আমি কি রকমভাবে বেঁচে আছি (নবম পর্ব)
১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৬
ব্ল্যাকমেইল
সম্মোহিত অবস্থায় বলা কথাগুলো, নিজের কণ্ঠস্বর, স্বীকারোক্তি যখন রেকর্ডকৃত অবস্থায় প্রথম শুনল তখন বিচিত্র একটা অনুভুতি হলো সামিউলের। একই সাথে নিজের অপরাধের কথা প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় এক্ষুণি থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করা, অথবা এইখান থেকে ছুটে পালিয়ে যাওয়া, আবার মনে হলো সবকিছু ভেঙেচুরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এদের এই শয়তানির প্রতিশোধ নেওয়া। এমনকি এও মনে হলো, একবার যখন খুনি হিসাবে সে আত্মপ্রকাশ পেয়েই গেছে তখন এই ঘাটের মড়া বৃদ্ধের মুখের উপর বালিশ চেপে ধরে এই ঝামেলা শেষ করা। একবারই যখন ফাঁসি হয়, তখন এক খুনের জন্য যে সাজা, একশ খুনের জন্যও সেই সাজা।
রেকর্ড শেষ হলে বৃদ্ধ শীর্ণ হাতে সামিউলের হাত চেপে ধরে বললেন, ‘আমাকে ভুল বুঝো না। তোমার ভেতর থেকে এই জিনিস বের হতে পারে তা আমি কখনও ধারণা করিনি। বলতে গেলে তুমি যখনই আমার কথামতো আমার বদলে আমার হয়ে কিছু কাজ করতে রাজি হওনি, তখনই হিপনোসিসের এই ব্যাপারটা মাথায় খেলে। ভেবেছিলাম হয়তো ছোটখাট কোন পাপ, অপরাধ নিদেনপক্ষে যৌনতা নিয়ে স্বীকারোক্তি পাব এবং সেই গুলো দেখিয়ে তোমাকে ভড়কে দিয়ে কাজ আদায় করে নেব। কিন্তু আপন মাকে খুনের মতো ঘটনার সাক্ষী হতে হবে তা কস্মিনকালেও ভাবিনি।’ বৃদ্ধ দম নিলেন, কিন্তু তার মুখটা প্রশান্তিতে ভরে আছে।
সামিউল কি বলবে বুঝতে পারছে না, সে যে অবচেতনেই নার্সের প্রেমে পড়েছে এই ব্যাপারটা প্রকাশ হওয়ায় তার নিজেরও ভাল লাগছে। এখন নার্সের যদি তার প্রতি ভাল লাগা থাকে তাহলে নার্সের ব্যাপারে ডিসিশান নিতে তার সুবিধে হবে। এবার এদিকে শেলীর ব্যাপারটাও সে হাতছাড়া করতে চায় না। বাদল ভাই শেলীকে তার উপর ঘটকালি করতে দেওয়ায় শেলীর উপরে আবার যেন আকর্ষণ বাড়তে শুরু হয়েছে। নাসিরুদ্দীন হোজ্জার ঘোড়া বিক্রির মতোই অবস্থা হয়েছে তার, নিজের বেতোেেঘাড়াই অন্যের প্রশংসায় মহামূল্যবান মনে হতে শুরু করেছে। এমনকি যে কহিনুরের কথা কেউ জানে না, তার ঘনিষ্ট বন্ধুরাও কেউ জানে না, শুধু অপ্রকৃতিস্ত মা জানতো, সেই কহিনুরের ব্যাপারটাও দিবালোকে প্রকাশ হয়ে গেলেও তার খুব একটা অসুবিধে নেই। যৌবন পরিণত বয়সে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ আপন সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে তা সমাজের চোখে অনৈতিক হলেও দন্ডনীয় অপরাধ নয়। স্বামী পরিত্যক্ত দেহাতী কহিনুর নিজে যখন কোন অভিযোগ না এনে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে তখন নারী নির্যাতন আইনে কোন মামলার ভয় তার নেই।
বৃদ্ধ তার হাত ধরে রেখেই বললেন, ‘ব্যাপারটা কি জানো, একবার মানুষের হাতে যখন কোন সুযোগ এসে যায়, তার তখন সেই সুযোগটা গ্রহণ করা উচিত। তাই সে মৃত্যুপথযাত্রী হলেও! না চাইতেই তোমাকে নিয়ে এতো বড়ো সুযোগ যখন এসে গেছে তখন সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত কি বলো?’
সামিউল ভেঙে পড়া গলায় বলল, ‘আপনি যেটা ভাল বোঝেন তাই করেন চাচা। অডিও রেকর্ডটা পুলিশের কাছে দিতে চান, দেন। আমাকে ধরিয়ে দিতে চান দেন। আমাকে ফাঁসিতে লটকাতে চান, দেন। মায়ের হত্যাকারী হিসাবে মিডিয়া চ্যানেলে নিউজ করতে চান করেন, কোন কিছুতেই আমি এখন আর কোন আপত্তি করব না।’ সামিউলের কণ্ঠস্বর কাদো কাদো হয়ে গেল। ‘সত্যি বলতে কি, এটাই আমার প্রাপ্য। পাপের বোঝা, অপরাধের বোঝা আমি আর বইতে পারছিলাম না। মায়ের মৃতু্যৃর পর থেকে ভেতরে ভেতরে আমিও গুমরে মরে ছিলাম। জহিরের সাথে এক রুম শেয়ার করতে পারছিলাম না এই ভয়ে যে কখন দুর্বল মুহুর্তে জহিরের সামনে তা স্বীকার করে ফেলি, যে কারণেই কবিতা লেখার কথা বলে ওর মেসে আলাদা একা এক রুম নেই। আর সেজন্যই আপনি যখনই আপনার বাড়ির গেষ্ট রুমে আমাকে আমন্ত্রণ জানান, আমি লুফে নেই। শেলীর সাথেও আমি সহজ হতে পারছিলাম না যে শেলীর চোখে চোখ পড়লে ও আমার চোখের ভাষা পড়ে ফেলবে, পড়ে ফেলবে একজন খুনীর চোখের ভাষা। আমি এই জীবন থেকে মুক্তি চাই!’
বৃদ্ধের মুখে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠল, তিনি সামিউলের হাতে মৃদু চাপ দিয়ে বললেন, ‘তোমাকে এই জীবন থেকে মুক্তি দিতে চাই আমি। তোমাকে সম্পূর্ণ নতুন জীবন দিতে চাই। আমার জীবন! যে জীবন আমি যাপন করে আসতে পারিনি, সেই অযাপিত জীবন!’
বৃদ্ধ মন্ডলের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘ছেলেটাকে রাজি করানো গেছে। স্বেচ্ছায় না হোক, আপন প্রাণ রক্ষায় ওকে এখন আমাদের ইচ্ছেমতো কাজ করে যেতে হবে।’
‘জানি স্যার।’ মন্ডল নিরাসক্ত কণ্ঠে বলল, ‘রাজি না হয়ে ওর কোন উপায় ছিল না। বাড়িতে যে কান্ড ঘটিয়ে ঢাকায় পালিয়ে এসেছে। এই তথ্য ওর চাকরি প্রতিষ্ঠান জানতে পারলে কি ভয়ংকর ব্যাপার হবে চিন্তা করেন। আপন মাকে হত্যাকারী সন্তানকে তারা সন্তান সাজিয়ে পাঠাচ্ছে নিজেদের বাবা-মায়ের কাছে। ওরাই সাথে সাথে ওকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে।’
‘হু। কেচো খুড়তে যেয়ে যে এতোবড় বিষধর কালসাপ বেরিয়ে আসবে বুঝতে পারিনি। আমাদের কেচো খুড়োটা বৃথা যায়নি কি বলো? যাইহোক, তুমি ওর বেরিয়ে পড়ার যোগাড়যন্ত্র শুরু করে দাও। ও এমনভাবে যাবে যাতে মনে হয় আমিই যাচ্ছি। ওর ভেতরে ভেতরে আমি যাব, বুঝতে পেরেছো?’
‘সে আমি বুঝতে পেরেছি স্যার।’ মন্ডল মাথার পেছনে চুলকাতে লাগল। একটু যেন ইতস্তত করতে লাগল। তাই দেখে বৃদ্ধ বললেন, ‘তুমি মনে হয় আমাকে কিছু একটা বলতে চাইছো? টাকা পয়সার কোন ঝামেলার কথা ভাবছো?’
‘জি¦ না স্যার।’ মন্ডল তবুও ঝেড়ে কাশে না। ‘টাকা পয়সার কোন সমস্যা নেই স্যার। আপনার ইচ্ছে পূরণের চেয়ে যথেষ্ট টাকা ব্যাংকে রাখা আছে। আপনার এক জীবনের আয়, এক জীবনের সঞ্চয়।’
‘সেটা তো তুমি আমার চেয়ে ভাল করেই জানো। সব হিসেবপত্র তো তোমার কাছেই থাকে। তুমি তো আমার আলাদা কেউ না।’
‘সেটাই বলতে চাইছিলাম স্যার। আপনি যেরকম আমাকে কথায় কথায় বলেন, তুমি আমার আলাদা কেউ না। অথচ আমি আলাদা একজন মানুষ। একজন অন্য মানুষ। আপনার এই শুয়ে থাকার কষ্ট যেরকম আমি বিন্দুমাত্র বুঝতে পারি না, তেমনি আমার ভেতরের কষ্টও আপনি কখনও বুঝতে পারেন না। একজন মানুষ কখনও আরেকজন মানুষের সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনার জায়গা নিতে পারে না। আর সে কারণেই আপনার হয়ে ছেলেটা বড়োজোর ঘুরে আসতে পারে, আপনার হয়ে তার চোখ দিয়ে সব দেখে আসতে পারে, উপভোগ করতে পারে, ভিডিও করে এনে আপনাকে দেখাতে পারে, লাইভ ভিডিও করে, ত্রিমাত্রিক ভিডিও করে আপনাকে সেই ফিল দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু কখনও আপনি আপনার ভেতর থেকে আত্মার ভেতর থেকে সেই সুখ বা দুঃখ অনুভব করতে পারবেন না, যদি না ওর সাথে আপনার আত্মাকে বদল করে নেন!’
বৃদ্ধ চমকে উঠলেন, ‘কি বলতে চাইছো তুমি? কি বোঝাতে চাইছো?’
‘শুধু জীবন বদল নয়, আত্মাকেও বদল করতে হবে আপনার!’
আত্মা বদল
মন্ডলের কথাটা বৃদ্ধের মাথার মধ্যে জলের মতো ঘূরে ঘুরে পাক খায়। তাই তো! এতো টাকা পয়সা খরচ করে ছেলেটারে পাঠিয়ে তার কি লাভ, যদি তিনি নিজের ভেতরেই সেই আনন্দটুকু ধারণ করতে না পারেন? মন্ডল যেন শেষের দিকে কি বলেছিল? জীবন বদল করার কথা? কার যেন একটা কবিতা পড়েছিলেন না এক সময়? সুনীলের? আমি কি রকমভাবে বেচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ? তোর সঙ্গে জীবন বদল করে কোন লাভ হলো না? প্রতি সন্ধ্যেবেলা বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে। হৃদয়কে অবহেলা করে রক্ত। আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি ভেতরের কুকরটাকে দেখবো বলে! তার মানে কি? এই কবিতাটা কি জীবন বদলের কবিতা? আত্মা বদলের কবিতা? নিখিলেশের সাথে জীবন বদল করে কবির আত্মা কি বিভিন্ন প্রাণীর রুপ ধারণ করেছিল? এরকম আত্মা বদলের ঘটনা যেন আর কার আছে? শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করেছিল কে যেন? মেফিস্টালিস? তার ঘটনাটা কি ছিল? সত্যিই কি আত্মা বদলের মতো কোন ব্যাপার এই মাটির পৃথিবীতে ঘটে? ঘটলে তার জীবনে কেন নয়?
অস্থির বৃদ্ধ কলিংবেল চেপে মন্ডলকে ডেকে আনালেন। যে ব্যাপারটা মন্ডল মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে তা না বের করা অবধি তার শান্তি নেই। আর সত্যি সত্যিই যদি এরকম কোন ব্যাপার থেকে থাকে তাহলে যতো টাকাই খরচ হোক, তাকে সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তখন সে এই বিছানায় বাম্বু স্পাইন দিয়ে শুয়ে থেকেই তার মনের সব ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে। গিন্নী-মা গল্পের মতো সেও তখন তার প্রেমিকার সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে পারবে।
মন্ডল ভেতরে ঢুকলে বৃদ্ধ জিজ্ঞেস করলেন, ‘সামিউল আছে না রুমে? ঘুমাচ্ছে নাকি?’
‘না স্যার, জেগেই আছে। সুন্দরী মেয়ে ঘরে থাকলে কোন পুরুষ ঘুমাতে পারে?’
‘মানে কি? সুন্দরী মেয়ে এলো কোত্থেকে?’
‘আমাদের নার্স শশী স্যার। এখন ডিউটি শেষ হলেও সামিউলের ঘরে ঢু দেয়। দুজনে বসে গুটুর গুটুর করে গল্প করে, হাসাহাসি করে, প্রেম-ভালবাসা করে স্যার।’
শুনেই বৃদ্ধের শরীরের অন্যরকম এক শিহরণ রোমাঞ্চ জেগে উঠল, যেন নার্স শশীর সাথে সামিউল নয় সামিউলের শরীরে ঢুকে তিনিই প্রেম করছেন!
মন্ডল একটু বিরক্তমাখা স্বরে বলল, ‘সামিউলকে পটাতে শশীকে লেলিয়ে দিয়েছিলাম। এখন আর আমাদের বলার কোন মুখ নেই।’
‘বলার দরকারই বা কি! প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে ভাব-ভালবাসা করবে এর মধ্যে আমরা নাক গলাবার কে?’ বৃদ্ধ তরল গলায় বললেন, ‘তাছাড়া আর খুব বেশিদিন মুখোমুখি বসে প্রেম করতে পারবে না। সামিউলকে তো কাজে বেরিয়ে পড়তে হবে। নার্স শশীকেও আমার দরকার। কাজেই এখনই কোন কিছু বলার দরকার নেই।’
মন্ডল উস্মামাখা স্বরে বলল, ‘আর আমিই বা বলার কে? এই সংসারে আমি কেউ না, কিছু না!’
‘ফালতু কথা রাখ। তুমি যে এই সংসারে কি তা আমার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। তোমার যদি সামিউলের মতো বয়স থাকতো তাহলে আমিই তোমার সাথেই জীবন বদল করে নিতাম।’
মন্ডল একটু চমকে উঠল। স্যার কি সত্যিই সত্যিই জীবন বদলের কথা ভাবছে? ব্যাপারটা স্যারের কানে তুলে ভুল করল নাকি সে? না হয় ছেলেটা আর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারে মাকে ওষুধের ডোজ এলোমেলো দিয়ে একটা ভুল করেছে? তাই বলে ছেলেটার গোটা জীবনটাই এই বিছানায় বন্দী হয়ে কাটবে? এই কয়দিনে একই বাসায় এক সাথে থেকে ছেলেটার প্রতি একটা মমত্ব জন্মেছে তার মধ্যে। সময়মতো বিয়ে হলে এরকম শক্ত সামর্থ্য একটা ছেলে থাকতো তার!
‘কি মন্ডল, চমকে উঠলে কেন? তুমি কি ভেবেছো, এই জীবন বদলের ব্যাপারটা শুধু তোমার মাথাতেই এসেছে? আমি শুয়ে বসে কি করি? শুয়ে বসে সর্বক্ষণ এইসবই ভাবি। আর ভাবি বলেই এই ছেলেটাকে জোগাড় করেছি। যদিও তোমার সহায়তায় জোগাড় করেছি, আমার ছেলেরা তো এক্ষেত্রে উপলক্ষ মাত্র। তেমনি ভাবেই তুমি আমার জন্য জীবন বদলের ব্যবস্থা করবে।’
‘কি করব?’ মন্ডল ঠিকঠাক শুনলেও আবার নিশ্চিত হতে চাইল।
‘কারোশি কেয়ারের মতো উদ্ভট প্রতিষ্ঠান যদি এই দেশে থাকতে পারে, যারা বাবা-মাকে আসল ছেলেমেয়ের বদলে নকল ছেলেমেয়ে সাপ্লাই দেয়, তাহলে জীবন বদলের মতো প্রতিষ্ঠান থাকবে না কেন? তোমার কাজ হচ্ছে তাদের খুজে বের করা।’
মন্ডল ফট করে বলে বসল, ‘স্যার, খোঁজ আমার কাছে আছে। তবে তা কোন প্রতিষ্ঠান নয়।’
‘তাহলে?’
‘আধ্যাত্বিক গুরু।’
কৌতুহলে বৃদ্ধর চোখ চকচক করে উঠল, এইজন্যই মন্ডলকে তার এতো ভাল লাগে। মন্ডল সবসময় এক কদম আগে এগিয়ে চলে। সম্মোহনে সামিউলের স্বীকারোক্তির পরেই মন্ডল তার জীবন বদলের কথা ভেবে রেখেছে। আর ভেবেছে বলেই আগ বাড়িয়ে কোন এক আধাত্বিক গুরুর খোঁজ নিয়েছে। ‘সেই আধাত্বিক গুরু কি করবে?’
‘স্যার, আধ্যাত্বিক গুরু আধ্যাত্বিকতার মাধ্যমে সামিউলের সাথে আপনার জীবন বদলে দেবে। উনি কিভাবে কি করবেন তা আমি জানি না, শুধু এইটুকু খবর পেয়েছি, সেই আধাত্বিক গুরুর কাজ কারবার মানুষের মন নিয়ে, আত্মা নিয়ে। দক্ষ সার্জনরা যেমন এক মানুষের শরীরে আরেকজনের অঙ্গ দক্ষতার সাথে প্রতিস্থাপন করে নতুন জীবন দান করতে পারেন, এক মানবদেহ থেকে হৃদপিন্ড নিয়ে অন্য মানবদেহে স্থাপন করতে পারেন, এমনকি মানবদেহে অন্য জন্তুর শুকরের হৃদপিন্ড প্রতিস্তাপন করতে পারেন, তেমনি এই আধাত্বিক গুরুও প্রতিস্থাপন করেন।’
‘কি?’
‘মানুষের আত্মা!’
আগামী পর্বে সমাপ্য…
সারাবাংলা/এসবিডিই
আমি কি রকমভাবে বেঁচে আছি (নবম পর্ব) ঈদুল ফিতর ২০২৪ বিশেষ সংখ্যা উপন্যাস প্রিন্স আশরাফ