ঢাকা: কেউ রক্ত দিতে অপেক্ষা করছেন। কেউবা কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে। রক্ত দিতে এসেছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরাও। তবে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশে কড়াকড়ি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৮ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশের মূল ফটকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় রয়েছেন। সেখানে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের কয়েকজন জানালেন, ভেতরে সাংবাদিক প্রবেশেও বাধা রয়েছে। একাধিক সংবাদ কর্মীও জানালেন, সকাল থেকেই ভেতরে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হাসপাতালটির সামনের সড়কে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবীদের কাজ করতে দেখা গেছে। রিকশা ও যান চলাচলে তারা সাহায্য করছে। হর্ণ বাজাতে নিষেধ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। রক্ত সংগ্রহেও কাজ করছে কোন কোন সংগঠন। তারা রক্ত দিতে আসা ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখছেন। আর জানিয়ে দিচ্ছেন আপাতত রক্তের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে রক্ত দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হবে।

ছবি: সারাবাংলা
হাসপাতালের সামনে কথা হয় মোহাম্মদপুর থেকে আসা ওমর ফারুকের সঙ্গে। তার রক্তের গ্রুপ এবি নেগেটিভ। সকাল সাড়ে ৭টায় রক্ত দিতে এসেছেন। সৌদি আরব প্রবাসী ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টায় এসেছি। যারা রক্ত সংগ্রহ করবে তারা বলেছেন সময় থাকলে অপেক্ষা করবে। নতুবা চলে যেতে। আমি বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। দেশে আরও ১০ দিন আছি। এরমধ্যে যখনই রক্ত লাগবে, তখনই রক্ত দিবো।’
একই স্থানে কথা হয় আজিমপুর থেকে আসা নাসিমা নিরুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এমন একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমার ছেলেও ইন্টারে পড়ে। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা দেখে বাসায় বসে থাকতে পারিনি। তাই সকাল সকাল চলে এসেছি। রক্ত দিতে রেজিস্ট্রেশন করেছি। অপেক্ষা করছি- যদি রক্ত লাগে, তবে রক্ত দিয়ে বাসায় যাবো।’
হাসপাতালটির সামনে দেখা গেছে, তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন ব্যক্তিরাও এসেছেন। তারাও রক্ত দিতে চান। তবে এখন তেমন কোনো রক্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।