মরীচিকামায়ার খোঁজে
১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৮
পথজুড়ে দেখা হয় বিভেদের মৌনতর দেওয়ালবিশেষে, পুরনো চুনকাম সর্বস্ব দাঁত-নখসহ প্রবল প্রকাশে।
চুপচাপ, ফিসফাস, টু শব্দ নেই—কিছু গন্ধ ভেসে আসে ভেজাবাতাসে। উঠে আসে বুদ্বুদ, নেশাগ্রস্তের মতো আত্মক্ষয়ের গভীর তন্দ্রায়। পথের পাশে কিছু নষ্টকামী কিছু ষড়যন্ত্রপ্রিয় জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকে। প্রয়োজন মনে হলে চোখের চশমা খুলে দেখে তারা, তাদের অনৈতিক আত্মবিশ্বাসে।
এই পথ রোজ রোজ হেঁটে যায় তাদের কাঁধে ভর করে। প্রশিক্ষিত অক্ষর দ্বারা নির্মিত বিভাগীয় চিঠিপত্রগুলো দ্রুত দৌড়াতে দেখি, দ্রুত দৌড়ায় সময়ের তীরের মতো।
অন্ধকার মুর্খের মতো অনৈতিক অহঙ্কারে বলে— বুঝি, সকল বুঝি; আমাদের নগরে গড়া কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভের রাজনীতিমুখর ছাত্ররা।
পথজুড়ে আছে জল— খানাখন্দের ভেতরে ভেতরে। দৈবাৎ নিশাচর সরীসৃপ আড়ভেঙে মাথা তুলে চায়। সাথে আছে ঘুঁটঘুটে অন্ধকার আর অবিরাম ঈষৎ তীব্রতর ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। বড় অসহায়বোধে আলো জ্বেলে বিহার করে পাশের ঝোপ থেকে দুই একটি জোনাকির দল।
বাড়ির নিকটে এলে— দেখা মেলে খাল-বিল-নদী। সমস্ত কৈশোরজুড়ে জলের মৌসুমী ধারা বয়ে যায়। ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় টুপটাপ নড়েচড়ে কথা বলে ওঠে সংলগ্ন কৃষকের আশাবাদী ধানক্ষেতগুলো।
আসছি আমিও বাড়ি, সাঁকোবিহীন নদী পার হব– খুব একা অন্ধকার জলে নেমে একটি সাঁতার– প্রস্তুতি আমার।
সারাবাংলা/এসবিডিই