ঢাকা: যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের পরিবারগুলোর আট দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি না নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও স্মারকলিপি দিতে পারেননি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা।
মাইলস্টোন স্কুলের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পক্ষে এ অভিযোগ করেন নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমার মামা লিয়ন মীর।
এ বিষয়ে মাইলস্টোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, ‘আমরা তাদের তিন-চারজনের একটি প্রতিনিধিদলকে এসে স্মারকলিপি দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা হট্টগোল করে অনেকে একসঙ্গে ঢুকে পড়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবির প্রতি সহমর্মী। তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আট দফা দাবি হলো –
- সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
- সারাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
- সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক বাচ্চার জন্য ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) এবং প্রতি আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা দিতে হবে।
- স্কুলের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক বাচ্চার জন্য ২ কোটি এবং আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
- রানওয়ে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন করতে হবে (অন্যথায় রানওয়ের স্থান পরিবর্তন করতে হবে)।
- কোচিং ব্যবসার মূলহোতা স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকাকে (মিস খাদিজা) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
- স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমাদের দেখাতে হবে। এবং
- বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জনহীন জায়গায় করতে হবে।