সিদ্দিক মাহমুদুর রহমানের ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব’
১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪২
পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে উৎসবের সাথে পালিত হয়।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। দুই দেশেরই বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে বরণ করে নেয়।
ঐতিহ্যগতভাবেই এই উৎসব শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা ভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল, ‘শুভ নববর্ষ’। নববর্ষের সময় বাংলাদেশে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ২০১৬ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই উৎসব শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো ‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরী এবং খ্রিস্টীয় সনের পার্থক্য হলো হিজরি সন চাঁদের হিসেবে এবং খ্রিষ্ট্রীয় সন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। এ কারণে হিজরী সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় আকাশে নতুন চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার পর আর খ্রিস্টীয় সনে নতুন দিন শুরু হয় মধ্যরাত থেকে। কিন্তু পহেলা বৈশাখ রাত ১২টা থেকে শুরু না হয়ে সূর্যোদয় থেকে শুরু হয়।
সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারো মাস অনেককাল আগে থেকেই পালিত হতো। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতে। সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত। তখন নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ‘আর্তব উৎসব’ তথা ‘ঋতুধর্মী উৎসব’ হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ।
বাংলা নববর্ষে মুঘলদের প্রভাব
কিছু ইতিহাসবিদ বাঙলা দিনপঞ্জি উদ্ভবের কৃতিত্ব আরোপ করেন ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্কের উপর। পরে মুঘল সম্রাট আকবর একে কর আদায়ের উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করেন। মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকরা খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন ও হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সন চালু করেন। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। সে সময় বাংলা সনের নাম ছিল ‘তারিখ-এ-এলাহী’। এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর হয় আকবরের সিংহাসন আরওহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন’, পরে ‘বঙ্গাব্দ’ বা ‘বাংলাবর্ষ’ নামে পরিচিত হয়।
আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন দেশের প্রজারা বাংলা চৈত্র মাসের শেষদিনে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করত। এরপর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা তার এলাকার অধিবাসীদের মিষ্টি খাওয়াতো। এর সাথে নানা উৎসবও হত। এই উৎসব একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। সে সময় এইদিনে হালখাতা তৈরি করা হতো। হালখাতা মানে নতুন হিসাব বই। হালখাতা বাংলা সনের প্রথম দিনে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব হালনাগাদ করার নিয়ম। সারাদেশে পুরনো বছরের হিসাব বই বন্ধ করে নতুন হিসাব বই খোলা হয়। হালখাতার দিনে দোকানদাররা গ্রাহকদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করে। এই প্রথাটি এখনও স্বর্ণের দোকানে চালু আছে।
অনেকের মতে, বাংলার মুঘল সুবাদার মুর্শিদকুলি খান প্রথম পুন্যাহ (পূন্য সময়) রীতি শুরু করেন। যার অর্থ ‘ভূমি রাজস্ব আদায়ের উৎসবের দিন’। তিনি বাংলা দিনপঞ্জি সূচনা করার জন্য আকবরের রাজস্বের নীতি ব্যবহার করেন। নীতিশ সেনগুপ্ত বলেন, ‘বাংলা দিনপঞ্জির প্রচলন যিনেই করে থাকুন না কেন, ঐতিহ্যবাহী বাংলা দিনপঞ্জির উপর ভিত্তি করে বসন্তের ফসল সংগ্রহের পর রাজস্ব আদায়ের জন্য এটা সহায়ক ছিল।’
অনুমান করা হয়, বারোটি নক্ষত্রের নাম নিয়ে পরবর্তীকালে নামকরণ করা হয় বাংলা মাসের। বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জ্যৈষ্ঠ, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ, ভদ্রপদ থেকে ভাদ্র, আশ্বায়িনী থেকে আশ্বিন, কার্তিকা থেকে কার্তিক, আগ্রায়হন থেকে অগ্রহায়ণ, পউস্যা থেকে পৌষ, ফালগুনী থেকে ফালগুন এবং চিত্রা নক্ষত্র থেকে চৈত্র।
বাংলা নববর্ষে হিন্দু তত্ত্ব
ইতিহাসবিদদের মতে, পহেলা বৈশাখ উৎসবটি ঐতিহ্যগত হিন্দু নববর্ষ উৎসবের সাথে সম্পর্কিত বৈশাখী নামে পরিচিত। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে একইদিনে এই উৎসব পালিত হয়। হিন্দু ও শিখরা এই উৎসব পালন করেন। ভারতের পূর্ব ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোর নববর্ষের উৎসবগুলো হিন্দু বিক্রমী দিনপঞ্জির সাথে সম্পর্কিত। এই দিনপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে।
বাংলা নববর্ষের আধুনিক ইতিহাস
আধুনিক নববর্ষ উদ্যাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। সমসাময়িক কালে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বাঙ্গালিদের জন্য প্রতিবছর ১৪ বা ১৫ এপ্রিলে এই উৎসব হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৬৬ সালে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এর নেতৃত্বে গঠিত হওয়া ১৯৬৬ সালের একটি কমিটিতে পুরনো বাংলা দিনপঞ্জিকে সংশোধিত করা হয়। এখানে প্রথম পাঁচমাসকে ৩১ দিন, আর বাকি মাসগুলোকে ৩০ দিন বানানো হয়।
প্রতি অধিবর্ষে ফালগুন মাসে ৩১ দিন ধার্য করা হয়। ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে এই দিনপঞ্জি গ্রহণ করা হয়। এরপর, জাতীয় দিনপঞ্জির সূচনা ও প্রতি বছর নববর্ষ ১৪ এপ্রিলেই হয়ে থাকে। ১৪২৬ বঙ্গাব্দে দ্বিতীয়বারের মত সংশোধনী আনা হয়। নতুন এই বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন এই ছয় মাস ৩১ দিনে হবে। ফালগুন মাস ছাড়া অন্য পাঁচ মাস ৩০ দিনে পালন করা হবে। ফালগুন মাস হবে ২৯ দিনের, কেবল অধিবর্ষের বছর ফালগুন মাস ৩০ দিনের হবে।
বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন
নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামের মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটামুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি একসময় প্রচলিত ছিল। বাংলাদেশে এরকম কুস্তির সবচেয়ে বড় আসরটি হয় ১২ বৈশাখ, চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে, যা জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিত।
মঙ্গল শোভাযাত্রা
ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো হয় বিভিন্ন রঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি।
১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখ উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘের ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
২০০৫-০৬ অর্থবৎসরে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা প্রণয়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং এশিয়াটিক সোসাইটিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১২ খন্ডে প্রকাশিত এই তালিকা তথা সমীক্ষা প্রতিবেদনের ১১শ খণ্ডে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাংলা একাডেমী ২০১৪ সালে এ প্রস্তাবনাটি সর্বপ্রথম প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হয় নি। পরবর্তীকালে ইউনেস্কোর চাহিদা অনুযায়ী এই প্রস্তাবনাকে গ্রহণযোগ্যরূপে পুনঃপ্রণয়ন করা হয়। ২০১৫ এর ১লা জুন প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. শহিদুল ইসলাম এই পুনঃপ্রণীত প্রস্তাবনাটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পুনরায় ইউনেস্কোর নিকট দাখিল করেন। অতঃপর, ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাক বিশ্ব ঐতিহ্যর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের পর পর ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানান। বর্ষবরণের এই সঙ্গীতানুষ্ঠানটি ঢাকার রমনা পার্কের রমনা বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা।
বাংলা বর্ষবরণকে ঘিরে বিশেষ গোষ্ঠীর প্রচারণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিউিট আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা বিরুদ্ধে অতি সম্প্রতি বেশ জোর প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। এই গোষ্ঠির মত হলো, মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে হিন্দু সংস্কৃতির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা মুখোশ, বিভিন্ন প্রাণীর মুর্তির মাধ্যমে আসলে পৌত্তলিকতার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অথচ মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যবহার করা ফুল-পাখি, বাঘ, শিয়াল, পেঁচা কোনটাই হিন্দুদের দেবতা বা দেবী না। মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যাবহার করা ফুল-পাখি, বাঘ, শিয়াল, পেঁচার সামনে কোন প্রকার পুজা করা হয় না, ফুল দেওয়া হয় না, ধুপ-ধুনা জ্বালানো হয় না, শাঁখ বাজানো হয় না, ঘন্টা বাজানো হয় না, সিঁদুর মাখানো হয় না, কেউ মাথা নিচু করে প্রনামও করে না। বাঙালি সংস্কৃতির একান্ত শান্তিপ্রিয় অনুষ্ঠান এই পহেলা বৈশাখ পালন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা।
লেখক: গবেষক, অনুবাদক, সাহিত্যিক; ফেলো- রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি, ইংল্যান্ড ও ওয়ালস
সারাবাংলা/এসবিডিই
প্রবন্ধ বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখী আয়োজন বৈশাখী আয়োজন ১৪৩০ সাহিত্য সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান