ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসক ও তার এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের ২ নম্বর ভবনের নিচ তলা থেকে তাদেরকে প্রথমে আটক করে আনসার সদস্যরা। এরপর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভূয়া চিকিৎসকের নাম সজিব দাস পার্থ (২১)। তার বাবার নাম রানেশ চন্দ্র দাস। তার সহযোগীর নাম মানিক মিয়া (২২)। মানিকের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়। আর সজিব দাসের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার রাজানগর থানায় বলে জানিয়েছে তারা। রাতে সজিব দাস নামে ওই যুবক চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন পরে আর তার সঙ্গে থাকা অপর যুবক সিভিলে ২ নম্বর ভবনের নিচে রোগীদের সঙ্গে কথা বলছিল। তখন হুইলচেয়ারে বসা কুলসুম বেগম (৫৪) নামে এক রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে দাঁড় করিয়ে হাঁটানোর চেষ্টা করে। তখন ওই রোগী পড়ে যান। রোগীকে ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করে তারা। এ সময় ডিউটিরত আনসার সদস্যদের নজরে আসলে তারা ওই দুই যুবককে ধরে পরিচয় জানতে চান। তখন নিজেদেরকে তারা চিকিৎসক বলে পরিচয় দেয়। তবে তারা কোনো আইডি কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড দেখাতে পারেনি। তখন সন্দেহ হলে তাদেরকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, হাসপাতালের আনসার সদস্যরা ওই দুই যুবককে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে এসেছে। তারা নিজেদের চিকিৎসক বলে দাবি করেছিল। বিস্তারিত তদন্তের জন্য তাদেরকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।