শফিক হাসানের ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৯
শফিক হাসান সময়ের একজন প্রতিনিধিত্বশীল কবি। তিনি লেখেন কম কিন্তু তার কবিতায় উঠে আসে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের টানাপোড়েন, আত্মশ্লাঘা, দুঃখ-জরা-যান্ত্রণা-লাঞ্ছনা-বঞ্চনা। বারংবার এইসব বাস্তবতার ঘোড়া বা অতিবাস্তবতা মানুষের জীবনে হাজির হয় নানা রঙে, নানা ঢঙে। কবি কবিতায় কোনো শঠতার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা বা অসত্যের ডামাডোল বাজিয়ে কবিতাকে মূর্তিমান করতে আসেননি। কারণ তার কবিতা ক্ষণিক খেয়ালের ফসল নয়— এটা জীবন পোড়ানো গল্পের সারাৎসার।
চোখের সামনে যাকিছু দৃশ্যমান সেগুলোকেই তিনি কবিতায় রূপায়িত করেন। প্রেম-ভালোবাসার গোঁজামিলে কবি জীবনের অন্তঃসারশূন্যতাকে ঢেকে রাখার বাহানা করেন না। কবি যে সময়কে দেখেন— সেই সময়ের অনুভ‚তি কবির অভিজ্ঞতাকে আরও পাকাপক্ত করে দেয়। তিনি নিজে নিজে কবিতায় এক নিস্তব্ধ আলো-ছায়া তৈরি করে কবিতাকে করে তোলেন নিজস্ব বয়ানী গল্পের অন্তর্ধ্যান। অথচ তিনি নিজের মধ্যে এক ধরনের ঘোরকে লালন করে কবিতাকে করে তোলেন তীক্ষ্ম ও ধারালো। কবির কবিতার ভাষা সহজ-সরল হলেও তিনি টুইস্ট বা উইট ব্যবহার করে সত্যকে একটু বক্রতার মাধ্যমে বলতেই পছন্দ করেন। নিজের বোধ ও বোধির আলোকে দেখাতে চান সমাজকে, বলতে চান মানুষের কথা।
শফিক হাসানের কবিতায় শব্দচয়ন যেন অবলীলায় কবির মন ও মগজে লুটোপুটি খায় এ কথা বলতেই পারি। স্মৃতিমন্থনেও কবি সিদ্ধহস্ত— তার কবিতার উপমা-উৎপ্রেক্ষায় নির্দেশ করে নিজস্ব গতিপথ। তিনি কবিতাকে কোনো নির্দিষ্ট ফ্রেমের মধ্যে আঁটোসাঁটো করে আটকে রাখতে চান না— তার কবিতা মানেই আমাদের তীব্র সমাজবাস্তবতা এবং মানুষের অবয়ব। বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলায়, দেশ পাবলিকেশন্স-এর ৪১৭-১৮-১৯ নম্বর স্টলে।
সারাবাংলা/এজেডএস