ঢাকা: জাতীয় সংসদে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বসহ আট দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকার স্বীকৃত থাকলেও বাস্তবে বড়ুয়া জনগোষ্ঠী রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে অবহেলিত।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরও গত ২৭ বছর ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বড়ুয়া, হিন্দু ও মুসলমান জনগোষ্ঠী নানা বৈষম্যের শিকার। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রশাসনিক, উন্নয়ন ও প্রতিনিধিত্বমূলক পদগুলো এখনো চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাদের হাতে কেন্দ্রীভূত রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দীর্ঘ শাসনামলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এমনকি ২০১৭ সালে র্যাবের অভিযানে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের আটক করে সিলেটের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:
- পার্বত্য চুক্তি সংশোধন করে বড়ুয়া প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
- বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন নির্ধারণ।
- জনশুমারিতে বড়ুয়া পরিচিতি আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত।
- বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন বোর্ড ও কমিটিতে বড়ুয়া প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত।
- পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সসহ সরকারি সুবিধা ভোগে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সমান সুযোগ।
- বড়ুয়া প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আমন্ত্রণ।
নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, তাদের দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পন্থায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া, প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত অদিতানন্দ মহাথোরো, কেন্দ্রীয় সংগঠক ত্রিদিব বড়ুয়া টিপু, শিক্ষক প্রকাশ কুসুম বড়ুয়া, জেলা সংগঠক নিপ্পন বড়ুয়া ও জুয়েল বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।