রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য সমাজতত্ত্ব ও কাণ্ডজ্ঞান
২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৪০
রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর আশি বছর পার হবার পরও তার জন্মমৃত্যু দিবসে ভুরিপরিমাণ রবীন্দ্রপূজা হয়– রবীন্দ্রনাথের বই বিক্রি হয়, তাকে নিয়ে লেখা হয় প্রচুর, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞের আবির্ভাবও কম ঘটেনি, কিন্তু মুক্ত মনে রবীন্দ্রনাথকে পড়া খুব যে হয় তা বলা চলে না! পাঠ্যপুস্তকের বাধ্যবাধকতায় কিংবা রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার সূত্রে রবীন্দ্রোল্লেখও কম হয় না, হাটুরে আবৃত্তিকারদের দাপটে অনলাইন সহজতায় রবীন্দ্রস্মরণনিনাদও হয় যথেষ্ট; রবীন্দ্রসংগীতের চর্চার কল্যাণে তার কতিপয় গানের সুর ছড়িয়ে পড়লেও মননশীল রবীন্দ্রনাথকে মুক্ত মনে সন্ধান করা হয় খুবই কম। তার কর্মবহুল যাপিত জীবন সম্পর্কে, পরিপার্শ্বের মানুষ ও বিশ্ব সম্পর্কে তিনি যে প্রচুর প্রবন্ধ রচনা করে গেছেন এবং তার পরিমাণও যে কত বিপুল তা সচরাচর আমাদের মনে পড়ে না। অথচ ঐসব রচনায় তিনি বাঙালি সমাজ তথা বাঙালি মন নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে নিয়ে তার লেখা দুটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তার চরিত্রপূজা বইয়ে। তার দ্বিতীয়টিতে তিনি বলেছিলেন,
‘আমরা আরম্ভ করি, শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি তাহা পালন করি না; ভূরিপরিমাণ বাক্যরচনা করিতে পারি, তিলপরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না; আমরা অহংকার দেখাইয়া পরিতৃপ্ত থাকি, যোগ্যতালাভের চেষ্টা করি না; আমরা সকল কাজেই পরের প্রত্যাশা করি, অথচ পরের ত্রুটি লইয়া আকাশ বিদীর্ণ করিতে থাকি; পরের অনুকরণে আমাদের গর্ব, পরের অনুগ্রহে আমাদের সম্মান, পরের চক্ষে ধূলিনিক্ষেপ করিয়া আমাদের পলিটিকস্, এবং নিজের বাক্চাতুর্যে নিজের প্রতি ভক্তিবিহ্বল হইয়া উঠাই আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।’
২.
উপর্যুক্ত কটি চরণকে অবলম্বন করেই এই রচনায় এগোতে চেষ্টা করব। রবীন্দ্রনাথের এই যে ছোট্ট পর্যবেক্ষণ তা যে কতটা গভীর তা আমরা অনুভব করি এই কারণে যে এই কথাগুলো তার কাল থেকে অনেক দূরে এসেও এখনো একই রকম তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে আছে। এটি তো তার কোনো পদ্ধতিগত গবেষণা থেকে পাওয়া উপলব্ধি নয়, বরং সাধারণ যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত অন্তর্দৃষ্টির ফল। এখানেই সমাজ বিজ্ঞানীর সঙ্গে সাহিত্যিকের অন্যতম বড় পার্থক্য। সমাজ বিজ্ঞান সাম্প্রতিক কালে উদ্ভাবিত জ্ঞানশৃঙ্খলা। অধুনাতর সাহিত্যিককে হয়তো প্রায়ই সমাজবিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতেও হয়, কিন্তু তাহলেও তার মূল কারবার মানুষের মনে সংবেদন সৃষ্টি করা; ব্যক্তিক অনুভবকে পৌঁছে দেয়া নৈর্ব্যক্তিকতায়!
জ্ঞানশৃঙ্খলায় সমাজবিজ্ঞানী না হলে কী হবে সাহিত্যিককে সমাজ নিয়েই কারবার করতে হয়। কারণ মানুষ মূলত সামাজিক প্রাণী। এমনকি অধুনাকালের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদিতার যুগেও সে তা-ই! ফলে এখনো প্রাবন্ধিকদের অন্যতম প্রধান মননভিত্তি সমাজই। সমাজবিজ্ঞানীকে গবেষণায় নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে বিরাট যজ্ঞ চালিয়ে যে বোধে উপনীত হতে হয় একজন লেখক হয়তো তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়েই সেই উপলব্ধিতে পৌঁছবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজের ঝোঁক সাহিত্যের দিকে, আবার সমাজবিজ্ঞান বোধকেও আমি সঙ্গে রাখতে চাই!
৩.
আমার লেখালিখি শুরু হয়েছিল স্কুলপড়ুয়া কালে দেয়ালপত্রিকার জন্য গদ্য লেখা দিয়ে। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরুনোর পরও গদ্য সম্পর্কে প্রচলিত মূল্যবোধের আলোকে আমারও মনে হতো যে, গল্প-উপন্যাস ছাড়া মননশীল গদ্য লেখা সৃষ্টিশীল কাজ নয়। পণ্ডিত হিসেবে এই ধরনের গদ্যলেখকদের কাউকে কাউকে কিছু মূল্য দেয়া হলেও তাদের ঠিক সাহিত্য সৃষ্টির জন্য বেশি সম্মাননীয় গণ্য করা যায় না। ‘মৌলিক’ কিছু সৃষ্টি করেন প্রধানত কবিরা। অনেক পরে অনুভব করি যে গল্প-উপন্যাসের লেখকেরাও সৃষ্টিশীল লেখক হিসেবে মর্যাদা পেতে পারেন। তবে প্রবন্ধকারেরা মননশীল লেখক হিসেবে কিছুটা সম্মান যে পান না তা নয়, কিন্তু তাদের স্থান দ্বিতীয় সারিতে। তাদের খোঁজও রাখেন কম সংখ্যক মানুষই তাদের মধ্যেও আবার স্বল্পসংখ্যকই সাধারণত স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারেন। কাজটি কঠিন হলেও অনুবাদকদের দামও একই রকম কম। সাহিত্য-সমাজের মনোভাবটা এরকম যে সমালোচক এবং অনুবাদক উভয়কেই পরের ধনে পোদ্দারি করতে হয়। সুতরাং যাঁরা সমালোচক বা অনুবাদক তারা যদি পরের ভালো ধনকে অবলম্বন করতে না পারেন তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমার তরুণ বয়সে কেবল বুদ্ধদেব বসুকেই সমালোচক-অনুবাদক হিসেবে কিছুটা সম্মান পেতে দেখতাম। তা-ও জীবনানন্দ দাশের সমর্থক-সমালোচক বলে এবং বাংলাভাষায় বোদলেয়ারের কবিতা অনুবাদ করে বাংলা কবিতাকে প্রভাবিত করতে পেরেছিলেন বলে। তবে সেই সমালোচকেরাই কিছুটা সমীহ আদায় করতে পারেন যাঁদের সমালোচনার ভিত্তিতে সাহিত্য সমাজে সৃষ্টিশীল লেখকেরা কিছুটা গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। এই ধরনের সমালোচককে আমার মনে হতো কিছুটা ‘সাহিত্যের মাস্তানে’র মতো। যেন তিনি সপ্রশংস চোখে বিশেষ কোনো সৃষ্টিশীল সাহিত্যকর্মের দিকে না তাকালে সেই সৃষ্টিশীল লেখক অশনাক্ত থেকে যান। কোনো কোনো ‘সৃষ্টিশীল’ লেখককে এই বলে খেদোক্তি করতে শুনেছি যে সৎ সমালোচনা না পাওয়ায় তারা এখনো কিছুটা অচ্ছুৎ রয়ে গেছেন। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, সমালোচনা যেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণির কাজ সেহেতু নিজে সমালোচনাধর্মী রচনা লিখবেন না, কিন্তু তিনি যে প্রথম শ্রেণির লেখক তা বোঝার জন্য আবার ডাকসাইটে সমালোচকের বিচার প্রত্যাশী। কোনো কোনো লেখকের ক্ষেত্রে দেখেছি ‘সৃষ্টিশীল’ ও ‘সমালোচনামূলক’ উভয় ধরনের রচনা লেখেন; হয়তো সমালোচনায় তার পারঙ্গমতার তুলনীয় কম থাকায় সমালোচনামূলক লেখক বলে তাকে দ্বিতীয় সারির লেখক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাহিত্যে আবদুল মান্নান সৈয়দও সমালোচক-প্রাবন্ধিক হিসেবে এমন সিদ্ধিধারী হবার অপরাধেই হয়তো ‘মৌলিক’ রচনাদি সাহিত্য সমাজে কিছুটা কম মূল্য পেয়েছে। অন্তত যাঁদের সঙ্গে আমার চলাফেরা তাদের বেশিরভাগকেই খানিকটা এই ধরনের মনোভঙ্গি পোষণ করতে দেখেছি! সেই প্রভাবেই ‘মৌলিক’ লেখালিখির প্রয়াসে প্রথম দিকে আমার অগ্রাধিকার ছিল। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে দ্বিতীয় শ্রেণির কাজের দিকেও আমার অন্তর্প্রকৃতি বেশি ঝুঁকে থাকতে চায়। ক্রমশ আমি এদিকেই এগোতে থাকি।
৪.
আমার মন সাহিত্যিকতা দিয়েই আর্দ্র বলেই হয়তো রাজনীতি দর্শন ইতিহাস কিংবা সমাজতত্ত্ব আমাকে প্রভাবিত করলেও তা আমার সাহিত্যিকতার সম্পূরক অস্তিত্বের বেশি হয়ে উঠতে পারে নি! তবে আমার মনে হয়েছে পূর্বোক্ত বিষয়গুলো সাহিত্যের সঙ্গে গভীরভাবে সমন্বিত হয়ে না উঠলে সাহিত্যিক সত্তা শক্তি পায় না। আমার প্রবন্ধ-সমালোচনাধর্মী রচনার হয়তো সীমাবদ্ধতা এই যে, এগুলো পূর্বোক্ত কোনো মাধ্যমকেই পুরোপুরি ধারণ করতে পারে না! ফলে আমার প্রাবন্ধিক গদ্য নিয়ে আমি নিজেও সংশয়ে থাকি। এই যে সমাজবিজ্ঞানীর অনুসন্ধিৎসাকে আমি সঙ্গে রাখি এটাও আমার অন্তর্প্রকৃতির প্রভাবেরই ব্যাপার। হাল আমলের বিক্ষিপ্ত পাঠে সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার আগ্রহ তীক্ষ্ণতর হয়েছে। ক্রিটিক্যাল থিওরি নিয়ে কিছু নাড়াচাড়া করলেও শেষ পর্যন্ত কাণ্ডজ্ঞানই আমার ভরসা। বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, প্রমথ চৌধুরী, অন্নদাশঙ্কর রায়, বুদ্ধদেব বসু, শিবনারায়ণ রায়, কাজী আবদুল ওদুদ, মোতাহের হোসেন চৌধুরী বা আবদুল হকের মতো পাণ্ডিত্যের তুলনায় অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কাণ্ডজ্ঞানেই আমার ভরসা। ঐ পথে এগিয়ে চলাকেই আমি আমার নিজের জন্য সংগত মনে করেছি।
৫.
স্বাধীনতার আগের ও পরের দুই দশক কাল পরিসরে আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবীদের মধ্যে বামপন্থার অনুসারীরাই ছিলেন সংখ্যায় বেশি। দৃশ্যত সাধারণ মানুষের জন্য তারাই বেশি মমতা বোধ করতেন এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণকামী ছিলেন তারাই বেশি।
আমাদের কৃষিপটভূমি প্রধান অর্থনীতিক ব্যবস্থার রাষ্ট্রে শিল্পপুঁজির তুলনায় বণিকপুঁজিতে উত্তরণ ঘটেছে অতি দ্রুত। ফলে সামন্ত মূল্যবোধ অতিক্রম করে বুর্জোয়া মূল্যবোধে উত্তরণ ঘটবার সুযোগ পায়নি। কারণ শিল্প পটভূমির মূল্যবোধের যথেষ্ট অনুশীলন ঘটবার আগেই দ্রুত বণিক পু্ঁজির বিকাশ ঘটেছে। শিল্পপুঁজির স্থিতিশীলতার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সম্পর্ক আছে। শিল্পপুঁজি গড়ে না ওঠায় বুর্জোয়া মূল্যবোধও দানা বেঁধে উঠতে পারেনি। স্থিতিশীল শিল্পপুঁজির পাশাপাশি বণিকপুঁজির প্রসার ঘটলেও শিল্পপু্ঁজিই নিয়ন্ত্রকের আসনে থাকে। ফলে বুর্জোয়া মূল্যবোধে বণিক পুঁজির ওপর শিল্পপুঁজিরই প্রাধান্য থেকে যায়। অন্য দিকে প্রযুক্তির নিত্যনতুন বিকাশে বণিকপুঁজি নানা রকম দাপট দেখালেও শিল্পপুঁজির মূল্যবোধ হারিয়ে যায় না। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে সেকারণেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনেক আঘাতপ্রাপ্ত হলেও জারি থেকে যায়। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের দ্রুত বিকাশমান বণিকপুঁজির সমান্তরালে প্রযুক্তির আকস্মিক ও দ্রুততর প্রসারে শিল্পপুঁজির মূল্যবোধ দাঁড়াতেই পারেনি। আমাদের কৃষিপটভূমির আধাসামন্ত বৌদ্ধিকতাও সমন্বিত হতে পারেনি এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যে স্বল্পসংখ্যক মানুষ এমনকি বৌদ্ধিকতায় এগিয়ে ছিলেন তারাও কাণ্ডজ্ঞানেই ভরসা করেছেন। প্রকৃত অর্থে প্রাতিষ্ঠানিকতার বিকাশ ও অনুশীলন যথার্থ না হওয়ার ফলে নানান পরিস্থিতির বাস্তবতায় আমাদের বৌদ্ধিকতা বার বারই মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রাচারের দিকে তাকালে এই প্রাতিষ্ঠানিকতার সংস্কৃতিহীনতাই মূলত দায়ী বলে মনে হয়।
৬.
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের অবকাঠামো সহ নানা ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই উন্নতি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দৃশ্যমান। এইসব উন্নতির সমন্তরালে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠানও। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আশাবাদী করে। বিশ ত্রিশ বছর আগেও যে পরিমাণ হতদরিদ্র মানুষ দেখা যেত তুলনায় তা অনেক কমেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিকতার অনুশীলনে অগ্রগতি কম থাকায়, রাজনৈতিক কূটকৌশলের চোরাবালিতে পড়ে আইনের অপপ্রয়োগের সংস্কৃতি গড়ে ওঠায়, যথার্থ প্রাতিষ্ঠানিকতার অভাবে ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারিতার অবকাশ ঘটায় সামগ্রিক রাষ্ট্রসংস্কৃতি জনপরিসরে স্বস্তি দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে বৌদ্ধিকতাকে কেবল হালনাগাদ ওয়াকিবহাল হলেই চলবে না, কাণ্ডজ্ঞানেও গভীরতা সম্পন্নও হতে হবে। কারণ একজন মানুষের অন্তর্দৃষ্টির সামর্থ্য শেষ পর্যন্ত কাণ্ডজ্ঞানের ওপরই নির্ভরশীল!
৭.
বর্তমান রচনার সূচনায় রবীন্দ্রনাথের কাণ্ডজ্ঞানের উল্লেখ ছিল। সেই সূত্রটি দিয়েই রচনার উপসংহার টানা যেতে পারে। স্মরণীয়, রবীন্দ্রনাথ তার কালের সবচেয়ে ওয়াকিবহাল মানুষদের একজন যেমন ছিলেন তেমনি ছিলেন অসাধারণ কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষও! সে কারণেই তার শিল্পকল্পনায় যেমন ছিল বাস্তবতার বোধ তেমনই সংকট-উপলব্ধির কাণ্ডজ্ঞান। তার মননশীল প্রবন্ধে তো বটেই, গল্প-উপন্যাসেও তার অন্তর্দৃষ্টির ভিত্তি ছিল জনমানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর কাণ্ডজ্ঞান! বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বৌদ্ধিকতা, আমার মনে হয়, সবচেয়ে সহজে প্রাপ্তব্য কাণ্ডজ্ঞান-সংকটেই ভুগছে। আমাদের সমাজেতিহাস বিবেচনায় রাষ্ট্রসংস্কৃতির যে সংকট বর্তমানে চলমান তা থেকে উত্তরণের ভিত্তি হতে হবে ইতিহাস ও বাস্তবতা ভিত্তিক কাণ্ডজ্ঞানের যথাপ্রয়োগ!
সারাবাংলা/এসবিডিই
ঈদুল ফিতর সংখ্যা ২০২৩ প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য সমাজতত্ত্ব ও কাণ্ডজ্ঞান সাহিত্য