দ-আড্ডায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

লেখক-পাঠককে মুখোমুখি সাক্ষাতের সুযোগ ঘটিয়ে দিতে ২৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এই আয়োজন করে বইটির প্রকাশনী সংস্থা ‘হাসান’স’।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দীন আহমদ, লেখক-অনুবাদক ও সাংবাদিক রওশন জে চৌধুরী, সাহিত্যের ছোটো কাগজ ‘লোক’-এর সম্পাদক কবি অনিকেত শামীম, কবি ও কথাসাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, কবি ও সাংবাদিক জুয়েল মোস্তাফিজ এবং গল্পকার বাকিবিল্লাহ।

সমাজ বদলাতে হলে, সামাজিক মনস্তত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হলে সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছোতে হবে। শহুরে জনগোষ্ঠীর কাছে পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছানোর জন্য ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে, গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের কাছে পরিবর্তনের এই ভাবনাগুলোকে কিভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আরও ভাবতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

বিজ্ঞাপন

লেখক-অনুবাদক রওশন জে চৌধুরী বলেছেন, সমাজে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার ভেতর দিয়েই যে মূলত নারী ও পুরুষের চরিত্র ও পরিচয় নির্মিত হয়, সেই বিষয়টিকে অত্যন্ত নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’।

‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’-কে সময় ও সমাজের থেকে এগিয়ে থাকা গ্রন্থ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আলোচক বাকিবিল্লাহ।

কবি জুয়েল মোস্তাফিজ বলেছেন, মূলধারার গণমাধ্যমে, বিশেষত পত্রিকায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও নিপীড়নের খবরগুলোর ভাষা যে লিঙ্গ-সংবেদনশীল নয়, সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা রয়েছে এই গ্রন্থে। তাই, দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বইটি অবশ্য জরুরি পাঠ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কবি ও কথাসাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ বলেছেন, পুরুষতন্ত্র যে শুধু নারীকে নয়, পুরুষকেও বন্দী করে রাখে, সেই বিষয়টিকে দারুণভাবে তুলে ধরেছে বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প।

কবি অনিকেত শামীম বলেছেন, পুরুষতন্ত্রের জীবাণুতে শুধু পুরুষ নয় নারীরাও যে আক্রান্ত হতে পারে সেই বিষয়টিকে বিভিন্ন উদাহরণ ও প্রেক্ষিত টেনে এনে পরিস্কার করেছে ‘বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প’।

বেশ্যা ও বিদুষীর গল্প বইয়ে মোট চারটি অধ্যায় ও ২৭টি প্রবন্ধ রয়েছে। বইটি ২০২১ সালের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ করে প্রকাশনী সংস্থা হাসান’স।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর