আয়নার সামনে ও পেছনে
৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৯
তানিয়ার সন্দেহটা এখন আর দ্বিধার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যেকোনোভাবেই হোক সে বুঝে ফেলেছে, তার কপাল পুড়তে চলেছে। মুরাদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা দিন দিন শিথিলতার দিকেই যাচ্ছে। এমনকি এখন আর তারা এক বিছানায় ঘুমায়ও না। সম্পর্ক যেটুকু আছে তা ওই দৈনন্দিন বাজার-সদাই আর ছেলের লেখাপড়ার খোঁজখবরের মধ্যেই ঘুরপাক খায়।
মুরাদ আজকাল ঘরে ফেরে মাঝরাতে। ছেলে ততক্ষণে হোমওয়ার্ক শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে ওঠেও দেরিতে। ছেলে ততক্ষণে স্কুলে চলে যায়। কাজেই দূরত্ব শুধু স্ত্রীর সঙ্গেই না, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছেলের সঙ্গেও। তাতেও তানিয়ার সমস্যা ছিল না। কিন্তু তানিয়া ছেলেকে নিয়ে আলাদা ঘরে ঘুমাতে শুরু করার পর থেকে মুরাদের রাতে যে মোবাইল ফোন নিয়ে থাকার রোগ হয়েছে, এটা সে বুঝেছে অনেক পরে।
আগে মাঝে মাঝে ছেলে ঘুমিয়ে পড়ার পর সে স্বামীর কাছে যেত। তখন প্রায়ই দেখত মুরাদ কার সঙ্গে যেন মৃদুকণ্ঠে কথা বলছে। তানিয়াকে আসতে দেখে তাড়াতাড়ি কথা শেষ করে ফোন রেখে দিত। তখনো তানিয়া বুঝতে পারেনি ফোনালাপটা গোপনীয়। ভেবেছে হয়তো কাজের ফোন। ব্যবসায়ী মানুষ। কত কথা থাকে কতজনের সঙ্গে। তবে সম্পর্কের ফাঁকগুলো বোঝা যেত বিছানায়। বাণী, বাদ্য, তাল, লয় সবই আছে। তবু সুরটা যেন ঠিক বাজত না। চেষ্টা দুজনেই করেছে। তবু ফাকঁটা যেন রয়েই গেছে। ফলে দূরত্ব বেড়েছে ক্রমশ। এখন অনেকটাই চুকেবুকে গেছে বিছানার সম্পর্ক। তবু সন্তানের মা-বাবা হিসেবে এক বাসাতেই বাস করছে তারা।
আপনি কি তানিয়া?
চমকে ওঠে তানিয়া। সামনে এক তরুণী দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে। মেয়েটির নাম মুনা শারমিন। তানিয়া এতক্ষণ ওর জন্যেই অপেক্ষা করছিল। অপেক্ষা করতে করতেই স্মৃতি রোমন্থন। পেছনের দিনগুলিতে বিচরণ শেষে বর্তমানে ফিরতে তার একটু সময় লাগে। তবু যতটা সম্ভব নিজেকে সামলে নিয়ে স্বাভাবিক গলায় বলতে চেষ্টা করলেন, জ্বি!
আমি কি বসতে পারি?
নিশ্চয়ই! আমি তো আপনাকে নিমন্ত্রণ করে এনেছি। বসবেন তো অবশ্যই। বলতে বলতেই তানিয়া লক্ষ করে, মেয়েটির মধ্যে কোনো জড়তা নেই। হালকা-পাতলা ছিপছিপে গড়ন। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা। উচ্চতা মাঝারি। ছোট চুল, ঘাড় পর্যন্ত ছাঁটা। পোশাকও সাদামাটা। জিন্সের প্যান্টের সঙ্গে সাদা রঙের একটা টপ পরেছে। গলায় ঝুলছে পাতলা সিল্কের একটা স্কার্ফ। সাজে প্রসাধনীর ব্যবহারও খুব একটা চোখে পড়ছে না। এমনকি লিপস্টিকও না। তবে কপালে বড় একটা টিপ। আর সেটাই যেন সূর্যের মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। মেয়েটিকে খুব সুন্দরী বলা যাবে না। তবে চেহারায় কী যেন একটা আছে। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। এর কারণ বোধহয় ওর চোখ দুটি— যেন মায়ায় জড়ানো।
আমি কি আপনাকে চিনি?
আগন্তুকের প্রশ্নে আবারও চমকে ওঠে তানিয়া। স্মিত হেসে বলে, আমাকে বোধহয় আপনি চেনেন না। তবে আমি আপনাকে চিনি। আপনি সেলিব্রেটি সাংবাদিক। আপনার অনেক লেখা আমি পড়েছি। টিভিতে সাক্ষাৎকারও দেখেছি।
সে সব বলার জন্য তো আপনি আমাকে ডাকেননি! যা বলতে ডেকেছেন তাই বলুন না তাড়াতাড়ি। আমার একটা কাজ আছে।
ওহ স্যরি! আমি ঠিক বুঝতে পারিনি আপনি ব্যস্ত। আজ আপনার ছুটি বলেছিলেন। তাই দেখা করতে বলেছিলাম।
হ্যাঁম আজ আমার ডে-অফ। তবু কিছু কাজ তো থাকেই।
সে ঠিক আছে। তবু আমার ডাকে যেহেতু এসেছেন তাহলে আমার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।
কিন্তু কী দরকারে ডেকেছেন, তা তো বলছেন না?
বলব নিশ্চয়ই! তার আগে কী খাবেন, বলুন। ওদের চাওমিনটা ভালো।
অল্প কিছুক্ষণ আগেই তো লাঞ্চ করেছি। তবু আপনি যেহেতু বলছেন… সঙ্গে কোল্ড ড্রিংকস।
তানিয়া ওয়েটারকে ডেকে অর্ডার করে দিলো।
ওরা বসেছে ধানমন্ডির শংকরের একটা রেস্তোরাঁয়। এদিকেই একটা স্কুলে শুক্রবারে ছেলে ড্রয়িং ক্লাস করে। ওকে ক্লাসে ঢুকিয়ে দিয়ে তানিয়া অপেক্ষা করে। ছুটি হওয়ার আগ পর্যন্ত স্কুলেই বসে থাকে। কিন্তু আজ মুনাকে ইনভাইট করেছিল বলে রেস্তোরাঁয় বসেছে। এবার সে সরাসরি মুনার দিকে তাকিয়ে জানতে চায়, আপনি তো মুরাদকে চেনেন? আমি ওর ওয়াইফ।
ওহ তাই। নির্বিকার গলায় বলে মুনা। তারপর কী জানতে চান, বলুন। আপনার এক্স স্বামীর সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক?
এক্স বলছেন কেন? আমরা এখনো এক বাসাতেই থাকি। আমাদের ডিভোর্সও হয়নি। আমাদের একটা সন্তানও আছে।
হ্যাঁ, জানি তো। একটা কথা বলি, ওর সন্তান থাকায় আমার কোনো আপত্তি নাই। আপনারা যে এখনো এক বাসায় আছেন, ইনফ্যাক্ট এটা নিয়েও আমার তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমি মুরাদকে ভালোবাসি, সেও আমাকে ভালোবাসে। অতীতের কথাই সে আমাকে বলেছে। দেখুন, দুজন মানুষ নানা কারণেই এক সঙ্গে না-ই থাকতে পারে। এক সঙ্গে থাকার জন্য দুটো শরীরের চেয়েও বেশি জরুরি মনের মিল থাকা। সেটা না হলে আমার মনে হয় জোর করে এক সঙ্গে না থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া দুজনের জন্যই ভালো।
সে ঠিক আছে। কিন্তু মনের মিলটা কি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়?
তা কেন! ধরুন শুরুতে বুঝতেই পারেনি। অনেকটা সময় এক সঙ্গে থাকার পর অমিলগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠল। একজনের রুচির সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই, মিল নেই আচার-আচরণে, কথায়-কাজে, বিশ্বাসে। সে ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ কি খুব বেশি যৌক্তিক?
আমি ঠিক তা বলছি না। আসলে সংসার ব্যাপারটা একদমই আলাদা। তুমি তো এখনো সংসারে জড়াওনি, তাই ঠিক বুঝবে না! সরি, কিছু মনে কোরো না, তোমাকে তুমি করে বললাম। আসলে তুমি তো বয়সে বেশ ছোট, তাই তুমিটা চলে এলো।
তাতে কোনো সমস্যা নেই! আমিও তুমি সম্বোধনেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু আপনি যে বলছিলেন আমার সাংসারিক অভিজ্ঞতা নেই, এটা কি পুরোপুরি ঠিক? বিয়ের আগে যে ছেলেমেয়েরা বাবার সংসারে থাকে, সেটাও তো সংসার! সেখানে থেকে কি কোনো অভিজ্ঞতা হয় না বলছেন?
অবশ্যই সেটাও একটা অভিজ্ঞতা। তবে আমি বলছিলাম নিজের সংসারের কথা। নারী-পুরুষ এক সঙ্গে হয়ে যে আলাদা সংসার করে, আমি তার কথা বলছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাটা কিন্তু একদমই অন্যরকম। সেখানে সংসার, স্ত্রী-সন্তান ইত্যাদির দায়িত্ব অনেক বেশি না? একজন বিবাহিত মানুষের সংসারে ঢুকে পড়াটা তোমার মনে হয় না অন্যায়?
আপনি যেটাকে ঢুকে পড়া বলছেন আমি সেটাকে বের হয়ে আসা হিসেবেও নিতে পারি। আসলে আমার ন্যায়-অন্যায়ের বোধটা একটু আলাদা। সবার সঙ্গে ঠিক মেলে না। কোনো মানুষই কোনো মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। মুরাদ আমাকে ভালোবাসে। আর খুব শিগগির আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি। তবে তার আগে সে অবশ্যই আপনার সঙ্গে তার সব সম্পর্ক চুকিয়ে নেবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আপনার সঙ্গে কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না। ইনফ্যাক্ট ও আমাকে বলেছে, আমাদের বিয়ের পরও সে আপনাদের ছেলের সব দায়িত্ব পালন করবে। আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই।
আমি সে কথা বলছি না। আমি ভাবছি তোমাকে নিয়ে।
আমাকে নিয়ে! আমাকে নিয়ে কী ভাবছেন? আর আমাকে নিয়ে আপনার ভাবতে হবে কেন? আমি একজন অ্যাডাল্ট। আমার ভালো-মন্দ আমি ভালোভাবেই বুঝি।
কখনো কখনো ভাবতে হয়। কেউ দায়িত্ব দেয় না। কিছু দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিজে তুলে নিতে হয়, বিশেষ করে যখন আমি দেখতে পাচ্ছি কেউ ভুল করছে!
কী ভুল করছি আমি! আপনি কি খুব সচেতনভাবে আমার আর মুরাদের সম্পর্কের ফাটল ধরাতে চাইছেন? দেখুন, ও কিন্তু আমার কাছে কিছু লুকায়নি। প্রথম থেকেই আমি আপনার এবং আপনাদের সন্তানের কথা জানি। আমার কোনো সমস্যা নেই। আমরা শিগগিরই বিয়ে করছি!
বিয়ের জন্য আরও একটু সময় নিলে হয় না?
কেন বলুন তো? আপনি ঠিক কী বলতে চাচ্ছেন?
আমি বলতে চাচ্ছি, তুমি কি নিশ্চিত যে ও তোমাকে ভালবাসে?
নিশ্চয়ই! আপনার কি সন্দেহ আছে?
আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে তোমার কাছে একটা রিকোয়েস্ট আছে। তুমি রাখবে?
কথা দিতে পারছি না। আপনি আগে বলুন, শুনি।
আমি তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই!
কোথায়? কেন?
সেটা এখন বলব না। তুমি গেলে দেখতে পারবে। তবে ভয় নেই। আমি এমন কোথাও তোমাকে নিয়ে যাব না, যেখানে গেলে তোমার কোনো ক্ষতি হতে পারে।
আমার ক্ষতি নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। সে আমি বুঝে নেব। দেখুন আমি পেশায় একজন সংবাদকর্মী। স্বভাবতই আমি কৌতূহলী। আর ঝুঁকি নিতেও অভ্যস্ত। এনিওয়ে, আমাকে উঠতে হবে। কাজ আছে।
ঠিক আছে! তুমি যে এসেছিলে, আমি এতেই খুশি। তবে তোমাকে আর একবার ডাকব। সম্ভব হলে এসো!
ওকে! বলে তানিয়ার দিকে আর একবার তাকায় মুনা। আপাত দৃষ্টিতে মহিলা খুব সাধারণ। কিন্তু ব্যক্তিত্বটা প্রখর বলেই মনে হলো।
…
আজকের দিনটাই যেন একটু অন্য রকম। একটা বড় ইভেন্ট ছিল। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রথম দফায় ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা দেশে ফিরতে আপত্তি করেছে। উপরন্ত তারা তাদের তিন দফা দাবি জানিয়েছে। অফিসে এটা নিয়ে হই চই। কেউ বা রাগ ঝাড়ছে, কেউ বলছে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দিতে। কেউ আবার মানবিক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। মুনারও একটা স্টোরি আছে। সেও যথেষ্ট ব্যস্ত। নিউজ ট্রিটমেন্টটা দেখে যাওয়ার ইচ্ছে তার। ঠিক সেই সময়ে সেলফোনটা বেজে উঠল। মুনা স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখল আননোন নম্বর। ফোনটা রাখতে গিয়ে হঠাৎ নম্বরটা চেনা মনে হলো। হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো চেনা কণ্ঠস্বর, আমি তানিয়া। চিনতে পারছ?
জ্বি! কী ব্যাপার, বলুন?
তোমাকে বলেছিলাম একটা জায়গায় নিয়ে যাব। আজ সেই দিন। যাবে?
এখন? কিন্তু আমার যে একটু ঝামেলা আছে। ঠিক আছে, কোথায় আসতে হবে বলুন।
মোহাম্মদপুর। সময় কিন্তু খুব বেশি হাতে নেই।
কীসের সময়?
সেটা তো এলে তবেই বুঝতে পারবে। তোমার আসতে কতক্ষণ লাগতে পারে?
আমার তো স্কুটি আছে। খুব বেশি সময় লাগবে না। আপনি ঠিকানাটা টেক্সট করে দিন। আমি বিশ মিনিটের মধ্যেই চলে আসতে পারব।
ঠিক আছে। আমি ওখানেই থাকব।
তানিয়া একটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। মুনা এলে দানোয়ানের সঙ্গে কথা বলে মুনাকে বলল, চলো!
সিঁড়ি দিয়ে তিন তলায় উঠে একটা ফ্ল্যাটের ডোর বেলের সুইচ টিপল তানিয়া। মুনা তখনো জানে না, কেন সে এই বাসায় এসেছে। এটা কারই বা বাসা।
তানিয়া মুনার মনের কথা বোধ হয় আন্দাজ করতে পারল। বলল, এটা আমাদের এক আত্মীয়র বাসা। সম্পর্কে আমার দূর সম্পর্কের ননদ। ওর স্বামী নেই। ডিভোর্সি। একটা বাচ্চা আছে দশ-এগারো বছর বয়স। গ্রামে নানির কাছে থাকে। ননদ চাকরি করে তো, বাচ্চা তাই ময়ের কাছে রাখে। কথা শেষ না হতেই এক মহিলা দরজা খুলল। মাঝবয়সী বেশ সুন্দরী মহিলা। পরনে একদম ঘরের পোশাক। মনে হচ্ছে যেন এই মাত্র শোয়া থেকে উঠে এসেছেন।
তানিয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন, ভাবি আপনি!
তানিয়া জবাব দিলো, হুম! ভেতরে আসতে বলবে না!
বলতে বলতেই মুনার হাত ধরে নিয়ে একেবারে বেডরুমে চলে গেল। মুরাদ সেখানে বালিশে হেলান দিয়ে সিগারেট টানতে টানতে টিভির খবর দেখছিল। পরনে শুধু প্যান্ট। গায়ে শার্ট নেই। পায়ের শব্দ পেয়ে মুরাদ ঘাড় ঘুরিয়ে ভুত দেখার মতোই চমকে উঠল। চমকে উঠল মুনাও। কেউ কোনো কথা বলছে না। এখানে সবাই যেন শ্রোতা। বক্তা নেই কেউ।
এরপর তানিয়া ঠিক যেভাবে মুনার হাত ধরে নিয়ে এসেছিল সেভাবেই টেনে নিয়ে বেরিয়ে গেল। নিচে গিয়ে মুনার হাত ছেড়ে দিয়ে তানিয়া বলল, তুমি খুব শকড? আমি কিন্তু না! কারণ আমি আয়নার ও পাশটাও দেখেছি বহু আগেই!
মুনা তখনো পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে দেখে তানিয়া বলল, তুমি কি একা যেতে পারবে? নাকি আমি তোমার সঙ্গে যাব?
মুনা হেসে জবাব দিলো, না আপনাকে যেতে হবে না! আমাকে একাই চলতে হবে!
সারাবাংলা/টিআর/এসবিডিই