জলঠোঁটে আরোপিত হাসি
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৭
বেদনায় হিম হয়ে যাও। তোমার শহরে একদিন আমিও নতুন সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি খেলব। সহজ করে না জানিয়ে- রেওয়ামিলের হিসাব বোঝাব।
মানুষ মূলত একা নয়- একা হওয়ার গণিত বোঝায়। সংখ্যার পাশে সংখ্যা বসালেই গণিতের হিসাব শুরু সেই গণিতের হিসাব সকালের গল্প বলে! গল্প শুনতে শুনতে বিকেল হয়ে যায়, গভীর রাতে তুমি বেদনার হাতে সুখ রাখো। সুখের জন্য আকাশকে জমিন বলে যাও নীরবে। নীরব থাকা মানে জয় অথবা পরাজয় নয়। মুখস্থ করা সুখ প্রকৃত আলো দেয় না। আলোর মিছিলে বোমাও আপন হয়ে যায় অজান্তে। এসব নতুনের জন্য তোমার শরীরে নতুন ভ্রমর বসেছে, যার বুকে অন্ধকার বারুদের সহবাস।
বেশি দিন নয় হাতের চলাচল যতক্ষণ সচল থাকবে ঠিক ততক্ষণ প্রেম থাকবে। প্রেমের ঘ্রাণ অর্থে থাকে মনে নয় এসব আমার জন্য নয়। সবকিছুরই হিসাব আছে আছে শেষ। চূড়ান্ত চিন্তা বেশ সাজানো।
অগোছালো সকালগুলো আমি নিয়েছি। গোছালো রাত দিয়েছি তোমায়। এভাবেই তো বেশ আছি। সবকিছু ইচ্ছের গণ্ডিতেই রাখছি। সহজাত বিকেলের গর্ভে নতুন স্বপ্ন রেখে হাঁটছি গভীর জঙ্গলে, অচেনা অন্ধকারের পরিচয় জানতে।
শুধু কেউ আমার জন্য মন খারাপ করে থাকে না এর চেয়েও বেশি দরদ বুকে নিয়ে রহস্য করে, দিনের পর দিন। শুধু তাই নয় দরজার ওপার থেকে বলে না, কে? কেউ বলে না, তোমার হাতের ভর্তা বেশ মজার।
সবকিছু বিয়োগ করেও ভালো আছি। ভালো থাকতে হয়। সম্পর্ক সময় বোঝে না। দুই দশক পরেও সহস্র দোষের অনলে পুড়তে হয়। লিখতে হয় কেউ কারো জন্য খারাপ থাকে না। বরং ভালো থাকার জন্য বেড়ে যায় নতুন আয়োজন।
নতুন ঠিকানা বেশ সহজ ও প্রিয় হয়! আলোর মিছিল রাস্তায় নামে। বাসাবোর পথগুলো ভীষণ আলোকিত। তবু তোমার চোখে জল, ঠোঁটে আরোপিত হাসি! মানুষের কিছুই মনে থাকে না, মনে থাকে শুধু গণিতের ফল।
সারাবাংলা/এসবিডিই
অচিন্ত্য চয়ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ বিশেষ সংখ্যা কবিতা জলঠোঁটে আরোপিত হাসি বৈশাখী আয়োজন ১৪৩১