এবারের বইমেলায় বিশেষ আকর্ষণ ‘জুলাই চত্বর’
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৫
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ শুরু হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি। তাই স্টলের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ছবি: সারাবাংলা
ঢাকা: এবারের বইমেলায় বিশেষ আকর্ষণ থাকবে ‘জুলাই চত্বর’, এতে গণ-অভ্যুত্থানের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে। মেলার রং হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। লাল— বিপ্লবের প্রতীক, কালো— শোকের এবং সাদা— আশার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’- এই প্রতিপাদ্যে বাঙালিদের প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ আয়োজন। চলেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, অনেক স্টলের কাজ শেষের দিকে। এখন রংসজ্জার কাজ চলছে । এবারের মেলা পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। হবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের শহিদদের নামে নামকরণ।
এবারের বইমেলায় জায়গা পেয়েছে বেশ কিছু নতুন প্রকাশনা। বইমেলাকে ঘিরে তাই তাদের আশা প্রত্যাশাও অনেক। বর্ণালী বুক সেন্টারের ব্যবস্থপনার দায়িত্বে থাকা নাছিরুদ্দিন সুমন জানান, ‘আমাদের প্রকাশনা থেকে আমরা প্রথমবার বই মেলায় স্টল পেয়েছি। এর আগে ১৫ বছর চেষ্টা করেও বরাদ্দ পাইনি।

চলছে অমর একুশে বইমেলার প্রস্তুতি। ছবি: সারাবাংলা
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেলো, কারিগররা এখন বিদ্যুৎ সংযোগ, বাতি লাগানো, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নানা আনুষঙ্গিক কাজ করছেন। কোনো কোনো স্টলে রংয়ের প্রলেপ দিয়ে ডিজাইন করা হচ্ছে।
কথা হয়, বিদ্যুৎ শ্রমিক হাবিবের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি মেলা উদ্বোধন, তাড়াহুড়া করে কাজ করতে হচ্ছে। বই মেলার জন্য কাজ করতেও ভালো লাগে।’
বাংলা একাডেমি সূত্র থেকে জানা যায়, এবারের অমর একুশে বইমেলার নীতিমালায় বলা হয়— বাংলা একাডেমি প্রচলিত কমিশনে একাডেমির বই বিক্রয় করা হবে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রয় করবে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, গণ-অভ্যুত্থান ও যেকোন জাতিসত্তাবিরোধী, অশ্লীল, সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই-পত্রিকা বা দ্রব্য বিক্রয়, প্রচার ও প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নীতিমালায় বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএল/এসআর