দগ্ধা অথবা একটি না-গল্পের ছায়া
২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫২
সকালেই গা চুপচুপ করে ঘামছে।
শীতের পর পর এমন গরম আগে পড়েনি। রোদের চেহারার দিকে তাকানো আর উনানের গনগনে আগুনের দিকে তাকানো একই কথা। দিনের কর্মে বের হওয়া পথচারীরা ধীর, সুযোগ পেলেই গাছের ছায়ায় ক্লান্ত শরীর থামিয়ে যে-যার মতো হাঁফ ছেড়ে নিচ্ছে; বাতাসের গায়ে যেন কানাবুড়ির ছুইত্ লেগেছে।
গাছগাছালির পাতারা নিশ্চল। নিঃশব্দ। প্রণিকুলে হাঁসফাঁস। শিশুরা পুরোদমে উলঙ্গ।
ছেলেটা বাড়ি আসার কথা। মাস কয়েক আসি আসি করেও আসে না। এই সপ্তাহে না ওই সপ্তাহে, এই মাসে না ওই মাসে, বলে বলে. . .।
‘এত কাজের চাপ হইলে চলে!’ মা নাসরিন জাহান ভাবে গৃহব্যস্ততার ফাঁকে।
রবু বাড়িতে টাকা পাঠায় মূলত রকেটে, না হয় বিকাশে। ওর পুরো নাম মোহাম্মদ রবিউল হোসাইন। মা-খালারা ছোট বেলায় আদর করে ডাকত রবু, সেই থেকে কানে কানে ছড়িয়ে একসময় চল হয়ে গেছে নামটা। এখন রবিউল বললে আপন লোকেরাই থতমত খেয়ে ওঠে, চিনতে পারে না। আর মোহাম্মদ রবিউল বললে কেবল মাত্র চিনে তার প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, যিনি তাকে অতি আদরে কোলে পিঠে করে পড়াত। পড়াটা বেশিদূর আগায়নি। স্নেহটা সেরূপই আছে।
রবুর অসুস্থ বাপ নেয়ামত উল্লাহ্ টুকটুক করে গঞ্জে যায়। চোখে ছানি পড়া, হাঁটুতে বাতের ব্যথা, ক্ষয়রোগের প্রাদুর্ভাব। তবু টাকাটা তুলে আনে চাচাত ভাই-পো জমিরুলের দোকানের পাশের ফোনের দোকান থেকে। পা চলে না, দ্ব›দ্ব লাগে সবকিছু, নুয়ে আসা শরীরও কাঁপে বয়স আর অসুখের শাসনে। জমিরুলকে বললেই হয়, বাকি কাজটা সে সেরে দেয় নিজের মনে করে। চাচা তো বাপের মতোই। তার উপর গোষ্ঠীর মুরুব্বি, তার উপর বন্ধুর বাপ। রবুর অনুপস্থিতিতে জমিরুলই পারতপক্ষের অনেক কাজ করে দেয় নির্দ্বিধায়।
রবুই নিষেধ করেছে এবার-
‘কষ্ট কইরা এই গরমে অত দূরে যাওনের দারকার নাই। পথ-ঘাটের যে অবস্থা! নতুন রাস্তা, অটোরিক্সার দাপট, অদক্ষ আর কম চেংরা বয়সী ড্রাইভারদের উগ্র মেজাজ, কখন কি অয় কওন যায় না. . .আমিই বাড়িতে আসতাছি। দেখা অয়-না অনেক দিন, গরমে গতর পোড়ে, লগে লগে মনটাও পুড়তাছে ক্যান জানি। খরচটাও দিলাম, দেখাও অইল। আর কয়েকটা দিন পর থিকা তো শ্বাস ফেলার সময় থাকব না, ঈদে বেচা-কেনা বাড়ে মা, এই সময়ই কয়েকটা টেকা বেশি কামাই করার সুযোগ আহে, সারাবছর তো আর তেমন অয়-না, তার উপর কয়টা বছর গেল কী এক করুনার দাপটে।’
রবু অনেকবার চেষ্টা করেছে রোগটাকে ‘করোনা’ বলতে, পারে নাই, এখনও পারে না। তার আল-জিহ্বার কাছে এসে আটকে যায়। করোনা হয়ে যায় করুনা। সবাই হাসে, রবুও হাসে-
‘যে যা-ই কও, আমি করুনা’ই কমু, তোমরা বুইঝা লাইয়ো।’ বলে উড়িয়ে দেয়।
দিন-তিনেক আগে নাসরিন জাহানের সঙ্গে মোবাইলে ওই কথার পর বাড়িতে আর কোনো কথা হয়নি রবুর।
নিচু ঘরের চালের মাচায় লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা লাউয়ের কচি পাতা, ডোবার পাড়ে যত্নহীন জন্মানো কচুর লতি, ক্ষেতের মিষ্টি কুমড়া তুলে এনে কয়েক জাতের মশলা মাখিয়ে তার মধ্যে কাঁচা তিল পুরে এক জাতের শাকের বড়া বানিয়েছে রবুর মা। বড়াটা একমাত্র ছেলের খুব পছন্দ। তেলে ভেঁজে দিলে কথা নেই, একসঙ্গে দশ পনেরাটা শেষ করে দেয় পটাপট। অভাবের সংসার- টানাহ্যাঁচরায় দিন যায়। একদিনের সঙ্গে আরেকদিনের তফাৎ আঁকা যায় না। সেভাবে শুরু সেভাবেই শেষ। ঝড়ে, বন্যায়, খরার অনেককিছুই বদলায়, বদলায় না পাতে আহারের ধরন। বাজার, ওষুধপত্র- নুন আনতে পানতা ফুরায় তবু খাটের কোণে প্লাস্টিকের ব্যাংকে জমানো অল্প কয়েকটি টাকা খুলে রবুর জন্য একটা দেশি হাঁসের বাচ্চা কিনে পেঁয়াজ-ভূনা করেছে। সঙ্গে আলু সেদ্ধ গলিয়ে কই মাছের ঝোল। দুই মেয়ে, তিন ছেলে জন্মেই মরে যাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া রবু যখন মাত্র আট কি সাড়ে আট বছরের তখন একবার রবুর সে-কী জ্বর উঠল! দশ দিন যায়, বারো দিন যায়, তেরো দিন যায় কোনো নড়া নেই, চড়া নেই। খায় না, কথা কয় না। চোখ বন্ধ করে থাকে। পিঠের সঙ্গে লাগা পেটটা সামান্য উঠে, নামে। ডাক্তার, কবিরাজ, ঝাড়-ফুঁক কিছু বাকি রইল না। পুরো গাঁয়ের সবার মুখে ভারী মেঘের ছায়া, শঙ্কা। সবাই ভাবে, এই বুঝি বিদায়।
নাসরিন জাহান রাত-দিন দুই হাত আকাশের দিকে উঁচিয়ে ফরিয়াদ করে, বুক চাপড়িয়ে কাঁদে আর স্মরণ করে নাড় না ছিঁড়তেই গত হওয়া আগের পাঁচ সন্তানের মুখ। রবু চোখ খুলল সতেরো দিন পর। নড়েই বল-
‘মায় গো, আমি হাঁসের গোস্ত দিয়া ভাত খামু। আলুর ঝোলও।’
নাসরিন জাহানের মনে পড়ে। গাল গড়িয়ে কয়েক ফোঁটা পানি টুপটুপ করে পড়ে কাপড়ে। আঁচলটা টেনে চোখসহ গালটা মুছে নেয় সে।
‘পাগল পোলা।’
বলেই পুরনো বাটনওয়ালা মোবাইলটার দিকে তাকায় দুই-তিনবার। একটা উদ্বেগ কাজ করে তার বুক ছাতির নিচে।
‘গাড়িতে উইঠাই তো ফোন দেওনের কথা পোলাডার, কী হইলো, ফোন দেয় না ক্যা!’
কথাটা কয়েকবার ঘোরে ক্ষণিক ভাবনার ভিতরে। আবার মৃদু খুশির একটা স্রোত এলোমেলো দৌড়ায় সে ভাবনার পাশ দিয়ে।
‘রবু এইবার বাড়িতে আইলে পুব-পাড়ার নওয়াল মিয়ার ছোডো মাইয়্যাডা তার কেমন লাগে জিগামু। বড় চঞ্চল, চড়–ই পাখির মতো ছটফট করে, পরীর লাহান সুন্দর, টিংটিঙ্গা; এপাড়া আইলেই ফুফু ফুফু কইরা জীবন দেয়। ভালোই লাগে। রবুর পছন্দ অইলে দেরি করমু না, তার বাপও পোলার জন্য পছন্দ করছে তারে। নওয়াল মিয়ার লগে কথাও হইছে হালকা। তার চাওন পাওনের কিছু নাই। আমগোও চাওন পাওনের কিছু নাই। কী চাওন যায়! গরিবে গরিবে কার কাছে কী চাইব। আর দিবই কইত থিকা। আরমাই কি পারমু মাইয়্যাডার গলায় একটা সোনার চেইন জুড়াইতে। রবু কি পারব?’
কদম বিশেক দূরে উঠানের আরেক প্রান্তের ঘর থেকে গলা উঁচু করে ডাক দেয় অন্য ঘরের জা- মদিনা-
‘বুজি দেইখা যাইয়ো কে আইছে. . .।’
খেয়াল ভাঙে তার। ‘কী ভাবতাছি!’ আপনা আপনি হেসে উঠে পা বাড়ায় মদিনার ঘরের দিকে।
বেলা ঢালুতে হেলে পড়েছে। বিকাল চারটা বাজে। মজিদ গাজীর ফোনে সাতটা কল।
সে দিশেহারা, তার হুশ নেই। সকাল সাড়ে ছয়টায় বাশিরুলের কল পেয়ে প্রথম জানতে পারে- তার দোকান মার্কেটে আগুন লেগেছে। আগুন! যখন উদ্ভ্রান্ত মজিদ গাজী মার্কেটের সামনে এসে দড়াম করে পড়ে তখন দেখে, নরকের লেলিহান শিখা ততক্ষনে মার্কেটের প্রায় চার হাজার দোকানের সঙ্গে তার চারটা চার পদের দোকানও তিমি মাছের মতো গিলে ফেলেছে সেই আগুন। চারপাশে ধোঁয়ার কুন্ডলী, কোনোদিকে যাওয়া যায় না। ধোঁয়া আর ধোঁয়া। দাউদাউ জ্বলছে শেষ আক্রোশে। মানুষে মানুষ। আহাজারি। পাগলপ্রায় অন্য দোকান-মালিকরাও। মজিদ গাজী মূর্ছা যায় বারবার।
দমকলের পানি মাতাল আগুনের কাছে কিছুই না। পড়ার আগেই শুকিয়ে যায়। বাতাসে, তাপেই শুঁষে নেয় সবটা। কুল-কিণার দেখে না কেউ। বেলা গড়ায়। মজিদ গাজী সামান্য স্থির হলে পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখে রবুর মায়ের নম্বর। রবুর মা! ভাবে রবুর ফোন। ফোনটা পকেটে ঢুকায়। আবার কল ঢোকে। রিসিভ করতেই শোনে-
‘রবুরে কি ছুটি দেন নাই ভাইসাব? রবুর-না দুপুরের মইধ্যে বাড়ি আইসার কথা, ওর ফোন বন্ধ ক্যান? বাড়ির ফরিদ মাস্টার কইল, আফনেগো মার্কেটে নাহি আগুন লাগছে! টিভিতেও দেহাইতাছে। রবু কই ভাইসাব? হেরে দেন।’
মুহূর্তে আকাশে চকমে ওঠে হাজার বিজলী, হাত থেকে ছিটকে পড়ে মজিদ গাজীর অ্যানড্রোয়েড ফোনটা। মজিদ গাজীর মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে!
‘ভাইসাব রবুরে দেন।’ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে মধ্যবয়স পেরোনো রবুর মায়ের আকুতি ভরা কম্পিত, আতঙ্কিত স্বর। মজিদ গজীর মাথা চক্কর দিতে থাকে। তার মনে পড়ে তাজরিন ফ্যাশন লিমিটেডের কথা, টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার কথা, ১১৭ আর ৪১টি নিথর দেহের কথা; চুড়িহাট্টার কথা, নিমতলীর কথা, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আরও আরও কথা। তবু ভেসে আসতে থাকে নাসরিন জাহানের একই কণ্ঠস্বর। মজিদ গজীর সামনের, পেছনের সবকিছু একযোগে ঘোরে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আবার ভেসে আসে বহুরূপী শহর থেকে শতো মাইল দূরের সরল এক নারী, এক সন্তানের জননী নাসরিন জাহানের কাঁপা স্বর। আসতেই থাকে। আসতেই থাকে। ছাই হতে থাকা মার্কেটের সবদিকে ভিড় করা লাখো মানুষের মাথার উপর দিয়ে, হানিফ ফ্লাইওভার, টেলিফোন ভবন, পুলিশ ভবন, রেলওয়ের পুরনো দালান, স্টেডিয়াম, বঙ্গভবন তারও উপর দিয়ে বাসা ভাঙা পাখির মতো বিস্তৃত কালো ধোঁয়া উড়তে থাকে, উড়তে থাকে রবুর মায়ের স্বরটা-
‘রবু কই ভাইসাব?’
মজিদ গাজী জানে না, সে কী উত্তর দেবে এখন।
‘কাকা, সকালে একটু মার কাছে জামু, বাজানের শরীরডাও নাকি খারাপ। চোখে নাকি আগের চেয়ে আরও কম দেহে। ওষুদ লাগব। খোরাকির টেকাডাও দিয়ামু, দেইখাও আমু। চাবিটা রাইখা যায়েন আজকে, দিনের রিপুর কামগুলা রাইত জাইগা সাইরা দোকানেই ঘুমামু। সয়-সকাল উইঠা রওয়ানা দিতে পারমু। তাইলে কাজের হেম্পার হইব না আরকি।’
মজিদ গাজী গত রাতের এই কথার চয়ে বেশি কিছু আর মনে করতে পারে না। ঝিম ধরা আকাশটা আবার পাক খায়। আবার পাক খায়। বুকটা মোচড় দেয়। শরীরটা শূন্য হয়ে আসে। মজিদ গাজীর বুঝতে বাকি থাকে না। মজিদ গাজী চিৎকার দিয়ে ছোটে তার ওই দোকান বরাবর পোড়া ছাই আর কয়লার দিকে। কয়েকজন ধুপ করে ধরে ফেলে, তাকে আটকায়। পারে না। পারে। মজিদ গাজী দশ আঙুলে ‘রবু, রবুরে…।’ কান্নায় আচড়াতে থাকে বুকের চামড়া। তখনও ধোঁয়া উঠছে পোড়া স্তূতের কয়লায়, ছাইয়ে, কাদা মাটিতে।
বাশিরুল জানতে চায় রবুর কথা। মজিদ গাজীর কণ্ঠ দিয়ে কোনো কথা বের হয় না। ভাঙা কণ্ঠ থেকে ফ্যাসফেস করা কিছু শব্দ শোনা যায়-
‘রবু তো বাড়ি যায় নাইরে বাশিরুল, রবু তো বাড়ি যায় নাই; রাইতে দোকানেই ঘুমাইছিল…।’
মজিদ গাজীর মনে পড়ে-না তার রক্ত পানি করা চারটি দোকানের কথা, লাখ লাখ টাকা ঋণের কথা, কিস্তির কথা, নতুন তোলা কাপড়ের গাইডের কথা, সুতার ববিনের কথা, রিপু-মেশিনের কথা, ঠকঠক ঠকঠক শব্দে চলতে থাকা মেশিনের চাকার কথা, ফিতার কথা, রুলের কথা; অনবরত কান্নায় ফুলে ডোল হয়ে ওঠা চোখের আসমানে কেবল ভাসতে থাকে তেরো বছর ধরে পিতার দোকানের চেয়েও অধিক যত্নে তার দোকানগুলোতে লেগে থাকা, তার রক্তের দুই সন্তানের চেয়েও বিশ্বস্ত কর্মচারী রবুর মুখটা। কয়েকজন দৌড়ে যায় উদ্ধার কর্মীর কাছে, কয়েকজন ফায়ারব্রিগেডের সৈনিকের কাছে, তথ্যকেন্দ্রের কাছে, এদিকে-ওদিকে,
‘ভাই, কোনো লাশের সন্ধান আছে? আমগো রবুর. . .?’ আগুনে সবাই পানি ঢালে, সবাই ভেজা, সবাই আতঙ্কে বোবা। একজন অফিসার জানায়-
‘কোনো লাশের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
. . .শুধু কাঠ, শুধু অঙ্গার, শুধু কয়লা। মানুষে মানুষ; লাইভ, ক্যামেরা, নিউজ।
নড়বড়ে ঘরটার পেছনে একটা শতবর্ষী তেঁতুল গাছ। গভীরে শেকড় প্রোথিত করে ডালপালা ছড়িয়ে বিশাল। তার পাশ ঘেঁষে সদর-সড়কের দিকে চলে গেছে বাড়ি থেকে নামা আধাপাকা একটা অপ্রশস্ত রাস্তা। প্রতিদিন হাজার মানুষ এ পথ ধরে আসে, যায়। কেউ গীত গায়, কেউ ছড়া পড়ে, কেউ রহিম-রুব্বান পালার ¯েøাকে গলা উজায়, কেউ হালের কোনো সিনেমার বা কোনো খেলার গল্প করতে করতে নিজেদের পথে চলতে থাকে পায়ের তলায় ধুলিকণা ফেলে। কেউ সংসারের আলাপ করে, কেউ সঙের। পথ জানে-না কে কোন স্মৃতি ফেলে সমনের দিকে যাচ্ছে, কে কোন স্মৃতির কামরে কাতর। এও জানে না, কে কোন দুঃখ-ব্যথা বহন করে হাসি হাসি ছুটছে- ছুটতে হবে বলে। নাকি পথ জানে সবকিছু?
গাছটির নিচে নাসরিন জাহান দাঁড়িয়ে, অপলক; অপেক্ষায়। হাঁসের মাংসের সঙ্গে সেদ্ধ আলুর ঝোল আর লাউ পাতার ভেতর তিলে মোড়ানো ভাজা-বড়া হা করা হাড়িতে উদাম। রোজই ঘর থেকে প্রায়-অন্ধ, অচল নেয়ামত উল্লাহ্ ডাক দেয়, ‘রবু আইছে. . .রবু? রবু কবে আইব রবুর মা?’
হাওয়া বয়। ঘূর্ণিধুলা ওঠে। পথের মানুষগুলো যে যার গন্তব্যের দিকে ছুটতে থাকে আরও জোরে।
লেখক: সহকারী বার্তা প্রয়োজক, বার্তা বিভাগ, এনটিভি
সারাবাংলা/এজেডএস