রাজকথা
৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৮
গাঢ়। কুয়াশা না ধোঁয়ার আড়াল বুঝে ওঠা দায়। রঙের সুনামী। জৌলুশে ঢাকা পরে পাপের ছায়া। শূন্য পাকস্থলী আলো চাপা পড়ে। সূর্যের অন্তিম শ্বাসে, নিদারুণ অনুগ্রহে বেঁচে থাকে মহীরুহ কবি। রাজা শুধু বলে আর বলে। কত কথা বলে।
সব কি মনে করা যায়?
আমি শুধু জানি আমাদের রাজা কৃষকের অশ্রু চেটে খায়।
পার্লারে ভিড় বাড়ে। রঙে ঢাকা কৃত্রিম নারী। পথেঘাটে। স্বল্প পোষাকে কোথায় সাহস থাকে কে জানে! মনের কাহিনি করুণ। শরীরই সশব্দে বাজে ক্ষণকাল। প্রাণ নেই আগুনের বেগে শুধু ছোটা আর ছোটা। যন্ত্র যন্ত্র যন্ত্রের দাবানল! বন্ধু নেই। বন্ধন ছেঁড়া।
মিশে গেছে ন্যায়-অন্যায়
আমাদের রাজা শ্রমিকের রক্ত বেঁচে দেয়।
অন্ধকার। থুড়ি। এত আলো চোখ ঝলসে যায়। গান গায় বোবা পাখি। ছবি আঁকে অন্ধ। কেউ যেন বলে ওঠে ‘ইউ আর জাস্ট আ নাম্বার’…
বিজ্ঞাপনে ক্রমশ বাড়ছে ব্যয়
আমাদের রাজা ছাত্রের শিক্ষা কেড়ে নেয়।
বেকারের চোখ উপচে পড়ে। পড়া লেখা আবছায়া। শুনশান মরুভূমি যেন। ঘুম নেই। নির্জন তীব্র কোলাহলে। যোগ্যতা অকেজো।
এক হাওয়া সব কেড়ে নেয়।
আমাদের রাজা লাখে লাখে চাকরি বেঁচে দেয়।
প্রশ্ন করা পাপ। চুপ। সত্যের দিকে উর্দি লেলিয়ে ক্ষমতার গান জোরে জোরে বাজে। ঠাণ্ডা ঘরে অঙ্কের হিসেবে সবই সংখ্যামাত্র।
তবু আজান আর স্তোত্র লড়াই করে যায়।
আমাদের রাজা নির্বিঘ্নে প্রকৃতির কলিজা ছিঁড়ে খায়।
সারাবাংলা/এসবিডিই