ঢাকা: তানভীর আহমেদ ও তাশরীফ আহমেদ দুই ভাই। রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশুনা করত তারা। সকালে দুই ভাই একসঙ্গে স্কুলে যায়। দুপুর ১টার আগে ছোট ভাই তাশরীফের ছুটি হলে বাসায় ফিরে আসে। আর বড় ভাই তানভীরকে ফিরতে হলো যুদ্ধবিমানের আঘাতে লাশ হয়ে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তানভীরের চাচাতো ভাই খাইরুল হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিমান বিধ্বস্তের খবরের পর তানভীরকে হাসপাতালে গিয়ে আমরা আহত অবস্থায় খুঁজে পাই। সেখানেই আমাদের সবাইকে রেখে তানভীর চলে গেল। দুই ভাই এক সঙ্গে সকালে স্কুলে যায়। তাশরীফের স্কুল ছুটি হওয়ায় সে বেঁচে ফিরে।
খাইরুল হাসান বলেন, তানভীরকে দেখে প্রথমে আমি তাকে চিনতে পারি। তাকে ঢাকার বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে রাতে আমরা লাশ বুঝে নিই। তানভীরের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
তিনি আরও বলেন, তানভীরের বাবা একজন ব্যবসায়ী। তারা উত্তরায় থাকেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের নগরভাতগ্রামে তাদের বাড়ী।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্কুল শিক্ষার্থী, পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন এই শিশু। এ ছাড়া, বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ১৭১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।