বকুলতলার ফুল কুড়ানো মিষ্টি বিকেলগুলো হারিয়ে গেছে
প্রমত্ত করোতোয়ার থেমে যাওয়া ঢেউয়ের সাথে
শেষ বিকেলের মলিন আলোর মতো।
স্মৃতির ক্যানভাসে তোমার দুষ্ট চোখজোড়াও
আজ কেন জানি মোনালিসার মতো অসম্ভবরকম শান্ত।
এই আকাশ সংস্কৃতির যুগ
তোমার চুলের সুগন্ধ
খামে করে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
পদ্মাপাড়ের সবুজ চত্বরে বসে যে কিশোর
রাধাচূড়া কুড়িয়ে পড়ার টেবিল সাজাতো,
মেসেঞ্জার, ইনবক্স আর ইনস্টাগ্রাম
তাকে সব্যসাচী হালের কেতাদুরস্ত চাকুরীজীবী বানালেও,
বোটলব্রাশের ভালোবাসাকে ভোলাতে পারেনি।
কিশোর আজ তার ছেলেবেলাকে খুঁজে ফেরে
তার আত্মজার নরম হাতের পুরোনো আখরে।
সংসার সমরাঙ্গনে আচমকা ঘূর্ণিঝড়গুলো
সময় নামের স্মৃতিখেকো অশরীরী হয়ে হাজির হলেও,
তোমাকে রেখেছি ভালোবাসার
হাতে লেখা সাতকাহনের অসমাপ্ত ইতি করে।